Sunday, March 29, 2020

একটি পরিকল্পনা

হ্যাঁ, আরেকটু সময় যাক। বাবার স্মৃতিতে একটা বই করার ইচ্ছে আছে। বাবার প্রয়ানের পরে ভেবেছিলাম খুব তাড়াতাড়ি করব। কিন্তু ভেবে দেখলাম একটু দেরিই করি। আমার বহুকালের পরিকল্পনা ষাটের দশকে যে সব সিপিয়াই ক্যাডার কলকাতায় বা বাংলার নানান প্রান্তে ছিলেন তাদের সেই সময়ের স্মৃতি কথা সঙ্কলিত করার - সে সময় নিয়্র নেতাদের বয়ান আছে, ক্যাডারেরা বিষ্ময়করভাবে চুপ। অথচ টুকরো টুকরোভাবে যা শুনেছি সেটা দিয়ে সে সময়ের একটা জনইতিহাস দাঁড় করানো যায়। বাবা বা মা ষাটের দশকে কলকাতায় কাটিয়েছেন, সে সময় নিয়ে দুজনকে লিখতে বলে বলে পারি নি, বাবা চলে গেছেন, মা আছেন। এরকম বহু ৭০ ঊর্ধ্ব মানুষ আছেন, যাদের স্মৃতি একসঙ্গে জড়ো করা দরকার। এটা যৌথভাবে করা দরকার ২০ বছর সময় ধরে ৬২/৬৩র প্রথম ভাঙ্গন থেকে ৮৩/৮৪ শেষ ভাঙ্গন

Apurba Muktikami বিশ্বেন্দু নন্দ, বিপ্লব মাজী বিমলা-অনন্ত মাজী‌কে নি‌য়ে তেভাগার যে কাজটা ক‌রে‌ছেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আপ‌নি এর'ম কোন উ‌দ্যোগ নি‌লে খুব ভা‌লো হ‌বে। এ সংক্রান্ত কা‌জে এই অধম কোন প্রয়োজ‌নে লাগ‌তে পার‌লে নি‌র্দ্বিধায় জানা‌বেন।

বিশ্বেন্দু নন্দ কৃতজ্ঞতা জানাই Apurba
গতকালই Rajasriর সঙ্গে, অজয়-রাণী দাশগুপ্ত, জগদীশ দাশগুপ্ত, সতীন চক্রবর্তীর কথা হচ্ছিল। এই আমি বহুকাল এই পথ থেকে সরে এসেছি, কিন্তু আমার বেড়ে ওঠার সময়টা গড়ে দিয়েছিলেন এই সব মানুষেরা এবং আর প্রচুর নাম না জানা মানুষ, যাঁরা আজ নেই। তাই
 লিখে, কর্মীদের স্মৃতিকথা প্রকাশ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ছাড়া অন্য কোনও পথ জানা নেই।
হকার সংঘের Saktimanদা আছেন, যাঁর অসামান্য স্মৃতি অবলম্বন করে বার বার ঐ সময়ে ফেরত যাই। কংগ্রেসে কিছু বাম মনোভাবাপন্ন নেতা/কর্মী আছেন যারা এই কাজে সহায়ক হতে পারেন, বাবার সঙ্গে খুবই ভাল যোগাযোগ ছিল সৌগত রায়ের - উনি আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে। সতীন চক্রবর্তীর তিন খণ্ডের লেখা সমগ্র প্রকাশের সময় কাজ করেছিলাম। সন্তোষ ভট্টাচার্য আমায় অত্যধিক স্নেহ করতেন। সেদিন দিলীপ সিনহার সঙ্গে কথা হচ্ছিল এসব বিষয়ে। আছেন Sankarদা। Sujitদা, উজ্জ্বলদা, মৃদুলদা, বাবার বন্ধু প্রয়াত সংকর্ষণ রায়চৌধুরীর পুত্র ন্যাংটো কালের বন্ধু নিখিলেশ, স্ত্রী দীপা জেঠিমা, সুদীপ রায়ের স্ত্রী আইভি কাকিমা, মারা গেলেন পুলক সেনরায় ইত্যাদি। অনেকেই আছেন যারা সে সময় খুবই সক্রিয় ছিলেন।
আমরা যারা এদের উত্তরপ্রজন্ম, যারা সে সময়টা দেখেছি, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাসে এদের স্মৃতি কথা নেই, সেই শূন্যস্থানটা পূরণ করে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ একান্ত জরুরি।
আমি থাইরয়েডে ভুগি। অনেকের নাম ভুলেছি। এই কাজটা একযোগে করতে পারলে ভাল লাগবে।


Apurba Muktikami বিশ্বেন্দু নন্দ, সতীন চক্রবর্তী তো ছ‌য়ের দশ‌কে কং‌গ্রে‌সে গি‌য়ে‌ছি‌লেন, ওনার রচনাসংগ্রহ বে‌রি‌য়ে‌ছে না‌কি?

Apurba Muktikami আ‌মি Soumyabrata Guhathakurtaকে ট্যাগ করলুম, সৌম্যদার বাবা বেণু গুহঠাকুরতা সি‌পিআই হ‌য়ে ইউসি‌পিআই‌তে ছি‌লেন।

ওনাকে আমি খুব চিনতাম। আমি এবং নিখিলেশ যখন সপ্তাহে নয়ের দশকের প্রথম পাদে কাজ করতাম, তখন উনি আসতেন নিয়মিত এবং ্সোভিয়েতের পতন বিষয়ে ওনার একটা বইও ছিল যতদূরসম্ভব মনে পড়ছে। উনি আমায় খুবই স্নেহ করতেন।

সতীনবাবু সাতের দশকের প্রথম দিকে সিপিয়াই-কং জোটের পক্ষে প্রিয়-সোমেন-সৌগতদের মেন্টর ছিলেন। হ্যাঁ আমার বাবা এবং অনার পুত্র সৌম্যদা, জার্মানিতে ছিলেন, এখন যতদূরসম্ভব শান্তিনিকেতনে পড়ান, উদ্যোগে তিন খণ্ডে খেপে খেপে বই বার হয়। কোনও খণ্ডই আমার কাছে নেই, সৌম্যদার কাছে খোঁজ করে দেখতে হবে।

দিলীপ মুখোপাধ্যায়, সন্তোষবাবুর সময় কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ছিলেন, পরে দিলীপ সিংহের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে ছিলেন, তিনিও সতীনবাবুর প্রবন্ধ সংকলনেরএর প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন।

সৌম্য চক্রবর্তী আমে‌রিকায় ছি‌লেন, এখন গেষ্ট হিসা‌বে বিশ্বভারতী‌তেও পড়ান, ওনা‌কে জা‌নি। সতীন চক্রবর্তী, খা‌লেদ চৌধুরী, রণ‌জিৎ সিংহ‌দের লোকসংগীত সংগ্র‌হের কাজও অসাধারণ।

 সতীন চক্রবর্তীর তিন খণ্ডের লেখা তাঁর জন্মশতবর্ষের সময় কোথাও খুঁজে পাইনি। শিবনারায়ন রায় (এখন চলছে তাঁর জন্মশতবর্ষ –আনন্দবাজার/এই স্ম্য/দেশ-এ একটি শব্দ এখনও প্রকাশিত হয় নি) একটি পুস্তক সমীক্ষায় সতীনবাবুর মার্ক্স-চর্চার তারিফ করেছিলেন।

No comments: