বিডন স্ট্রিটে যে আয়ুর্বেদিক কলেজ আছে, যতদূর সম্ভব কবিরাজ গণনাথ সেনের
পরিবারের(তাঁরা ভগভট্ট সঙ্কলিত, রসরত্নসমুচ্চয়ঃ অনুবাদ ও প্রকাশ করেন) -
এখন রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে, এখানকার এক অধ্যাপক বছর দেড়েক আগে বলছিলেন
কলেজের উল্টো দিকের বাড়িটি ভাঙ্গার আগে বসন্ত ঔষধালয় ছিল তা তিনি দেখেছেন।
তার ধারণা ছিল সেটি বসন্ত নামে কোন ব্যক্তির। একদিন অকারণ কৌতুহলে,
দোকানের ইতিহাস জানতে প্রশ্ন করেছিলেন বসন্ত কে ছিলেন? দোকানি উত্তর
দিয়েছিল, তার পূর্বপুরুষ বসন্তের টিকা দিতেন, তাই দোকানের নাম বসন্ত ঔষধালয়। সেই টিকা দেওয়ার ইতিহাস কম করে ৩০০ বছরের পুরোনো। দোকানটা খুব কম করে ১৫০-২০০ বছরের প্রাচীন।
এই সব ইতিহাস হেলায় হারিয়ে যাচ্ছে। পুরোনো আয়ুর্বেদ বৈদ্যদের পরিবারগুলিকে
নিয়ে গবেষণা করা দরকার - বহু পরিবারে নিশ্চই পুরোনো পুঁথি বা তথ্যাদি রয়েছে। আর খোঁজা দরকার নাথ, দেব, দেবনাথ উপাধিধারী
পরিবারের পুরোনো মানুষদের - এঁরা নাথ পরম্পরার মানুষ। ভবানীপুরের পদ্মপুকর
রোডের খালসা বিদ্যালয়ের কাছের একটা গলিতে প্রচুর নাথ পরিবার বাস করেন। এই
বৈদ্যদের পরিবারে সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার স্বাস্থ্যের আর চিকিতসাবিদ্যার
ইতিহাস।
No comments:
Post a Comment