মেলা উদ্বোধন
মেলা উদ্বোধনের ইতিহাসটি কিন্তু এখানে লিখে রাখা দরকার.
বলা দরকার সংঘে যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ রয়েছেন, সংঘ তাই চায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতা.
প্রাথমিকভাবে সাংসদ দীপা দাসমুন্সীকে উদ্বোধনের চিঠি প্রস্তাবরূপে দেওয়া হয়. তিনি জানান ১৭ রোববার, শনিবার হলে রাজি. আমরাও রাজি হয়েছিলাম.
পরে জানালেন ১৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী মালদায় আসছেন, তিনি তাই উদ্বোধন করতে পারবেন না.
স্থানীয় বিধায়ক প্রমথনাথ রায়কেমহাশয়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়. কিন্তু তিনি কথা দেন না. তাঁকে জানানো হয় জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা মহাশয় হয়ত শেষ দিন আসবেন, সে বিষয়টি তিনি খুব একটা গুরুত্ব দেন নি.
এছাড়াও মেলার একমাস আগের মিটিংএ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আঙ্গীকার করেছিলেন চান্দোলে প্রাকৃতিক কর্ম করার স্থান আর একটি জনের কল করেদেবেন. তিনি দেন নি. আর ডাকলেও আসেন নি.
সাংগঠনিকভাবে জেলা কমিটি চেয়েছিল খুব প্রধান কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে মঞ্চে না নিয়ে আসার. কিন্তু জেলা এবং আরও যারা মেলা আয়োজক ক্লাব ছিল তাঁদের দাবিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়.
মেলা যত এগিয়ে আসে, বোঝা যায়, কংগ্রেস সাহায্যতো করবে না.
৭ দিন আগে অসীম ঘোষ মশাইএর সঙ্গে দেখা করে অমল আচার্য মশাইকে মেলা সভাপতি আর মাননীয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ মন্ত্রী গৌতম দেবকে মেলা উদ্বোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়. অমল আচার্যমশাইকে বলাও হয়. তিনি রাজি হন, শেষে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, অমল আচার্য মশাইকে দিয়েই মেলা উদ্বোধন করানো হবে.
বলতে দ্বিধা নেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সর্বান্তকরণে মেলা সংগঠণে সাহায্য করেন. বিশেষ করে বাজারু(সরকার)দার নাম না উল্লেখ করলে পাতকী হতে হবে. অনেক সময় আমনা তাঁর কর্মদক্ষতায় প্রশ্ন তুলেছিলাম, কিন্তু তিনি সব ভুল প্রমাণ করে অমন আচার্য মশাইকে দিয়ে এই গ্রামীণ মেলা উদ্বোধন করিয়ে ছিলেন.
বাংলাদেশ থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছিল বাংলাদেশের শিল্পীরা ১৮ তারিখ আসবেন হিলি আর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে. বনগাঁ দিয়ে আসা শিল্পীরা রওনা দিলেন কলকাতা থেকে ১৭ তারিখ আর ১৭র রাতে বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পীরা রওনা দিলেন. পরেরদিন কলকাতার শিল্পীরা ইটাহারে পৌঁছবেন আর অন্যরা হিলিতে.
সকালে আমরা অনেকেই চাঁদা তুলতে বেরিয়েছিলাম. টাকা এবং চাল সংগ্রহকরে তিনটের দিকে মেলায় পৌঁছেই দেখি ভীষণ গন্ডগোল. আবু তাহেরের(কার্পেটের) লোকেরা চলে যাবেন হুমকি দিচ্ছেন. তাঁদের স্টল দিতে হবে. বাংলাদেশের জন্য চারটে রাখা হয়েছিল, বাকি আরও দুটো. সেই দুটোতে দেওয়া হল. আবু কংগ্রেস দল করেন. জেলা সম্পাদক সিপিএম. আর উদ্বোধন করতে আসছেন তৃণমূল মন্ত্রী. আবু যদি চলেযান তাহলেই চিত্তির. সব ঘন্ট হয়ে যাবে.
শেষ পর্যন্ত ৭ দিনে আবু তাহের কার্পেট বিক্রি করেছেন ৫৪ হাজার টাকার. গ্রামে বসে. কলকাতায় এত পরিমান বিক্রি হয় কীনা জিজ্ঞাসা করা হয় নি.
উদ্বোধনে অসছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য মহাশয় এবং মাননীয় অসীম ঘোষ মহাশয়
উদ্বোধন মঞ্চে
উদ্মবোধন ঞ্চে রয়েছেন সমাজসেবী অসীম ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য, মনীন্দ্রনাথ রায়(সভাপতি কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি), সমাজসেবী স্বপন সরকার এবং সমাজসেবী জয়ন্ত সাহা
মাননীয় অমল আচার্যকে সম্মান জানাচ্ছেন প্রবীণ খন শিল্পী এবং সংঘ সদস্য মাধাই মহান্ত
স্বপন সরকারকে অভ্যর্থনা করছেন প্রবীণ বহুরূপী সুবলদাস বৈরাগ্য
উদ্বোধনে দর্শক
সমাজসেবী স্বপন সরকারকে অভ্যর্থনা করছেন খন শিল্পী এবং সংঘের জেলা সম্পাদক গণেশ রবিদাস
অনুষ্ঠানকে সম্বোধন করছেন অমল আচার্য মশাই
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি সঙ্গীত সাংবাদিক তপন চক্রবর্তী মহাশয়
No comments:
Post a Comment