আমার
নিজের একটা তত্ত্ব আছে। আজ যারা মূল নিবাসী আন্দোলন করদেন বা বহু মানুষ মাঝে
মাঝে বলার চেষ্টা করেন ছোট জাতের মানুষদের উচ্চবর্ণ দমিয়ে রেখে ছিল, সেটা
কিন্তু ব্রিটিশ ধ্বংসলীলার আগে হতে পারে নি। তাঁর জন্য গোটা উচ্চবর্ণ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পঞ্চম বাহিনী হয়ে কাজ করতে হয়েছে।
বাংলা(বৃহত্তরবঙ্গ, দীনেশ সেন মশয় উবাচ) ব্যবসায় জ্ঞানচর্চায় অন্যদের থেকে আলাদা ছিল। এখানে বহু আগে হেকে বিভিন্ন দেশের মানুষ এসেছে, বৌদ্ধ ধর্মের উত্তুঙ্গ সময়েও, তাঁর পরেও এই ব্রিটিশ আমলের আগেও। সভ্যতাটা মূলত ছিল শুদ্র সভ্যতা। বিশ্বাস, ঘোষ, পোদ, সাঁওতাল, মুণ্ডা, বাগদী, হাড়ি এবং আরও অনেক সমাজ বাংলার নানান জায়গায় রাজত্ব, উৎপাদন আর ব্যবসা করত। হিপ্পালাসের বহু আগে থেকেই তাঁরা মৌসুমী বায়ূ বয়ে বিদেশে ব্যবসা করতে যেতেন। লোহা, যার নাম অয়ষ্কান্ত নামে খ্যাত ছিল - তা ছিল মর্চেহীন ইস্পাত ক্রুসিবল স্টিল - তৈরি করতেন আদিবাসী সমাজ। অনেক সময় ধাতুর প্রতিশব্দ রূপে লোহা ব্যবহার হয়েছে। কৃষি ছিল মাত্র ২৭ শতাংশের জীবিকা অন্যান্যরা তাঁকে নির্ভর করে জীবিকা ব্যবসা নির্বাহ করেছে। এই যে ব্যাপ্ত সভ্যতা, তা চালাত এ দেশেরই গ্রামীণ শুদ্ররা।
উচ্চবর্ণ জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পেল শ্রীচৈতন্যের আমলে - তাঁর আগে পর্যন্ত ছিল এদেশিদের রমরমা - সাহিত্যে দেখুন, ব্যবসায় দেখুন সব কিছুতেই এদের জাঁক। চৈতন্যের পরে ধর্ম প্রচারে তাঁরা গ্রামে ঢূকলেন। বুঝতে শুরু করলেন এদেশের সমাজ ব্যবস্থা। চৈতন্য বিদ্রোহী ছিলেন - কিন্তু গৌড়িয় মতের মত নাকউঁচু, বর্ণভেদী ব্যবস্থার ধারক হয়ে উঠলেন গোস্বামী ভাইয়েরা। তাঁরা কিন্তু বাংলায় কিছু লিখলেন না। প্রচুর ব্যবসায়ী শ্রীচৈতন্যের অনুগামী হলেন। তখনও বাংলার উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থা কিন্তু দেশিয়দের হাতে। আরবি ফার্সি শিখে যারা রাজসভার দাক্ষিণ্য পেলেন, তাঁরা তখনও কিন্তু গ্রাম্য উৎপাদন ব্যবস্থায় দাঁত ফোটাতে পারেন নি। নানান ভাবে চেষ্টা করে গিয়েছেন। তখনও কিন্তু রাষ্ট্র সমাজের স্বাতন্ত্র্যে হাত দেয় নি। কাবাব ঘোঁট অনেক চেষ্টা করেছে - পালেদের সময়ে দেখুন - কৈবর্তদের মেরেফেলা হয়েছ, বৌদ্ধধর্ম অস্তাচলে গিয়েছে, কিন্তু ছোটজাতের মানুষদের সমাজ নিয়ন্ত্রণ যায় নি। ১৭৫৭তে সুযোগ হল ব্রিটিশদের হাত ধরে এই ব্যাপ্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করা। কাবাবেরা উঠে এল পাদপ্রদীপের আলোয়। শুরু হল নবজাগরণ। বঙ্কিমচন্দ্র বললেন ইসলাম নয় এখন পুজ্য ব্রিটিশ, তা ভগবানের দান।
বাংলা(বৃহত্তরবঙ্গ, দীনেশ সেন মশয় উবাচ) ব্যবসায় জ্ঞানচর্চায় অন্যদের থেকে আলাদা ছিল। এখানে বহু আগে হেকে বিভিন্ন দেশের মানুষ এসেছে, বৌদ্ধ ধর্মের উত্তুঙ্গ সময়েও, তাঁর পরেও এই ব্রিটিশ আমলের আগেও। সভ্যতাটা মূলত ছিল শুদ্র সভ্যতা। বিশ্বাস, ঘোষ, পোদ, সাঁওতাল, মুণ্ডা, বাগদী, হাড়ি এবং আরও অনেক সমাজ বাংলার নানান জায়গায় রাজত্ব, উৎপাদন আর ব্যবসা করত। হিপ্পালাসের বহু আগে থেকেই তাঁরা মৌসুমী বায়ূ বয়ে বিদেশে ব্যবসা করতে যেতেন। লোহা, যার নাম অয়ষ্কান্ত নামে খ্যাত ছিল - তা ছিল মর্চেহীন ইস্পাত ক্রুসিবল স্টিল - তৈরি করতেন আদিবাসী সমাজ। অনেক সময় ধাতুর প্রতিশব্দ রূপে লোহা ব্যবহার হয়েছে। কৃষি ছিল মাত্র ২৭ শতাংশের জীবিকা অন্যান্যরা তাঁকে নির্ভর করে জীবিকা ব্যবসা নির্বাহ করেছে। এই যে ব্যাপ্ত সভ্যতা, তা চালাত এ দেশেরই গ্রামীণ শুদ্ররা।
উচ্চবর্ণ জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পেল শ্রীচৈতন্যের আমলে - তাঁর আগে পর্যন্ত ছিল এদেশিদের রমরমা - সাহিত্যে দেখুন, ব্যবসায় দেখুন সব কিছুতেই এদের জাঁক। চৈতন্যের পরে ধর্ম প্রচারে তাঁরা গ্রামে ঢূকলেন। বুঝতে শুরু করলেন এদেশের সমাজ ব্যবস্থা। চৈতন্য বিদ্রোহী ছিলেন - কিন্তু গৌড়িয় মতের মত নাকউঁচু, বর্ণভেদী ব্যবস্থার ধারক হয়ে উঠলেন গোস্বামী ভাইয়েরা। তাঁরা কিন্তু বাংলায় কিছু লিখলেন না। প্রচুর ব্যবসায়ী শ্রীচৈতন্যের অনুগামী হলেন। তখনও বাংলার উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থা কিন্তু দেশিয়দের হাতে। আরবি ফার্সি শিখে যারা রাজসভার দাক্ষিণ্য পেলেন, তাঁরা তখনও কিন্তু গ্রাম্য উৎপাদন ব্যবস্থায় দাঁত ফোটাতে পারেন নি। নানান ভাবে চেষ্টা করে গিয়েছেন। তখনও কিন্তু রাষ্ট্র সমাজের স্বাতন্ত্র্যে হাত দেয় নি। কাবাব ঘোঁট অনেক চেষ্টা করেছে - পালেদের সময়ে দেখুন - কৈবর্তদের মেরেফেলা হয়েছ, বৌদ্ধধর্ম অস্তাচলে গিয়েছে, কিন্তু ছোটজাতের মানুষদের সমাজ নিয়ন্ত্রণ যায় নি। ১৭৫৭তে সুযোগ হল ব্রিটিশদের হাত ধরে এই ব্যাপ্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করা। কাবাবেরা উঠে এল পাদপ্রদীপের আলোয়। শুরু হল নবজাগরণ। বঙ্কিমচন্দ্র বললেন ইসলাম নয় এখন পুজ্য ব্রিটিশ, তা ভগবানের দান।
No comments:
Post a Comment