বখতিয়ারের হাতে মিনহাজের বয়ানে নালন্দা ধ্বংস বা না ধ্বংস নিয়ে বিস্তর কথা বলা যায়। সমস্যা হল, আধুনিক ইতিহাস ঔপনিবেশিক গালগল্পে আটকে আছে - ঠীক যেমন মুঘল আমল - শাহজাহান আওরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা ইত্যাদি। পরিকল্পিতভাবে ইসলামফোবিয়া তৈরি করা হয়েছে ব্রিটিশদের উদ্যমে।
তানসেন সেন চিন-ভারত বৌদ্ধ সম্পর্ক নিয়ে অসামান্য কাজ করেছেন, তিনিও বলেছেন বখতিয়ারের ধ্বংসের কথা। মিনহাজে কোথাও নালন্দা ধ্বংসের কথা উল্লেখ নেই সেটা তানসেন বলেন নি। তিনিও অন্যান্য ঐতিহাসিকের মত ধরে নিয়েছেন বখতিয়ারের গপ্পটি।তাঁর বলা দরকার ছিল হলেও হতে পারে, নাও হতে পারে, নিশ্চিত নই। যে জন্যে দেখুন তারপরের ৩৫ বছরে এবং ৫০ বছরে নালন্দায় নির্দিষ্টভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্যে পাঠ নেওয়ার উল্লেখ পাচ্ছি। আর পাচ্ছি পূর্ব অঞ্চলে বৌদ্ধপন্থ এবং নালন্দার ঢালের দিকে যাওয়ার প্রবণতার কথা - অর্থাৎ বিপুল বিশাল সরকারি ফান্ডিং বন্ধ হওয়ার গপ্প।
আমাদের নিজেদের ইতিহাস অদীক্ষিত মানুষদের দিয়েই লিখতে হবে।
No comments:
Post a Comment