নীলকান্ত সোমাইয়াজীর তন্ত্রসংগ্রহ পড়া এবং উতফুল্ল
হয়ে সেটি বন্ধু পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়ার প্রেক্ষিতে আমার এক পিতাসম
দাদাস্থানীয় বন্ধু প্রশ্ন তুলেছেন আমি আদৌ বিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিদ্যা পড়েছি
কি না। ব্যক্তিগত আক্রমণ সরিয়ে সরাসরি ঢুকে পড়াযাক নিজেদের সঙ্গে আলাপ
আলোচনায়, যার মাধ্যমে আমরা যারা ভারতের প্রযুক্তির/জ্ঞানচর্চা/বিজ্ঞানের
ইতিহাস খুঁজতে কাজ করছি বলে দাবি করছি, তারা এই বইটি বা এই ধরণের বই কেন
পড়ছি বা পড়া দরকার, বা এই কাজটি কেন করছি
তার উত্তর খুঁজছি। বুঝতে পারছি এটাও একটা উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ।
দাদার আক্রমন গায়ে না মেখে ঢুকে পড়া যাক নিজেদের সঙ্গে বাক্যালাপে।
প্রথমদিকে আমি শব্দটি খুব বিব্রত করবে পাঠকদের - যেহেতু দলের হয়ে ব্যক্তি
আমাকেই, আমার যোগ্যতা নিয়ে, ত্রিকোণমিতি আমার খুব প্রিয় ছিল। যদিও আমি
পড়াশোনায় মাঝারি গোছের ছাত্র ছিলাম।
কিন্তু আমরা মনে করি না কোন ব্যক্তিরর/দলের অধীত বিদ্যাচর্চা তার/তাঁদের পাঠ্যক্রমে না থাকলে সেই বিদ্যাচর্চার যোগ্যতা তার/তাঁদের থাকে না। এটা পশ্চিমকেন্দ্রিক ভাবনা - ভারতের মত বহু বৈচিত্রের দেশে পড়াশোনায়/জ্ঞানচর্চায় এ ধরণের শ্রেণী বিভাগ ছিল না কোনো দিনই। এ পোড়ার দেশে এ রকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে পাণিনী থেকে জগদীশ্চন্দ্র - বেশি তথ্যের বোঝা বাড়াব না।
গত দুশ বছরে দেশিয়, বিজাতীয় বিশেষজ্ঞদের হাতে পড়ে দেশের ইতিহাসচর্চার কি হাল হয়েছে তা সর্বক্ষণ বিষ্ফারিত চোখে দেখছি।আমরা ভারতীয় প্রযুক্তি/বিজ্ঞান/অঙ্ক ইতিহাসের ছাত্র। পশ্চিমি বিজ্ঞানের ইতিহাসের বিশেষজ্ঞদের হাতে পড়ে ভারতীয় প্রযুক্তির আর বিজ্ঞানের ইতিহাসের অবস্থা কি হয়েছে তা হরবখত অনুভব করি - জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিমান নাথ জানেনই না ভারতে আর্যভট্ট বলে কোন গণিতবদ ছিলেন না, ছিলেন আর্যভট, শুদ্র, সরকার পোষিত এক বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রে তার মূর্তিতে পৈতে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নার্লিকর সম্পাদিত দশম শ্রেণীর এনসিইআরটির অঙ্ক বইতে আলেকজান্দ্রিয়ার অঙ্কবিদদের ককেসাসিয়ান চেহারায় দেখানো হয়েছে। টেলর সিরিের মত বহু প্রমান তার বহু আগে এদেশে উতপন্ন হলেও তাকে আজও এদেশে পশ্চিমি নামে পড়ানো হয়, আর কোপার্নিকাস যে এশিয় জ্ঞান টুকলি করেছেন তা বলার যোগ্যতা আজও বহু জ্ঞানচর্চকের হয় নি।
আমরা জানি, ভারতীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস আমাদের মত দেশজ মানুষদের দিয়েই সাধন করতে হবে, তার আগে প্রয়োজন নিজেদের চোখে পরানো পশ্চিমিপ্রভূত্বমূলক চশমা খোলা, উপবিনেশবাদ থেকে উত্তরণ আর নিজের দেশ আর তার মানুষকে জানা, তাদের কথা শোনা, তাদের বিদ্যাচর্চা(বিধিবদ্ধ বিদ্যালয়ীও নাও হতে পারে) সম্বন্ধে অবহিত হওয়া।
জ্ঞানচর্চকদের নানান স্থানে বিশেষ করে পশ্চিমের স্বার্থে টিকি বাঁধার কারণে সে কাজ খুব বেশি হয় নি। কেউ কেউ করছেন সাহস করে, তাঁদের জ্ঞানচর্চায় এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকান্ত রাজু ভারতীয় অঙ্ক, বিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চায় উপনিবেশবাদের ওপর আঘাত হানায় তাকে ভারত ছেড়ে মালেশিয়ায় পড়াতে চলে যেতে হয়েছে। ভারতে প্রোথিত পশ্চিমি উপনিবেশবাদের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে - জ্ঞানচর্চকেরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত - টিকি বাঁধা পশ্চিমি প্রভুত্ববাদে।
আমাদের সুবিধে, আমাদের বাঁধা গত নেই। আমাদের কোন পিছুটান নেই। ফলে আমাদের রাস্তা তৈরি করি আমরাই।
আমরা কোন তাত্ত্বিকতায় বাঁধা নই। ফলে বহু মানুষ রুষ্ট হবেন।
আমরা নাচার।
শুধু জানি এ কাজ আমাদেরই। আমাদেরই করতে হবে।
ভিমরুলের চাকে ঘা পড়লে কিছু কামড় খেতে হয় তাও জানি।
কিন্তু আমরা মনে করি না কোন ব্যক্তিরর/দলের অধীত বিদ্যাচর্চা তার/তাঁদের পাঠ্যক্রমে না থাকলে সেই বিদ্যাচর্চার যোগ্যতা তার/তাঁদের থাকে না। এটা পশ্চিমকেন্দ্রিক ভাবনা - ভারতের মত বহু বৈচিত্রের দেশে পড়াশোনায়/জ্ঞানচর্চায় এ ধরণের শ্রেণী বিভাগ ছিল না কোনো দিনই। এ পোড়ার দেশে এ রকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে পাণিনী থেকে জগদীশ্চন্দ্র - বেশি তথ্যের বোঝা বাড়াব না।
গত দুশ বছরে দেশিয়, বিজাতীয় বিশেষজ্ঞদের হাতে পড়ে দেশের ইতিহাসচর্চার কি হাল হয়েছে তা সর্বক্ষণ বিষ্ফারিত চোখে দেখছি।আমরা ভারতীয় প্রযুক্তি/বিজ্ঞান/অঙ্ক ইতিহাসের ছাত্র। পশ্চিমি বিজ্ঞানের ইতিহাসের বিশেষজ্ঞদের হাতে পড়ে ভারতীয় প্রযুক্তির আর বিজ্ঞানের ইতিহাসের অবস্থা কি হয়েছে তা হরবখত অনুভব করি - জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিমান নাথ জানেনই না ভারতে আর্যভট্ট বলে কোন গণিতবদ ছিলেন না, ছিলেন আর্যভট, শুদ্র, সরকার পোষিত এক বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রে তার মূর্তিতে পৈতে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নার্লিকর সম্পাদিত দশম শ্রেণীর এনসিইআরটির অঙ্ক বইতে আলেকজান্দ্রিয়ার অঙ্কবিদদের ককেসাসিয়ান চেহারায় দেখানো হয়েছে। টেলর সিরিের মত বহু প্রমান তার বহু আগে এদেশে উতপন্ন হলেও তাকে আজও এদেশে পশ্চিমি নামে পড়ানো হয়, আর কোপার্নিকাস যে এশিয় জ্ঞান টুকলি করেছেন তা বলার যোগ্যতা আজও বহু জ্ঞানচর্চকের হয় নি।
আমরা জানি, ভারতীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস আমাদের মত দেশজ মানুষদের দিয়েই সাধন করতে হবে, তার আগে প্রয়োজন নিজেদের চোখে পরানো পশ্চিমিপ্রভূত্বমূলক চশমা খোলা, উপবিনেশবাদ থেকে উত্তরণ আর নিজের দেশ আর তার মানুষকে জানা, তাদের কথা শোনা, তাদের বিদ্যাচর্চা(বিধিবদ্ধ বিদ্যালয়ীও নাও হতে পারে) সম্বন্ধে অবহিত হওয়া।
জ্ঞানচর্চকদের নানান স্থানে বিশেষ করে পশ্চিমের স্বার্থে টিকি বাঁধার কারণে সে কাজ খুব বেশি হয় নি। কেউ কেউ করছেন সাহস করে, তাঁদের জ্ঞানচর্চায় এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকান্ত রাজু ভারতীয় অঙ্ক, বিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চায় উপনিবেশবাদের ওপর আঘাত হানায় তাকে ভারত ছেড়ে মালেশিয়ায় পড়াতে চলে যেতে হয়েছে। ভারতে প্রোথিত পশ্চিমি উপনিবেশবাদের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে - জ্ঞানচর্চকেরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত - টিকি বাঁধা পশ্চিমি প্রভুত্ববাদে।
আমাদের সুবিধে, আমাদের বাঁধা গত নেই। আমাদের কোন পিছুটান নেই। ফলে আমাদের রাস্তা তৈরি করি আমরাই।
আমরা কোন তাত্ত্বিকতায় বাঁধা নই। ফলে বহু মানুষ রুষ্ট হবেন।
আমরা নাচার।
শুধু জানি এ কাজ আমাদেরই। আমাদেরই করতে হবে।
ভিমরুলের চাকে ঘা পড়লে কিছু কামড় খেতে হয় তাও জানি।
No comments:
Post a Comment