পরেরদিন সক্কালে চা আর রুটি আলু তরকারি খেয়ে জয়াদি বন বাংলো থেকে হেঁটে গেলেন রসিক বিল গ্রামে দেবব্রতদের বাড়ি।
আমি মধুদা আর স্বপনদাকে নিয়ে গেলাম, কামাখ্যাগুড়ি হয়ে মধ্য নারারথলি গ্রাম। সেটি মেচি নদির তীরে। মেচ সমাজের গ্রাম। (সেই ছবিগুলো স্বপনদার ক্যামেরায় আছে। পরে লোকফোকে তুলব।) সেই সমাজের প্রধান দারেন্দ্র ঈশ্বরারী আমাদের সক্কলের দারেনদা। সংগঠনের পুরনো নেতৃত্ব। সেখানে কথা হল যে আমরা সেখানে একটি কারু ভ্রমণ কেন্দ্র গড়ে তুলব। তিনি সেই কাজে আমাদের একজন হবেন। স্থানীয় যে পরিকাঠামো গড়ে উঠবে তিনি আর তাঁর সমাজ তাকে দেখভাল করবেন। সেদিন তাঁর সরকারি অনুষ্ঠানে কলকাতায় আসার কথা। খুব বেশি কথা হল না। একমাস পরে আমরা আসব, আরও বিশদে কথা পরিকল্পনা হবে, এই কথা করে আমরা রসিক বিলের পথ ধরলাম।
গাড়ি নিয়েই গেলাম গ্রামে। গিয়েই উদুখলের এই ছবিটি তুললাম। দেখালেন দেবব্রতর কাকিমা। যে ডান্ডিটা তিনি ধরে আছেন, সেটির একদিকে ধান কুটে চাল তৈরি হয়। সে প্রান্তটি লোহা দিয়ে বাঁধানো। অন্য প্রান্তটি খালি। সেটি দিয়ে চিড়ে কোটা হয়।
উদুখল |
উদুখল আর শস্য ভাঙ্গার ডান্ডি হাতে দেবব্রতর কাকিমা |
No comments:
Post a Comment