সুতো কাটা
(আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জীবনচরিত থেকে)লর্ড
কর্ণওয়লিস চিরস্থয়ী বন্দোবস্তের অল্প কাল পরে কেলব্রুক সিভিল কর্মচারী হিসবে
বাংলার সর্বত্র ভ্রমণ করেন এবং বংলর কৃষকদের অবস্থা সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা
লাভ করেন। ১৮০০
খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত তত্কৃত হাজব্যান্ড্রি অব বেঙ্গল নামক পুস্তক খনি মূল্যবন
তথ্যে পূর্ণ।
চরকাকে
দরিদ্রের সহায়ক রূপে বর্ণনা করিয়া তিনি বলেন, - ব্রিটিশ ভরত যে সভ্য গভর্মেন্ট
কর্তৃক শসিত হইতেছে, তঁহদের পক্ষে এদেশের দরিদ্রদের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা কর
তুচ্ছ বিষয় নহে।
বর্তনামে এই প্রদেশে সাধারণের পক্ষ হইতে দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্যের ব্যবস্থা নাই। যে সব বিধবা ও
অনাথা স্ত্রীলোকেরা রুগ্ন বলিয়া সামাজিক মর্যাদার জন্য কাজ করিতে পারে না, তাহাদের
পক্ষে জীবিকার্জনের একমাত্র উপায় চরকায় সূতাকটা। পুরুষেরা যথন
শারীরিক অক্ষমতা বা অন্য কোনও কারনে শ্রমের কাজ না করিতে পারে, তখনও স্ত্রীলোকেরা
কেবলমাত্র এই উপায়েই পরিবারের ভরণপোষণ করিতে পারে। ইহা সকলের
পক্ষেই সহায় স্বরূপ, এবং জীবিকার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় না হলেও, দরিদ্রের দুর্দশা
অনেক লাঘব করিতে পারে। যে
পরিবার এককালে ধনী ছিল, দরিদ্রের দিনে তাহাদের দুর্দশাই সব চেয়ে বেশী মর্মান্তিক
হয়।
গবর্মেন্টের নিকট আইনতঃ তাহাদের দাবী থাকুক আর নাই থকুক, মনুষ্যত্বের দিক হইতে
তাহারা নিশ্চই গবর্মেন্টের সহানুভূতি দাবী করিতে পারে। এই সমস্ত
বিচার করিলে বুঝা যাইবে দরিদ্রের পক্ষে সহায় স্বরূপ এমন একটি শিল্পকে উ্তসাহ দেওয়া
উচিত।
No comments:
Post a Comment