আমাদের কতগুলি উপপাদ্য আছে -
ক। ইংরেজি শিক্ষিত বাঙ্গালী ভদ্রলোকেরা হঠাত বামপন্থী হয়ে উঠল কেন? তার ইতিহাস আগে একটু খুঁজি। কয়েকটি প্রকাশনার মাধ্যমে আমরা বোঝাবার চেষ্টা করছিলাম, বাংলা তথা ভারত জুড়ে ব্রিটিশ সময়ের আগে পর্যন্ত নানান সামাজিক অভিচারের পরেও আমাদের পছন্দ হোক আর নাই হোক - পরিব্যাপ্ত, বিশাল জ্ঞানচর্চার অবিচ্ছিন্ন ধারা গড়ে উঠেছিল - কয়েক হাজার বছরের চেষ্টায়। আমরা শুধু আলোচনা করেছি মাত্র এক জাহার বছরের কাছাকাছি সময়, তার বাইরে যাইনি। পলাশীর পরে লুঠেরা খুনি কোম্পানি এক ভারতে রাজত্ব করতে। হেস্টিংসের আগে, ক্লাইভের সময় থেকেই বাংলায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ চেপে বসতে শুরু করে। হেস্টিংসের সময়ে তামাক, নুন আর সুপারি ব্যবসা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যে উৎপাদন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে তা ধ্বংস করার, বিশিল্পাযনের কাজ শুরু হল, সে কাজ সফল তো শুধু সাদাদের দিয়ে হবে না। প্রয়োজন কালো চামড়ার মানুষ। ফলে যে ভদ্রলোকেরা ইংরেজি শিখলেন তাঁরা তাঁদের ধনী পরিবারের শৈশব থেকেই দেখে আসছেন রাষ্ট্রের মদতে তাদের পরিবারগুলি ফুলেফেঁপে উঠছে। এখন মার্ক্স সাহেব বলেগিয়েছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানার কথা। একবার অধ্যাপক অঞ্জনবাবুকে এক বৈঠকে প্রশ্ন করা গিয়েছিল, মার্ক্সপন্থা কি যদি এক কথায় বলতে হয়? তিনি বলেছিলেন উৎপাদনের রাষ্ট্রীয় করণ। আরে বাবা ছোট বেলা থেকেই বংশপরম্পরারয় তো তাঁরা সেই অবস্থা দেখে আসছন - উৎপাদনের রাষ্ট্রীয় করণ তো করেই ফেলেছিল কোম্পানি পরে ব্রিটিশ রাজ। সেই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে তাঁরা সামিল হয়েছেন পলাশীর পর থেকেই - তার সঙ্গে তাঁদের কাছে অন্তত বামপন্থার কোন পার্থক্য নেই। তাই ইংরেজি শিক্ষিত বাঙ্গালী স্বভাবতই বামপন্থী।
খ। আর ইসলামি আমল থেকে তাঁরা বিদেশি ভাষা শিখেছে। তখন আর্বি ফার্সি পরে তার যায়গা করেছিল ইংরেজি - অন্তত রামমোহন পর্যন্ত আর্বি ফার্সি চলেছে - পরিপূর্ণ বয়সে রামমোহনকে লুঠের সঙ্গী হতে ইংরেজি শিখতে হচ্ছে। বাংলা সাহিত্যি শুরু হচ্ছে রাজমোহনস ওয়াইফ আর তার আগে মাইকেলের ইংরেজি সাহিত্য দিয়ে। কেন শিক্ষিত বাঙালী বাংলা শিখবে? কেন বাংলা বলবে? কেন? কেন? তার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। শঙ্খবাবুর, সুকুমার সেন বা সুকুমারী ভট্টাচার্যের প্রবন্ধ দেখুন, শুধুই ইওরোপিয় উদ্ধৃতির, ভাবনার কাঁটা। ইংরেজি শিক্ষিতরা ভাবছেন এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম।
ক। ইংরেজি শিক্ষিত বাঙ্গালী ভদ্রলোকেরা হঠাত বামপন্থী হয়ে উঠল কেন? তার ইতিহাস আগে একটু খুঁজি। কয়েকটি প্রকাশনার মাধ্যমে আমরা বোঝাবার চেষ্টা করছিলাম, বাংলা তথা ভারত জুড়ে ব্রিটিশ সময়ের আগে পর্যন্ত নানান সামাজিক অভিচারের পরেও আমাদের পছন্দ হোক আর নাই হোক - পরিব্যাপ্ত, বিশাল জ্ঞানচর্চার অবিচ্ছিন্ন ধারা গড়ে উঠেছিল - কয়েক হাজার বছরের চেষ্টায়। আমরা শুধু আলোচনা করেছি মাত্র এক জাহার বছরের কাছাকাছি সময়, তার বাইরে যাইনি। পলাশীর পরে লুঠেরা খুনি কোম্পানি এক ভারতে রাজত্ব করতে। হেস্টিংসের আগে, ক্লাইভের সময় থেকেই বাংলায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ চেপে বসতে শুরু করে। হেস্টিংসের সময়ে তামাক, নুন আর সুপারি ব্যবসা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যে উৎপাদন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে তা ধ্বংস করার, বিশিল্পাযনের কাজ শুরু হল, সে কাজ সফল তো শুধু সাদাদের দিয়ে হবে না। প্রয়োজন কালো চামড়ার মানুষ। ফলে যে ভদ্রলোকেরা ইংরেজি শিখলেন তাঁরা তাঁদের ধনী পরিবারের শৈশব থেকেই দেখে আসছেন রাষ্ট্রের মদতে তাদের পরিবারগুলি ফুলেফেঁপে উঠছে। এখন মার্ক্স সাহেব বলেগিয়েছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানার কথা। একবার অধ্যাপক অঞ্জনবাবুকে এক বৈঠকে প্রশ্ন করা গিয়েছিল, মার্ক্সপন্থা কি যদি এক কথায় বলতে হয়? তিনি বলেছিলেন উৎপাদনের রাষ্ট্রীয় করণ। আরে বাবা ছোট বেলা থেকেই বংশপরম্পরারয় তো তাঁরা সেই অবস্থা দেখে আসছন - উৎপাদনের রাষ্ট্রীয় করণ তো করেই ফেলেছিল কোম্পানি পরে ব্রিটিশ রাজ। সেই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে তাঁরা সামিল হয়েছেন পলাশীর পর থেকেই - তার সঙ্গে তাঁদের কাছে অন্তত বামপন্থার কোন পার্থক্য নেই। তাই ইংরেজি শিক্ষিত বাঙ্গালী স্বভাবতই বামপন্থী।
খ। আর ইসলামি আমল থেকে তাঁরা বিদেশি ভাষা শিখেছে। তখন আর্বি ফার্সি পরে তার যায়গা করেছিল ইংরেজি - অন্তত রামমোহন পর্যন্ত আর্বি ফার্সি চলেছে - পরিপূর্ণ বয়সে রামমোহনকে লুঠের সঙ্গী হতে ইংরেজি শিখতে হচ্ছে। বাংলা সাহিত্যি শুরু হচ্ছে রাজমোহনস ওয়াইফ আর তার আগে মাইকেলের ইংরেজি সাহিত্য দিয়ে। কেন শিক্ষিত বাঙালী বাংলা শিখবে? কেন বাংলা বলবে? কেন? কেন? তার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। শঙ্খবাবুর, সুকুমার সেন বা সুকুমারী ভট্টাচার্যের প্রবন্ধ দেখুন, শুধুই ইওরোপিয় উদ্ধৃতির, ভাবনার কাঁটা। ইংরেজি শিক্ষিতরা ভাবছেন এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম।
No comments:
Post a Comment