পলাশির পরই
ইংরেজরা লুঠের রাজত্ব শুরু করল, আশংকা আবার কখন তক্ত হাতছাড়া হয়! কয়েকমাস পর
ক্লাইভ বুঝলেন নতুন নবাব সত্যই ঠুঁটো। বাঙলা বলি হল ইংরেজদের আকাশচুম্বী বিত্তবাসনায়। ইংরেজদের দাবি
মেটাতে না পারায় নতুন নবাব, ক্লাইভের গাধা মির জাফর পদচ্যুত হলেন। এলেন মির কাশেম। তিনি লড়াই
করে দেশত্যাগী হন।
শাসক-বণিক ইংরেজের অত্যাচারে বাঙলায় ত্রাহি ত্রাহি রব। ঢাকার মসলিন
তাঁতিরা হাতের বুড়ো আঙুল কেটে ফেল্লেন অথবা কেটেফেলা হল। বলাভাল, ১১৭৫এ
বাঙলার তাঁতিসহ আরও অন্যান্য শিল্পীদের আঙুল কাটার থেকেও খারাপ অবস্থা দাঁড়াল-
বাঙলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। চরম গ্রীষ্ণে রাজ্যে কোথাও একফোঁটা জল পাওয়া যাচ্ছেনা। চাষতো
দূরস্থান, খাওয়ার জল পাওয়ারও সমস্যা হয়ে দাঁড়াল। বাঙলার কৌম
স্মৃতিতে চরমতম গরমেও পুকুরে জল শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা তখন লুপ্ত। ৭৬এর যে
অস্বাভাবিক খরায় আমন আর চৈতি খেতেই জ্বলে গিয়েছিল, পরের বছর ৭৭এ বৈশাখ-জৈষ্ঠে
অনাবৃষ্টিতে বাঙলা বিহারের গরমে গ্রামে গ্রামে আগুণ ধরে যেতে শুরু করল। রাজধানীতেও
আগুণ। রেজা
খাঁ বললেন এতদিন হাজারে হাজারে লোক মরত, এখন লাখে লাখে মরছে। এখন বাঙলা
বাঁচাতে পারেন একমাত্র খোদা হাফিজ।
চৈত্র পেরিয়ে বর্ষা নামল। ভাল বৃষ্টি হল। লোকের
মনে আশা জাগল। কিন্তু
আশাকে নিরাশা করে চালের দাম চড়চড় করে আকাশ ছুঁতে শুরু করল। ১১৭৫এ চালের
দাম বেড়ে হয় টাকায় বারো সের। ৭৭এর শ্রাবনে বেড়ে দাঁড়াল টাকায় চার সের। চাল আর খোলা
বাজারে পাওয়া যায় না। শিশু
মৃত বাপমাকে খেত, মরা শিশু খেত মায়ে। কলকাতা আর রাজধানী মুর্শিদাবাদেও লোক ধরানো যায় না। ভাদ্রে বৃষ্টি
থামার পর আউস ভালই উঠল। কলকাতা
লন্ডনকে জানাল দুর্ভিক্ষ শেষ। বাজারে চালের দাম হল টাকায় আঠাশ সের। মোটা চালের
দাম দাঁড়াল টাকায় ৪৫-৪২ সের। বন্যায় নাটোর ভেসে গেলেও ১৭৭১এ এত ধান হল যে রায়তেরা ধান নিয়ে আর বাড়ি
যেতে পারে না।
ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই রইল। ফসল
বেচে আর খাজনার টাকা আদায় হয়না। রায়ত, ইজারাদার আর তালুকদারেরা পলাতক হল।
বহু রায়তের মৃত্যু সত্বেও ভাল ফলন হওয়ায়
রাজস্বের বিন্দুমাত্রও ক্ষতি হয় নি। Jean
Beauchampএর British
Imperialism in Indiaয় ইংলন্ডে কোম্পানির বড়
কর্তাদের প্রতি লেখা এক চিঠিতে
ওয়ারেন হেস্টিংস গর্বভরে জানাচ্ছেন: "Not withstanding
the loss of at least one-third of the inhabitants of the province, and
consequent decrease in cultivation, net collections of the year 1771 exceeded
those of 1768... It was naturally to be expected that the
diminution of the revenue should have kept an equal place with the other
consequences of so great a calamity. That it did not was owing to its being
violently kept up to its former standard."
মৃত বা
পলাতকদের বাকি খাজনা জীবিতদের কাছ থেকে উশুল হল। রাজ্যে প্রজা
সংখ্যা কম হল।
শিশুমৃত্যু হওয়ায় নতুন পুরুষ বা চাষের কাজে নারীদের পাওয়া যায় না। ঐতিহাসিক পল
গ্লুমাজ কোম্পানি খাজনা আদায়ের নীতি বিষয়ে বলছেন, What the Company
had done to increase the tax revenue was to set up a system of
"outsourcing" the right to tax the land।
This is what is known as "tax farming." The tax collector had the right to
obtain as much tax as he could get, since he had bought these rights at auction.
In turn, the one who was taxed, the registered landholder, called zamindari, was
allowed to extract whatever he could for himself and for the tax collector from
the poor peasant who worked the land. The zamindari, who was subject only to the
payment of the company's taxes, essentially had complete power over all the
land and all its cultivators. Through this looting system, the Company left
nothing in reserve for the times when the monsoons would fail.
In addition, little or no maintenance was allowed for the cultivators'
infrastructure, such as the irrigation works.
No comments:
Post a Comment