সারা পৃথিবীর ধান্যউত্পাদক অঞ্চলেই ধান রাখার আগারের কথা পাওয়া গিয়েছে. বাংলার নানান প্রান্তে নানান ধরনের ধান গোলা তৈরি হয়. গঠণের তারতম্যে এদের ভিন্ন ভিন্ন নামকরণ হয়. মরাই বা তলা, কড়ুই, বাঁদি, ডোল ইত্যাদি.
গোলা
প্রচুর পরিমান ধান রাখা যায়. অন্ততঃ ৫ থেকে ১০ মন পর্যন্ত. সেগুলির চেহারা অনেকটা আয়তকার বাড়িরমত. মেঝে সাধারণতঃ মাটিরই হয়, আবার পাকাও হতে পারে. এর স্থান মাটির কিছু ওপরেই. এর ভেতরে এক বা অনেক কুঠুরিও থাকতে পারে. গোলার দেওয়ালে থাকে জানালা. মই বা সিঁড়িতে উঠে এই গোলাতে ঢুকতে হয়. গোলার দেওয়াল নিকোনো মাটিরও হতেপারে আবার আজকালের রীতি অনুযায়ী সিমেন্ট দিয়ে লেপাও হয়. গোলার নিচের ছোট দ্বার খুলে দিয়ে নানান সময়ে প্রয়োজনে ধান দেরকরা হয়.
মরাই
মরাই নানান কিছু দিয়েই হতে পারে. দক্ষিণ বঙ্গের নানান জেলায় হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর পূ, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় খড়ের দড়ি পাকিয়ে পাকিয়ে প্রায় শঙ্কু আকৃতির ২০ থেকে ৪০ হাত পর্যন্ত উঁচুও মরাই তৈরি হয়. এছাড়াও বাঁশের বাঁখারির বুকো বা বোনা চাটাই দিয়েও মরাই তৈরি হয়. মরাইতে সাধারণতঃ ১ থেকে ৪ মন পর্যন্ত ধান রাখা যায়. মরাই তৈরির পদ্ধতি দেশজ কারিগরি দক্ষতার একটি বড় শৃঙ্গ.
মরাইএর প্রধান উপকরণ পাকানো অথবা বিনুনি পাকানো খড়ের দড়ি, বীরভূমে যাকে বর বলে. খড়গুলিকে আগি ভিজিয়ে রেখে শুকিয়ে নিয়ে নরমন করা হয়. এবার পাকানোর কাজ. একহাতে কাজ হলে বিনুনিটি বেশ চওড়া হয় আর দুই হাতে - একজন পাকানো আর এক জন খড়ের যোগান দিলে সেই বিনুনি অনেক সরু হয়. খড়ের পর খড় জুড়ে দীর্ঘ বিনুনি তৈরি করা হয়. সাধারণতঃ নিম্ন আয় সম্পন্ন বাড়িতে এক জন সাহায্যকারী থাকেন যিনি দক্ষ কারিগরকে হাতজুড়ে সাহায্য করেন.
মরাই তৈরির জন্য মাটির ওপর সমান্তরাল দুটি মাটির দেওয়াল তৈরি করা হয়. একে পায়া বলে. এক ওপর সমান্তরালভাবে বাঁশ সাজিয়ে মেঝেটা ঘন করা হয়. মেঝে হয় দুই হাত থেকে তিন হাত ব্যাসের. মাটি থেকে দেড় থেকে ৩ হাত উঁচু হতে পাকে এই মেঝে. মেঝেয় ঘনকরে সাজানো বাঁশের ওপর খড় বিছিয়ে দেওয়া হয়. যেমন আকৃতির মরাই গৃহস্থ চাইছেন সেই আকৃতির মেঝে করে সেটির ওপরে বরকে গোল করে ঘুরিয়ে রাখা হয়. এই বরগুলেকে ঠিকঠাক গোল করার জন্য বাঁশের বাতা দিয়ে টেনে রাখা হয়, যাতে এগুলি গুটিয়ে না যায়. নিচের থেকে ওপরের অংশ এনেকটা চওড়া হয়. বরের ভেতরের অংশে বরগুলিকে ঘণকরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়.
এবারে মরাইএর ওপরে ছাওয়ার পালা. আরএক প্রকার পাকানো দড়ি যাকে বুট বলে, তা নিচেরদিকে বেড় দেওয়া হয়. বেড়ের ভেতর খড়কে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়. পুরো মরাই তৈরি হয়ে গেলে মাথা ছাওয়ার কাজ. খড়ের গোড়র দিকটা ছাউনির ভেতরে থাকে আর মাথার দিকটা বাইরে. প্রায় শপণেরমত খড় লাগে একটা মরাই ছাইতে. ছাওয়ার পর এবার মাথায় খড় দিয়ে মুকুট তৈরি হয়, যাতে ভেতরে জল না পড়ে.
মরাইতে দুতিন বছর পর্যন্ত ধান রাখা যায়. ধান বের করা হয়েগেলে বরগুলি গুছিয়ে রাখতে হয়. ধান বের করার দরকার হলে নিচের দিকের দুচি বরের মাঝখানে শাবল দিয়ে ফাঁক করে এই ফাঁকে একটা বাতা গুঁজে ফাঁকটা রেখে দেওয়া হয়. এবার সামনে মেচলা বা যে কোনো পাত্র ধরলে সেই পাত্রে ধান পড়ে. তবে খুব বেশি ধান এই মরাই থেকে বের করা হয় না, ধসে পড়ার আশংকা থাকে.
গোলা
প্রচুর পরিমান ধান রাখা যায়. অন্ততঃ ৫ থেকে ১০ মন পর্যন্ত. সেগুলির চেহারা অনেকটা আয়তকার বাড়িরমত. মেঝে সাধারণতঃ মাটিরই হয়, আবার পাকাও হতে পারে. এর স্থান মাটির কিছু ওপরেই. এর ভেতরে এক বা অনেক কুঠুরিও থাকতে পারে. গোলার দেওয়ালে থাকে জানালা. মই বা সিঁড়িতে উঠে এই গোলাতে ঢুকতে হয়. গোলার দেওয়াল নিকোনো মাটিরও হতেপারে আবার আজকালের রীতি অনুযায়ী সিমেন্ট দিয়ে লেপাও হয়. গোলার নিচের ছোট দ্বার খুলে দিয়ে নানান সময়ে প্রয়োজনে ধান দেরকরা হয়.
মরাই
মরাই নানান কিছু দিয়েই হতে পারে. দক্ষিণ বঙ্গের নানান জেলায় হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর পূ, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় খড়ের দড়ি পাকিয়ে পাকিয়ে প্রায় শঙ্কু আকৃতির ২০ থেকে ৪০ হাত পর্যন্ত উঁচুও মরাই তৈরি হয়. এছাড়াও বাঁশের বাঁখারির বুকো বা বোনা চাটাই দিয়েও মরাই তৈরি হয়. মরাইতে সাধারণতঃ ১ থেকে ৪ মন পর্যন্ত ধান রাখা যায়. মরাই তৈরির পদ্ধতি দেশজ কারিগরি দক্ষতার একটি বড় শৃঙ্গ.
মরাইএর প্রধান উপকরণ পাকানো অথবা বিনুনি পাকানো খড়ের দড়ি, বীরভূমে যাকে বর বলে. খড়গুলিকে আগি ভিজিয়ে রেখে শুকিয়ে নিয়ে নরমন করা হয়. এবার পাকানোর কাজ. একহাতে কাজ হলে বিনুনিটি বেশ চওড়া হয় আর দুই হাতে - একজন পাকানো আর এক জন খড়ের যোগান দিলে সেই বিনুনি অনেক সরু হয়. খড়ের পর খড় জুড়ে দীর্ঘ বিনুনি তৈরি করা হয়. সাধারণতঃ নিম্ন আয় সম্পন্ন বাড়িতে এক জন সাহায্যকারী থাকেন যিনি দক্ষ কারিগরকে হাতজুড়ে সাহায্য করেন.
মরাই তৈরির জন্য মাটির ওপর সমান্তরাল দুটি মাটির দেওয়াল তৈরি করা হয়. একে পায়া বলে. এক ওপর সমান্তরালভাবে বাঁশ সাজিয়ে মেঝেটা ঘন করা হয়. মেঝে হয় দুই হাত থেকে তিন হাত ব্যাসের. মাটি থেকে দেড় থেকে ৩ হাত উঁচু হতে পাকে এই মেঝে. মেঝেয় ঘনকরে সাজানো বাঁশের ওপর খড় বিছিয়ে দেওয়া হয়. যেমন আকৃতির মরাই গৃহস্থ চাইছেন সেই আকৃতির মেঝে করে সেটির ওপরে বরকে গোল করে ঘুরিয়ে রাখা হয়. এই বরগুলেকে ঠিকঠাক গোল করার জন্য বাঁশের বাতা দিয়ে টেনে রাখা হয়, যাতে এগুলি গুটিয়ে না যায়. নিচের থেকে ওপরের অংশ এনেকটা চওড়া হয়. বরের ভেতরের অংশে বরগুলিকে ঘণকরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়.
এবারে মরাইএর ওপরে ছাওয়ার পালা. আরএক প্রকার পাকানো দড়ি যাকে বুট বলে, তা নিচেরদিকে বেড় দেওয়া হয়. বেড়ের ভেতর খড়কে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়. পুরো মরাই তৈরি হয়ে গেলে মাথা ছাওয়ার কাজ. খড়ের গোড়র দিকটা ছাউনির ভেতরে থাকে আর মাথার দিকটা বাইরে. প্রায় শপণেরমত খড় লাগে একটা মরাই ছাইতে. ছাওয়ার পর এবার মাথায় খড় দিয়ে মুকুট তৈরি হয়, যাতে ভেতরে জল না পড়ে.
মরাইতে দুতিন বছর পর্যন্ত ধান রাখা যায়. ধান বের করা হয়েগেলে বরগুলি গুছিয়ে রাখতে হয়. ধান বের করার দরকার হলে নিচের দিকের দুচি বরের মাঝখানে শাবল দিয়ে ফাঁক করে এই ফাঁকে একটা বাতা গুঁজে ফাঁকটা রেখে দেওয়া হয়. এবার সামনে মেচলা বা যে কোনো পাত্র ধরলে সেই পাত্রে ধান পড়ে. তবে খুব বেশি ধান এই মরাই থেকে বের করা হয় না, ধসে পড়ার আশংকা থাকে.
No comments:
Post a Comment