দেশ পত্রিকায় সম্ভবত মৌলিক জ্ঞানচর্চা বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং বাঙালিকে ঔপনিবেশিক জাতিবাদিতার ভুত আজও ছাড়ে নি।
সম্প্রতি উক্ত পত্রিকায় বিমান নাথ 'ক্যালকুলাসের ভারতীয় আত্মীয়' নামক একটি প্রবন্ধ লিখেছেন সেখানে এই দুই ভুতেরই রমরমা। বিমানবাবুর প্রবন্ধটি গত বছর(২৩ জুন ২০১৫) ফ্রন্টলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রবন্ধটি তার মোটামুটি বঙ্গানুবাদ আর মোটামুটি ইওরোপমুখ্যতার ঔপনিবেশিক জ্ঞানচর্চায় ভারতের জ্ঞানচর্চা সম্বন্ধে এত দিন যা দাবি করা হয়েছে, তিনিও সেই রাস্তায় হেঁটেছেন, কিছুটা ব্যজস্তুতির ঢঙে।
এই প্রকাশনীর বিজ্ঞান সম্পাদক পথিক গুহ পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের বাইরে আর কোন জ্ঞানচর্চার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না, তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধে সেই প্রবণতা পরিষ্কার - বিমান নাথের প্রবন্ধের নামকরণেও সেই প্রবণতা স্বচ্ছ - ক্যালকুলাস নামক জ্ঞানচর্চার তার জন্মের থেকেও পুরোনো ভারতীয় শব্দ 'কলণ'এর অস্তিত্ব রয়েছে - সে সম্বন্ধে হয় তিনি সচেতন নন, না হয় স্বীকার করেন না।
যাই হোক বিমান নাথের পূর্ব প্রকাশিত প্রবন্ধটি এবং বর্তমান অনুবাদ প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য ভারতে কলণবিদ্যা বিকশিত হয় নি। এটি ইওরোপে বিকশিত হয়েছে। ভারতে যা বিকশিত হয়েছে তা শুধু পশ্চিমের ভাষায় 'প্রোটো ক্যালকুলাস'; দেশ পত্রিকার শীর্ষকদাতার কলমে তা হয়েছে ক্যালকুলাসের ভারতীয় আত্মীয়। তিনি স্পষ্ট বলছেন, 'আমরা সাধারণত জানি যে ক্যালকুলাস বা কলনবিদ্যা আবিষ্কার করেছিলেন নিউটন এবং লাইবনিতজ'।
এ নিয়ে পরম অঙ্ক সংখ্যায় বিশদে চন্দ্রকান্ত রাজুর প্রবন্ধ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি স্পষ্ট দেখিয়েছেন কিভাবে ভারত থেকে কলনবিদ্যা বিদেশে চুপিচুপি জেসুইট পাদ্রিদের হাত ধরে ইওরোপে গিয়েছে, আর সেগুলি কিভাবে সেখানে চর্চিত হচ্ছে।
সব থেকে বড় কথা বিমানবাবু আর দেশ কর্তৃপক্ষ আর্যভটকে সারা প্রবন্ধে আর্যভট্ট বলে গেলেন। এই ঔপনিবেশিক জাতিবাদিতা আর কবে বাঙালী ছাড়বে?
কেননা শুদ্র ভারতে আর্যভট শুদ্র ছিলেন। তাঁর নাম আর্যভট্টে বদলে দিলে সেটি উচ্চবর্ণ হয়ে যায়, এই লুকোনো জাতিবাদিতা আর কত দিন?
এ বিষয়ে চন্দ্রকান্ত রাজু কাফিলায় একটি প্রতিবাদপত্র লিখেছেন - সেটির সূত্র দেওয়া গেল।
এ নিয়ে কি একটা প্রতিবাদ পত্র বাংলায় হতে পারে না?
বন্ধুরা কি বলেন?
https://kafila.org/2015/04/14/frontlines-calculus-of-caste-c-k-raju/
সম্প্রতি উক্ত পত্রিকায় বিমান নাথ 'ক্যালকুলাসের ভারতীয় আত্মীয়' নামক একটি প্রবন্ধ লিখেছেন সেখানে এই দুই ভুতেরই রমরমা। বিমানবাবুর প্রবন্ধটি গত বছর(২৩ জুন ২০১৫) ফ্রন্টলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রবন্ধটি তার মোটামুটি বঙ্গানুবাদ আর মোটামুটি ইওরোপমুখ্যতার ঔপনিবেশিক জ্ঞানচর্চায় ভারতের জ্ঞানচর্চা সম্বন্ধে এত দিন যা দাবি করা হয়েছে, তিনিও সেই রাস্তায় হেঁটেছেন, কিছুটা ব্যজস্তুতির ঢঙে।
এই প্রকাশনীর বিজ্ঞান সম্পাদক পথিক গুহ পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের বাইরে আর কোন জ্ঞানচর্চার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না, তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধে সেই প্রবণতা পরিষ্কার - বিমান নাথের প্রবন্ধের নামকরণেও সেই প্রবণতা স্বচ্ছ - ক্যালকুলাস নামক জ্ঞানচর্চার তার জন্মের থেকেও পুরোনো ভারতীয় শব্দ 'কলণ'এর অস্তিত্ব রয়েছে - সে সম্বন্ধে হয় তিনি সচেতন নন, না হয় স্বীকার করেন না।
যাই হোক বিমান নাথের পূর্ব প্রকাশিত প্রবন্ধটি এবং বর্তমান অনুবাদ প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য ভারতে কলণবিদ্যা বিকশিত হয় নি। এটি ইওরোপে বিকশিত হয়েছে। ভারতে যা বিকশিত হয়েছে তা শুধু পশ্চিমের ভাষায় 'প্রোটো ক্যালকুলাস'; দেশ পত্রিকার শীর্ষকদাতার কলমে তা হয়েছে ক্যালকুলাসের ভারতীয় আত্মীয়। তিনি স্পষ্ট বলছেন, 'আমরা সাধারণত জানি যে ক্যালকুলাস বা কলনবিদ্যা আবিষ্কার করেছিলেন নিউটন এবং লাইবনিতজ'।
এ নিয়ে পরম অঙ্ক সংখ্যায় বিশদে চন্দ্রকান্ত রাজুর প্রবন্ধ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি স্পষ্ট দেখিয়েছেন কিভাবে ভারত থেকে কলনবিদ্যা বিদেশে চুপিচুপি জেসুইট পাদ্রিদের হাত ধরে ইওরোপে গিয়েছে, আর সেগুলি কিভাবে সেখানে চর্চিত হচ্ছে।
সব থেকে বড় কথা বিমানবাবু আর দেশ কর্তৃপক্ষ আর্যভটকে সারা প্রবন্ধে আর্যভট্ট বলে গেলেন। এই ঔপনিবেশিক জাতিবাদিতা আর কবে বাঙালী ছাড়বে?
কেননা শুদ্র ভারতে আর্যভট শুদ্র ছিলেন। তাঁর নাম আর্যভট্টে বদলে দিলে সেটি উচ্চবর্ণ হয়ে যায়, এই লুকোনো জাতিবাদিতা আর কত দিন?
এ বিষয়ে চন্দ্রকান্ত রাজু কাফিলায় একটি প্রতিবাদপত্র লিখেছেন - সেটির সূত্র দেওয়া গেল।
এ নিয়ে কি একটা প্রতিবাদ পত্র বাংলায় হতে পারে না?
বন্ধুরা কি বলেন?
https://kafila.org/2015/04/14/frontlines-calculus-of-caste-c-k-raju/
No comments:
Post a Comment