দিনাজপুরে ফেরার পথে রাস্তায় একটু বিশ্রামের জন্য দাঁড়ালাম গজেন মালাকারের বাড়ি। রাজগঞ্জে। রসিকবিল-কামাখ্যাগুড়ি-নিমতি দোমহানি-বক্সা-জলদাপাড়া-মাদারিহাট-বীরপাড়া-ধুপগুড়ি-ময়নাগুড়ি বাইপাস-জলপাইগুড়ি হয়ে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি রাস্তায় ফাটাপুকুর থেকে ঢুকতে হয়। রায়ডাক, তোর্সা, কালজানি, ডিমা-চু, কালচিনি, গদাধর, ইত্যাদি ছোট-বড় নানা নদী পেরোলাম। চা বাগান এলাকা। জ্বরাক্রান্ত ক্লান্ত জয়াদি স্নান করবেন এবং বিশ্রাম নেবেন। আমরা চা বাগান এবং ভ্রমনের জায়গা দেখব।
রাজগঞ্জের চা বাগানে চোখ জুড়িয়ে যায়। গজেনদার বাড়ির পেছনে চা বাগান, তার পেছনে করতোয়া নদী। সেটি টপকে আবার গজেনদার চা বাগান। গজেনদা তখন নদীর ওপর পাড়ের চা বাগানে জল দিচ্ছেন।
আধ ঘণ্টার মধ্যে ফিরলেন। খাওয়া হল। তারপরে সংক্ষিপ্ত বৈঠক। গজেনদা চা বাগান চালাতে পারছেন না। লাভ হচ্ছে না। তিনি সংগঠনকে তার ৮ বিঘা জমি দিয়ে দিতে চান। বদলে চান তার দুই সন্তানের কাজের নিরাপত্তা। আমরা ভাবার সময় নিলাম, একমাসের মধ্যে ফিরে পাকা কথা বলব ঠিক হল।
সেদিন জয়াদির জ্বরের জন্য খুব বেশি কিছু কথা হল না। আর ফেরার তাড়াও ছিল। শিলিগুড়ি থেকে রাধিকাপুর প্যাসেঞ্জার কখন ছাড়বে সে বিষয়ে কেউ খুব একটা সঠিক তথ্য দিয়ে পারছেন না। ফলে একটু তাড়াতাড়ি শিলিগুড়ি ফিরতে হবে।
কথা শেষ করে আড়াইটের দিকে উঠলাম। রাস্তা ভাল। তিনটের মধ্যে শিলিগুড়ি স্টেশনে পৌঁছলাম। চারচাকা ছাড়লাম। শুনলাম ট্রেন সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছাড়বে। জয়াদিকে ওষুধ কিনে দিলাম। তিনি ভাল হয়ে উঠলেন। আমরা ট্রেনে উঠলাম। ট্রেন কালিয়াগঞ্জ পৌঁছল রাত ১২টা। সেখানে গাড়ি ছিল। ফতেপুর-খুনিয়াডাঙ্গি-দেহাবন্ধ-ইটাহার-মারনাই মোড় হয়ে রাত একটা নাগাদ পৌঁছলাম মুস্কিপুর।
তখন সক্কলে ক্লান্ত। মঞ্জু বউদি রেঁধে রেখেছিলেন। সক্কলে নাকে মুখে গুঁজে শুয়ে পড়ার অপেক্ষায়। স্বপনদা খেলেন তরকারির সঙ্গে মুড়ি।
রাজগঞ্জের চা বাগানে চোখ জুড়িয়ে যায়। গজেনদার বাড়ির পেছনে চা বাগান, তার পেছনে করতোয়া নদী। সেটি টপকে আবার গজেনদার চা বাগান। গজেনদা তখন নদীর ওপর পাড়ের চা বাগানে জল দিচ্ছেন।
আধ ঘণ্টার মধ্যে ফিরলেন। খাওয়া হল। তারপরে সংক্ষিপ্ত বৈঠক। গজেনদা চা বাগান চালাতে পারছেন না। লাভ হচ্ছে না। তিনি সংগঠনকে তার ৮ বিঘা জমি দিয়ে দিতে চান। বদলে চান তার দুই সন্তানের কাজের নিরাপত্তা। আমরা ভাবার সময় নিলাম, একমাসের মধ্যে ফিরে পাকা কথা বলব ঠিক হল।
সেদিন জয়াদির জ্বরের জন্য খুব বেশি কিছু কথা হল না। আর ফেরার তাড়াও ছিল। শিলিগুড়ি থেকে রাধিকাপুর প্যাসেঞ্জার কখন ছাড়বে সে বিষয়ে কেউ খুব একটা সঠিক তথ্য দিয়ে পারছেন না। ফলে একটু তাড়াতাড়ি শিলিগুড়ি ফিরতে হবে।
কথা শেষ করে আড়াইটের দিকে উঠলাম। রাস্তা ভাল। তিনটের মধ্যে শিলিগুড়ি স্টেশনে পৌঁছলাম। চারচাকা ছাড়লাম। শুনলাম ট্রেন সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছাড়বে। জয়াদিকে ওষুধ কিনে দিলাম। তিনি ভাল হয়ে উঠলেন। আমরা ট্রেনে উঠলাম। ট্রেন কালিয়াগঞ্জ পৌঁছল রাত ১২টা। সেখানে গাড়ি ছিল। ফতেপুর-খুনিয়াডাঙ্গি-দেহাবন্ধ-ইটাহার-মারনাই মোড় হয়ে রাত একটা নাগাদ পৌঁছলাম মুস্কিপুর।
তখন সক্কলে ক্লান্ত। মঞ্জু বউদি রেঁধে রেখেছিলেন। সক্কলে নাকে মুখে গুঁজে শুয়ে পড়ার অপেক্ষায়। স্বপনদা খেলেন তরকারির সঙ্গে মুড়ি।
গজেনদার বাড়ির পেছনের চা বাগান। শেষে করতোয়া নদী। |
চা বাগানে স্বপনদা |
বাড়ির পেছনের চা বাগান শেষে করতোয়া নদী |
করতোয়া নদীর ওপারে চা বাগানে গজেনদা জল দিচ্ছেন |
ওই |
চা ফুল হাতে স্বপনদা আর বাড়ি সংলগ্ন চা বাগান |
রাধিকাপুর প্যাসেঞ্জারে অন্য তিনজন |
লিখছেন জয়াদি |
জয়াদি স্বপনদা |
No comments:
Post a Comment