শিল্পপ্রেমিকদের জন্য...
কেন শিল্প বা কোন কিছুই চাই, কারণ চাকরি চাই। অতয়েব চাকরি আনতে, জমি বা কর ছাড়। এত অবধি বুঝলাম। তাহলে কত চাকরি হলো, তার ভিত্তিতে কর ছাড় ইত্যাদিতে কোন বড় কর্পোরেট রাজি হোন না কেন? পশ্চিম বাংলার GSDP গত ৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে (প্লানিং কমিশন তথ্য বলছে) - ২০১০-১১ তে এই বাংলার যে রেঙ্ক ছিল, তার থেকে এখুন অবস্থা ভালো, মাঝে আমরা কর্নাটক (যেখানে ন্মধ্যবিত্তের আইটি সন্তানেরা কলকাতায় চাকরি না পেয়ে যাচ্ছে) আর গুজরাট (যেখানে ন্যানো কোম্পানি চলছে এবং হেব্বি কাজ তাজ হচ্ছে, তা কিনা বাংলায় হলে বাংলা নাকি বদলে যেতো)- - এই দুটিকে টপকে গেছি। । GSDP কেইসটা কি? Gross State Domestic Product (GSDP) is defined as a measure, in monetary terms, of the volume of all goods and services produced within the boundaries of the State during a given period of time. এখানে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো produced. অর্থাৎ উত্পাদনে আমাদের বাংলা গুজরাট ও কর্নাটক-কে পিছনে ফেলে দিয়েছে এই সরকারের আমলে - যা সিপিএম আমলে ছিল এই রাজ্য গুলির পিছনে, রেঙ্কিং-এও ছিল পিছিয়ে। অথচ এখানে ভারী শিল্প আসছে না। মানেটা কি? মানে একটাই - এমন সব ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে উত্পাদন বেড়েছে, যেগুলো ঝিনচ্যাক না, বড় পুঁজির না, অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পুঁজি ভিত্তিক নানা ব্যাপারে। সকলেই জানেন, এই সকল ক্ষেত্রে টাকা প্রতি তৈরী চাকরির সংখ্যা বেশি হয়। মানেটা কি দাঁড়ালো? এই উত্পাদন বৃদ্ধি হয়েছে কৃষকের জমি জোর করে কেড়ে না নিয়ে। এবং তার ফলে এতটাই বেড়েছে, যে SEZ ও জোর করে কৃষিজমি হাতানোয় পারঙ্গম রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে। এই বাংলার থেকে পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে রয়েছে মানুফ্য়াক্চারিং-এর নয়া স্বর্গ গুজরাট। গুজরাট viable অথচ আমাদের বাংলা তার চেয়েও viable । কি করে হচ্ছে, কেন হচ্ছে, তার আগের কথা হলো, হচ্ছে। এইটেই বড় কথা। যারা জীবনে কাউকে একটি চাকরিও দেবেন না, তারা শিল্পায়ন বনাম বিকল্প, এই সকল তরজায় থাকুন, মমতার আমলে বাংলায় উত্পাদন বেশ বেড়েছে। চাকরি তৈরী হয় উত্পাদন বাড়লে, আরো বেশি চাকরি তৈরী হয়, সেটা যদি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের হাত ধরে বাড়ে। এবং সেটা বাড়ছে। এইটাই মেসেজ। যারা মেসেজ খোঁজেন টাটা এবং হাই-টেক-এ, তারা খুঁজে যান। বাংলার উত্পাদক শ্রেণী মেসেজ পেয়ে গেছেন মনে হচ্ছে। বাংলায় ক্রেডিট/ডেপোসিট্ রেশিও বেড়েছে, অর্থাত বাংলায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বেড়েছে (সরকার দ্বারা দেওয়া ঋণ না - যা নিয়ে অনেক হুক্কাহুয়া হয়)। এর মানে কি? এর মানে, আগে বাংলার জমানো পুঁজির যত অংশ বাংলাতেই ধার দেয়া হতো নতুন কোন উদ্যোগের জন্য, এখান তার চেয়েও বেশি বেশি অংশ ধার হিসেবে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলার জমান পুঁজি বাংলার কাজে আরো বেশি লাগছে - আগে বাংলার টাকায় অন্যেরা ব্যবসা করত। এবং এই সকলই হচ্ছে সিন্ডিকেটের পরিপ্রেক্ষিতে। যে বিশ্বে পুঁজির পথে কোন রকম স্পীডব্রেকার বা বাম্পার সরানোই হলো তাদের রাজনৈতিক দালালদের কাজ, সিন্ডিকেট হলো এমন এক ব্যবস্থা তা অতি-সচল পুঁজিকে স্থানীয় এলাকাকে পাপোশ বা হোটেল বা গ্যারেজের মত ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় কর দিতে বাধ্য করে। এটা ছাড়া পুঁজির আর সমস্যা কিসের এদিক সেদিক উড়ে যাবার? মুম্বই হোক আর বালিগঞ্জ হোক, সেখানকার পুঁজি যে রঘুনাথপুরে মাটি কিনে মাল কামাবে, তাতে রঘুনাথপুরে এলাকাবাসীর আসলে কোন অধিকারের জায়গা নেই। সিন্ডিকেট সেই হৃত প্রাকৃতিক অধিকারকে বেআইনি ভাবে প্রতিষ্ঠা দেয়। তাই পুঁজি সিন্ডিকেটকে ঘেন্না করে। এবং সেই পুঁজির দালাল মিডিয়া-ও সিন্ডিকেটকে ঘেন্না করে।
কেন শিল্প বা কোন কিছুই চাই, কারণ চাকরি চাই। অতয়েব চাকরি আনতে, জমি বা কর ছাড়। এত অবধি বুঝলাম। তাহলে কত চাকরি হলো, তার ভিত্তিতে কর ছাড় ইত্যাদিতে কোন বড় কর্পোরেট রাজি হোন না কেন? পশ্চিম বাংলার GSDP গত ৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে (প্লানিং কমিশন তথ্য বলছে) - ২০১০-১১ তে এই বাংলার যে রেঙ্ক ছিল, তার থেকে এখুন অবস্থা ভালো, মাঝে আমরা কর্নাটক (যেখানে ন্মধ্যবিত্তের আইটি সন্তানেরা কলকাতায় চাকরি না পেয়ে যাচ্ছে) আর গুজরাট (যেখানে ন্যানো কোম্পানি চলছে এবং হেব্বি কাজ তাজ হচ্ছে, তা কিনা বাংলায় হলে বাংলা নাকি বদলে যেতো)- - এই দুটিকে টপকে গেছি। । GSDP কেইসটা কি? Gross State Domestic Product (GSDP) is defined as a measure, in monetary terms, of the volume of all goods and services produced within the boundaries of the State during a given period of time. এখানে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো produced. অর্থাৎ উত্পাদনে আমাদের বাংলা গুজরাট ও কর্নাটক-কে পিছনে ফেলে দিয়েছে এই সরকারের আমলে - যা সিপিএম আমলে ছিল এই রাজ্য গুলির পিছনে, রেঙ্কিং-এও ছিল পিছিয়ে। অথচ এখানে ভারী শিল্প আসছে না। মানেটা কি? মানে একটাই - এমন সব ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে উত্পাদন বেড়েছে, যেগুলো ঝিনচ্যাক না, বড় পুঁজির না, অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পুঁজি ভিত্তিক নানা ব্যাপারে। সকলেই জানেন, এই সকল ক্ষেত্রে টাকা প্রতি তৈরী চাকরির সংখ্যা বেশি হয়। মানেটা কি দাঁড়ালো? এই উত্পাদন বৃদ্ধি হয়েছে কৃষকের জমি জোর করে কেড়ে না নিয়ে। এবং তার ফলে এতটাই বেড়েছে, যে SEZ ও জোর করে কৃষিজমি হাতানোয় পারঙ্গম রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে। এই বাংলার থেকে পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে রয়েছে মানুফ্য়াক্চারিং-এর নয়া স্বর্গ গুজরাট। গুজরাট viable অথচ আমাদের বাংলা তার চেয়েও viable । কি করে হচ্ছে, কেন হচ্ছে, তার আগের কথা হলো, হচ্ছে। এইটেই বড় কথা। যারা জীবনে কাউকে একটি চাকরিও দেবেন না, তারা শিল্পায়ন বনাম বিকল্প, এই সকল তরজায় থাকুন, মমতার আমলে বাংলায় উত্পাদন বেশ বেড়েছে। চাকরি তৈরী হয় উত্পাদন বাড়লে, আরো বেশি চাকরি তৈরী হয়, সেটা যদি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের হাত ধরে বাড়ে। এবং সেটা বাড়ছে। এইটাই মেসেজ। যারা মেসেজ খোঁজেন টাটা এবং হাই-টেক-এ, তারা খুঁজে যান। বাংলার উত্পাদক শ্রেণী মেসেজ পেয়ে গেছেন মনে হচ্ছে। বাংলায় ক্রেডিট/ডেপোসিট্ রেশিও বেড়েছে, অর্থাত বাংলায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বেড়েছে (সরকার দ্বারা দেওয়া ঋণ না - যা নিয়ে অনেক হুক্কাহুয়া হয়)। এর মানে কি? এর মানে, আগে বাংলার জমানো পুঁজির যত অংশ বাংলাতেই ধার দেয়া হতো নতুন কোন উদ্যোগের জন্য, এখান তার চেয়েও বেশি বেশি অংশ ধার হিসেবে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলার জমান পুঁজি বাংলার কাজে আরো বেশি লাগছে - আগে বাংলার টাকায় অন্যেরা ব্যবসা করত। এবং এই সকলই হচ্ছে সিন্ডিকেটের পরিপ্রেক্ষিতে। যে বিশ্বে পুঁজির পথে কোন রকম স্পীডব্রেকার বা বাম্পার সরানোই হলো তাদের রাজনৈতিক দালালদের কাজ, সিন্ডিকেট হলো এমন এক ব্যবস্থা তা অতি-সচল পুঁজিকে স্থানীয় এলাকাকে পাপোশ বা হোটেল বা গ্যারেজের মত ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় কর দিতে বাধ্য করে। এটা ছাড়া পুঁজির আর সমস্যা কিসের এদিক সেদিক উড়ে যাবার? মুম্বই হোক আর বালিগঞ্জ হোক, সেখানকার পুঁজি যে রঘুনাথপুরে মাটি কিনে মাল কামাবে, তাতে রঘুনাথপুরে এলাকাবাসীর আসলে কোন অধিকারের জায়গা নেই। সিন্ডিকেট সেই হৃত প্রাকৃতিক অধিকারকে বেআইনি ভাবে প্রতিষ্ঠা দেয়। তাই পুঁজি সিন্ডিকেটকে ঘেন্না করে। এবং সেই পুঁজির দালাল মিডিয়া-ও সিন্ডিকেটকে ঘেন্না করে।
No comments:
Post a Comment