Friday, April 3, 2020

হিন্দুত্ব এবং প্রগতিশীলদের পোস্টার বয় কালীপ্রসন্ন সিঙ্গি

নবজাগরণ = লুঠ + হিন্দুত্ব + ইসলামোফোবিয়া +...
Souvik তিন বছর আগে প্রশ্ন করেছিলেন ১৮৫৬ সালের ৩০০ টাকার বর্তমান মূল্য আনুমানিক কত ?
আমাদের উত্তর ছিল "১৮২০ সালের মাগ্যিগণ্ডার কলকাতার হিসেব বলতে পারি - চালের দামের তুলনায়। কলকাতায় সবথেকে দামি বালাম চালের মূল্য ছিল মণ প্রতি ১টাকা ২৫ পয়সা। সে সময় বিদ্যাসাগর মশাইয়ের পিতা ঠাকুরদাস কলকাতায় মাসে ২টাকা রোজগার করে নিজেকে স্বচ্ছল ভাবছেন। আজকে ধরে নেওয়া যাক খুব ভাল চালের দাম যদি কিলো প্রতি ২০০টাকা হয় তাহলে এক মণের দাম হবে সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা। আর্থাত আজকের কলকাতার মূল্যে তিনি রোজগার করতেন কাছাকাছি ১৪০০০ টাকা - একজন প্রাথমিক শিক্ষকের রোজগারের কাছাকাছি।"
---
এই হিসেবে ২ টাকার মূল্য ১৪,০০০ টাকা হলে ১ টাকা ৭০০০ টাকা হবে। ৩০০ টাকা হবে ৭০০০  ৩০০ টাকা = ২১,০০,০০০ টাকা। ২১ লক্ষ টাকা।
সৌভিক এটা কেন জানতে চাইলেন?
তিনি লিখছেন - জমিদার কালীপ্রসন্ন সিংহ ৪ নভেম্বর, ১৮৫৬ সালে তার সভা সম্পাদক শ্রী ক্ষেত্রনাথ বসুর মাধ্যমে সংবাদ প্রভাকরে একটি বিজ্ঞাপণ দেন। এতে বলা হয় "হিন্দুধর্মের উৎকৃষ্টতা" বিষয়ক প্রবন্ধ নানাপ্রকার প্রামাণাদি সহিত লিখিতে হইবে, যিনি লেখকগণের মধ্যে বিচারে উত্তম হইবেন তাঁহাকে বিদ্যোৎসাহিনী সভা তিন শত মুদ্রা পারিতোষিক প্রদান করিবেন"।
ওপরের অঙ্কটা অনুররণ করলে দাঁড়ায় তিনশত মুদ্রা মানে আজকের হিসাবে আনুমানিক ২১ লক্ষ টাকা।
---
হিন্দুত্বের বিকাশ শুধুই বিজেপি বা জনসঙ্ঘ বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা আরেসেস দিয়ে হয় নি। তাকে শতকের পর শতক তেলে জলে মালাই দলাই করা হয়েছে, মেট্রোপলিটনিয় গুরু এবং তাদের পরিকল্পনায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্তজাত নব্য লুঠেরা জমিদারেরা বিপুল বিনিয়োগ করে বিকাশ ঘটিয়েছে। নবজাগরণের হাত ধরে সমান্তরালভাবে বিকাশ ঘটেছে ইসলামোফোবিয়াও। বিদ্যাসাগর মশায়ের গুরুঠাকুর বাংলা থেকে যবন দোষ হঠাতে পারসিক অভিধান লিখে ফেলেছেন এর দুদশক আগেই।
ফলে লুঠের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুত্ব আর যোগ হয় ইসলামোফোবিয়াও।

No comments: