তার নাম চৈতা. সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের লোক সংগীত. মকলা বাঁশে ঘেরা বাঁশবাড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়েছে মহানন্দা. একটু দূরেই জাতীয় সড়ক. রেলস্টশন আলুয়াবাড়ি. এই চৈত্র সন্ধ্যায় গ্রাম একত্রে মেয়ে পুরুষ এক সঙ্গে যে গান গেয়ে ওঠেন, তার নামই চৈতা. ক্রমশঃ এই গান ছড়িয়ে পড়ে নানান গ্রামে মহানন্দার পাড় ধরে. দার্জিলং জেলার তুরিয়াখালি আর চিতলঘাটা গ্রামে.
শুরু পয়লা চৈত্রের সন্ধ্যায়. মেয়েরা বাড়ি বসে খালিগলায় গান তোলে আর বাড়ি থেকে বারে বেরোনো পুরুষদের গানের সঙ্গের সঙ্গী খোল, মঞ্জিরা আর উত্তরবঙ্গের গানের সঙ্গে প্রায় সম নাম হয়ে ওঠা দোতরা. অনেকটা সওয়াল জবাবের ঢংএ গান এগিয়ে চলে.
পড়িগেল চৈতকে ধুপ / আরে নেহারোয়া কৈসে যাই বারে...(চৈত্রের প্রখর রোদে কীভাবে বাড়ির বাইরে তাকাই), এরপর এক চৈতা গায়ক প্রশ্ন তোলেন, কোনা মাসে আমআরে / মঞ্জরী গেলহে রামা কোনা মাসে ধরলে টিকব? কোনমাসে আমের মুকুল আর কোন মাসে গুটি, এই প্রশ্নের উত্তরদেন আর এক চৈতা গায়ক, মাঘমাসে আমআরে মঞ্জরী গিল /চৈতা মাসে ধরালে টিকব অর্থাত মাঘ মাসে আমের মঞ্জরী আর চৈত্রতে তার গুটি.
গানের ভাষা কিন্তু ব্রজবুলির. যদিও এ গ্রামগুলোর বাসিন্দারা নিজেদের বাঙালি আর মাহিষ্য বলে পরিচয়দেন, কিন্তু এই গানের কথা স্পষ্টই মৈথিলি ব্রজবুলি.
চৈত্রের চড়া রোদে ঘাটো ব্রত, গমীরা আর সিরুয়া পরব. সিরুয়ায় একে অপরের গায়ে ছুঁড়ে দেবে ধুলো, মাটি আর কাদা. ঘরের দেওয়ালে পড়বে রঙএর ছোপ, আঁকা হবে নানান ফুল, পাখি আর লতা.
মনেরাখতে হবে ঠিক এই সময়েই সারা ভোজপুরি এলাকা জুড়ে নরনারী সমবেতস্বরে গেয়ে ওঠে চৈতা গান.
শুরু পয়লা চৈত্রের সন্ধ্যায়. মেয়েরা বাড়ি বসে খালিগলায় গান তোলে আর বাড়ি থেকে বারে বেরোনো পুরুষদের গানের সঙ্গের সঙ্গী খোল, মঞ্জিরা আর উত্তরবঙ্গের গানের সঙ্গে প্রায় সম নাম হয়ে ওঠা দোতরা. অনেকটা সওয়াল জবাবের ঢংএ গান এগিয়ে চলে.
পড়িগেল চৈতকে ধুপ / আরে নেহারোয়া কৈসে যাই বারে...(চৈত্রের প্রখর রোদে কীভাবে বাড়ির বাইরে তাকাই), এরপর এক চৈতা গায়ক প্রশ্ন তোলেন, কোনা মাসে আমআরে / মঞ্জরী গেলহে রামা কোনা মাসে ধরলে টিকব? কোনমাসে আমের মুকুল আর কোন মাসে গুটি, এই প্রশ্নের উত্তরদেন আর এক চৈতা গায়ক, মাঘমাসে আমআরে মঞ্জরী গিল /চৈতা মাসে ধরালে টিকব অর্থাত মাঘ মাসে আমের মঞ্জরী আর চৈত্রতে তার গুটি.
গানের ভাষা কিন্তু ব্রজবুলির. যদিও এ গ্রামগুলোর বাসিন্দারা নিজেদের বাঙালি আর মাহিষ্য বলে পরিচয়দেন, কিন্তু এই গানের কথা স্পষ্টই মৈথিলি ব্রজবুলি.
চৈত্রের চড়া রোদে ঘাটো ব্রত, গমীরা আর সিরুয়া পরব. সিরুয়ায় একে অপরের গায়ে ছুঁড়ে দেবে ধুলো, মাটি আর কাদা. ঘরের দেওয়ালে পড়বে রঙএর ছোপ, আঁকা হবে নানান ফুল, পাখি আর লতা.
মনেরাখতে হবে ঠিক এই সময়েই সারা ভোজপুরি এলাকা জুড়ে নরনারী সমবেতস্বরে গেয়ে ওঠে চৈতা গান.
No comments:
Post a Comment