এর আগে বিশদে বখতিয়ারের হাতে নালন্দা ধ্বংস হওয়ায় কেন সে নতুন করে উঠে দাঁড়াল না, সেটা নিয়ে লিখে জামাতি আখ্যা জুটেছিল। তবুও বলব যারা মনে করেন বখতিয়ার খলজি নালন্দার মৃত্যুর জন্যে দায়ি, তারা হয় নবজাগরিত মুক্তবাজার অনুগামী বাম-মধ্য রাজনৈতিক চেতনাধারী ইসলামবিদ্বেষী না হয় না জেনে সঙ্ঘি ইতিহাসের অনুগামী।
এ বিষয়ে ঘোরতর বাম দেবী-অলকা চট্টোর ৮৪ সিদ্ধ বিষয়ক বই দেখুন কেন কৌবর্ত যুদ্ধ উত্তর সময়ে নালন্দা বিশাল আকার ধারণ করে এলিটিস্ট হয়ে ওঠে এবং সিদ্ধরা কেন বৌদ্ধ নয়। নালন্দা ইত্যাদি শিক্ষা কেন্দ্র এলিটিস্ট ছিল অন্তত একটা মানে, দরজাতেই এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিত, ঠিক যেমন করে আজ নানান ধর্মের মিশন নামধারী শিক্ষা কেন্দ্র ভর্তি পরীক্ষা নেই।
বিশাল কলেবরের নালন্দা টেকেনা রাজ-শ্রেষ্ঠী সমর্থন ছাড়া, কিন্তু আজও বাংলার কেমন করে বৈষ্ণব পাট, আসামে বৈষ্ণব সত্র, মাজার ইত্যাদি জনগণের অর্থে শয়ে শয়ে বছর টিকে থাকে - এই তত্ত্ব না বুঝলে ইসলামবিদ্বেষীভাবেই একমাত্র ধ্বংসকারী বখতিয়ারকে দায়ি করতে হয়।
তুর্কিদের আক্রমন সাম্রাজ্যবাদী ছিল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই - কিন্তু এটা এই লেখার মুল আলোচ্য নয়।
---
১/
সোজা কথা সোজাভাবে বলা দরকার। এতদিন বৌদ্ধপন্থ নিয়ে প্রচুর রোমান্টিসিজম হয়েছে পশ্চিমিদের কল্যানে এবং স্থায়ী বঙ্গভাগের পর ভারতীয় শাসকদের অত্যাচারী চরিত্র ধুয়ে মুছে সাফ করতে - উচ্ছেদকারী নেহরুকে 'সাম্যবাদী' অশোক হিসেবে উপস্থিত করতে। এর পেছনে বামেদের একটা বড় অবদান ছিল।
বৌদ্ধপন্থ খুবই ভাল। কিন্তু মনে রাখা দরকার ব্যপকভাবে তারা ১৮০০-১৯০০ বছর ধরে রাজ/শ্রেষ্ঠী পোষিত।বৌদ্ধ রাজারা যখন সরে গেলেন, বৌদ্ধ শ্রেষ্ঠীরা যখন বলহীন, সে সময় বৌদ্ধপন্থ টিকে গ্যাল ঠিকই কিন্তু আগের ধমকচমকের অবস্থা আর থাকল না।
নালন্দা ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। বখতিয়ারের আগেও নালন্দার ওপর আক্রমন হয়েছে, সে উঠে দাঁড়িয়েছে কারণ বিপুল পরিমান সাহায্য আসত রাজাদের থেকে। কিন্তু ১২০০-১৩০০ র পরে যখন উপমহাদেশের গতিপথ পাল্টাতে লাগল তারপরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি পূর্বের মহিমায়।
বিশাল কলেবরের নালন্দা টেকেনা রাজ-শ্রেষ্ঠী সমর্থন ছাড়া, কিন্তু আজও বাংলার কেমন করে বৈষ্ণব পাট, আসামে বৈষ্ণব সত্র, মাজার ইত্যাদি জনগণের অর্থে শয়ে শয়ে বছর টিকে থাকে - এই তত্ত্ব না বুঝলে ইসলামবিদ্বেষীভাবেই একমাত্র ধ্বংসকারী বখতিয়ারকে দায়ি করতে হয়।
তুর্কিদের আক্রমন সাম্রাজ্যবাদী ছিল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই - কিন্তু এটা এই লেখার মুল আলোচ্য নয়।
---
১/
সোজা কথা সোজাভাবে বলা দরকার। এতদিন বৌদ্ধপন্থ নিয়ে প্রচুর রোমান্টিসিজম হয়েছে পশ্চিমিদের কল্যানে এবং স্থায়ী বঙ্গভাগের পর ভারতীয় শাসকদের অত্যাচারী চরিত্র ধুয়ে মুছে সাফ করতে - উচ্ছেদকারী নেহরুকে 'সাম্যবাদী' অশোক হিসেবে উপস্থিত করতে। এর পেছনে বামেদের একটা বড় অবদান ছিল।
বৌদ্ধপন্থ খুবই ভাল। কিন্তু মনে রাখা দরকার ব্যপকভাবে তারা ১৮০০-১৯০০ বছর ধরে রাজ/শ্রেষ্ঠী পোষিত।বৌদ্ধ রাজারা যখন সরে গেলেন, বৌদ্ধ শ্রেষ্ঠীরা যখন বলহীন, সে সময় বৌদ্ধপন্থ টিকে গ্যাল ঠিকই কিন্তু আগের ধমকচমকের অবস্থা আর থাকল না।
নালন্দা ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। বখতিয়ারের আগেও নালন্দার ওপর আক্রমন হয়েছে, সে উঠে দাঁড়িয়েছে কারণ বিপুল পরিমান সাহায্য আসত রাজাদের থেকে। কিন্তু ১২০০-১৩০০ র পরে যখন উপমহাদেশের গতিপথ পাল্টাতে লাগল তারপরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি পূর্বের মহিমায়।
২/
তানসেন সেন জামাতি নন ওনার লেখায় তুর্কি আক্রমনে নালন্দা ধ্বংস হয়েছে এই আপ্তবাক্যটি বার বার এসেছে। তবুও তিনি চিনা তথ্য তুলে জানাচ্ছেন যে তুর্কি আক্রমনের পরেও নালন্দায় পাঠদান হয়েছে, মগধের শ্রেষ্ঠী এবং মুসলমান রাজত্বের বন্ধু রাজারা দানও করেছেন নালন্দায়।
কিন্তু এই প্রশ্নটার কেন কোন উত্তর নেই তানসেন সেন এবং আপনাদের কাছে, নালন্দা এর আগে বহুবার আক্রান্ত হয়ে বেঁচে উঠেছে। কিন্তু ১৩০০র পরে আর এদের বেঁচে ওঠার কোন নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে না কেন? উত্তর আসবে অপ্রতিরোধ্য তুর্কিদের জন্যে। তুর্কিরা যদি এতই শক্তিশালী হবে তাহলে সেনেদের রাজত্ব আরও প্রায় ১০০ বছর বাংলায় বেঁচে রইল কি করে?
আমার প্রামান্য হল বুদ্ধপন্থর সঙ্গে তান্ত্রিক বাংলার আম-জনগণের ধর্মাচরণের কোন সম্বন্ধ ছিল না, ঠিক যেমন একটা রাজ পোষিত ধর্মের অবস্থা হয় এরও একই অবস্থা হয়েছিল রাজারা এই ধর্ম ফান্ডিং বন্ধ করে দেওয়ার পরে ঠিক যেমন করে বৈষ্ণব পাট, আসামে বৈষ্ণব সত্র, মাজার ইত্যাদি জনগণের অর্থে শয়ে শয়ে বছর টিকে থাকে। যদি জনগনের সমর্থন থাকত তাহলে বিহারগুলি বেঁচে উঠত কোন না কোন ভাবেই। আদতে বিহারগুলি এত বড় ছিল তা চালানোর জন্যে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ জরুরি ছিল।
তানসেন সেন জামাতি নন ওনার লেখায় তুর্কি আক্রমনে নালন্দা ধ্বংস হয়েছে এই আপ্তবাক্যটি বার বার এসেছে। তবুও তিনি চিনা তথ্য তুলে জানাচ্ছেন যে তুর্কি আক্রমনের পরেও নালন্দায় পাঠদান হয়েছে, মগধের শ্রেষ্ঠী এবং মুসলমান রাজত্বের বন্ধু রাজারা দানও করেছেন নালন্দায়।
কিন্তু এই প্রশ্নটার কেন কোন উত্তর নেই তানসেন সেন এবং আপনাদের কাছে, নালন্দা এর আগে বহুবার আক্রান্ত হয়ে বেঁচে উঠেছে। কিন্তু ১৩০০র পরে আর এদের বেঁচে ওঠার কোন নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে না কেন? উত্তর আসবে অপ্রতিরোধ্য তুর্কিদের জন্যে। তুর্কিরা যদি এতই শক্তিশালী হবে তাহলে সেনেদের রাজত্ব আরও প্রায় ১০০ বছর বাংলায় বেঁচে রইল কি করে?
আমার প্রামান্য হল বুদ্ধপন্থর সঙ্গে তান্ত্রিক বাংলার আম-জনগণের ধর্মাচরণের কোন সম্বন্ধ ছিল না, ঠিক যেমন একটা রাজ পোষিত ধর্মের অবস্থা হয় এরও একই অবস্থা হয়েছিল রাজারা এই ধর্ম ফান্ডিং বন্ধ করে দেওয়ার পরে ঠিক যেমন করে বৈষ্ণব পাট, আসামে বৈষ্ণব সত্র, মাজার ইত্যাদি জনগণের অর্থে শয়ে শয়ে বছর টিকে থাকে। যদি জনগনের সমর্থন থাকত তাহলে বিহারগুলি বেঁচে উঠত কোন না কোন ভাবেই। আদতে বিহারগুলি এত বড় ছিল তা চালানোর জন্যে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ জরুরি ছিল।
৩/
চিন-ভারত ঐতিহাইক যোগ বিষয়ে গবেষণা করা তানসেন সেন যদিও বুদ্ধিজম ডিপ্লোম্যাসি এন্ড ট্রেডএর ১০৭ পাতায় বলছেন ইসলামের আক্রমনে নালন্দা ধ্বংস হল। একটা স্তবক বাদ দিয়ে নিচে উল্লিখিত স্তবকে তিনিই বলছেন, তিব্বতি ধর্মাঙ্কুর ধর্মস্বামী (১১৮৪-১২৬৪), রাহুলশ্রীভদ্রের অধীনে নালন্দায় পড়াশোনা করছিলেন, ১২৩৫ সালে পূর্ব ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতনম্নুখ অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। এতে প্রমান হয় নালন্দার পড়াশোনার ঐতিহ্য এক্কেবারে ধ্বংস হয় নি। চৌদ্দশতের একটি কোরিয় লেখতে পাচ্ছি দীনবতী বা ধ্যানভদ্রকে উল্লেখকরে বলছে ভিক্ষু শূন্যদিশ্যকে ১২৫৪ সালে মোঙ্গল রাজধানী বেইজিং যাবার জন্যে শিক্ষিত এবং তৈরি করা হচ্ছিল নালন্দায়। তানসেন আরও বলছেন, মগধের ধনবান শ্রেষ্ঠীদের এবং মুসলমান রাজার বন্ধু রাজা বুদ্ধসেনএর থেকেও আর্থিক সাহায্য পেত।
চিন-ভারত ঐতিহাইক যোগ বিষয়ে গবেষণা করা তানসেন সেন যদিও বুদ্ধিজম ডিপ্লোম্যাসি এন্ড ট্রেডএর ১০৭ পাতায় বলছেন ইসলামের আক্রমনে নালন্দা ধ্বংস হল। একটা স্তবক বাদ দিয়ে নিচে উল্লিখিত স্তবকে তিনিই বলছেন, তিব্বতি ধর্মাঙ্কুর ধর্মস্বামী (১১৮৪-১২৬৪), রাহুলশ্রীভদ্রের অধীনে নালন্দায় পড়াশোনা করছিলেন, ১২৩৫ সালে পূর্ব ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতনম্নুখ অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। এতে প্রমান হয় নালন্দার পড়াশোনার ঐতিহ্য এক্কেবারে ধ্বংস হয় নি। চৌদ্দশতের একটি কোরিয় লেখতে পাচ্ছি দীনবতী বা ধ্যানভদ্রকে উল্লেখকরে বলছে ভিক্ষু শূন্যদিশ্যকে ১২৫৪ সালে মোঙ্গল রাজধানী বেইজিং যাবার জন্যে শিক্ষিত এবং তৈরি করা হচ্ছিল নালন্দায়। তানসেন আরও বলছেন, মগধের ধনবান শ্রেষ্ঠীদের এবং মুসলমান রাজার বন্ধু রাজা বুদ্ধসেনএর থেকেও আর্থিক সাহায্য পেত।
The teaching of Buddhist doctrines at Nalanda, in fact, lingered on even after the invasion of Islamic forces in the twelfth century. The Tibetan monk DharmaSvamin (Chag Chosrjedpal, 1194-1264) , for example, points out the declining state of the monastic institution in 1235. However, he was still able to spend several months studying Buddhist philosophy under the monk Rahulasribhadra at the Monastery. Moreover, according to a Korean inscription dedicated to the fourteenth-century Indian monk Tinabotuo (Dinavati; also known as Chanxian [Dhyanabhadra?] and Zhikong [Sunyadisya?] ), the Indian master was trained and ordained at Nalanda before he traveled to Beijing, the Mongol capital, in 1254. Nalanda seems to have continued to receive support in the thirteenth century from wealthy merchants and the Magadhan king Buddhasena, who had forged an alliance with the local Muslim rulers
---
---
বিদ্বেষ কত গভীরে গেলে এই সাধারণ বিষয়টুকু প্রমানের জন্যে জামাতি অভিযোগ শুনতে হয়।
Kamal Shah এই ছবিটা দিলেন। তাঁকে ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment