বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা)এর ডাকে বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ এবং কলাবতী মুদ্রা একটি ভাবনা পত্র পাঠিয়েছে। সেটি লোকফোকে দুই কিস্তিতে তুলে দেওয়া গেল
মাননীয়,
বাংলা, ভারত এবং দক্ষিন-পুর্ব এশিয়ার নানান আন্দোলনের সাথী হিসেবে, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ এবং এশিয়ার পারম্পরিক জ্ঞান ভাণ্ডার, মানুষের ইতিহাস খোঁজা, গ্রামীণ মানুষের আন্দোলনের খবর, তাদের জোরের জায়গাগুলি প্রচারের অন্যতম সাথী-সংগঠন কলাবতী মুদ্রা এ প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা শুধু উথাপন করতে চায়। এই দুটি সংগঠন বেড়ে উঠেছে বাংলা, ভারত তথা এশিয়ার পারম্পরিক কারু, বস্ত্র আর অভিকর শিল্পীদের উদ্যমে। এই দুটি সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য এশিয়ার পারম্পরিক শিল্পীদের অবস্থানকে আরও যথাসম্ভব দৃঢ় করা, তাদের সুকৃতিগুলি গ্রাম-শহরের সামনে তুলে ধরা, এবং পুর্বজরা যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন তাকে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থিত করা।
সুধি, আমরা মনে করি আজ যে অসম্ভব ক্রাইসিসের মুখোমুখি আমরা, তা থেকে বাঁচতে আমাদের নতুন করে নিজেদের সমাজের নানান জোরের দিকগুলির দিকে তাকাতে হবে। আমরা যেন মনেরাখি, শিল্পবিপ্লবের অন্যতম ফলশ্রুতি, ইয়োরোপের(আর আমেরিকার) বাইরে বিকশিত জ্ঞান, প্রযুক্তি, ইতিহাস ধংস করা, ন্যুন দেখাবার উদ্যম। ল্যাটিন আমেরিকা, কিছুটা আফ্রিকার পারম্পরিক প্রযুক্তি যখন আজ শুধুই মিউজিয়ামে সাজিয়ে রাখার, সেখানে এশিয়ার গ্রামাঞ্চলে এই প্রযুক্তি আজও জীবন্ত, আজও কয়েক কোটি মানুষ এক্কেবারে নিজ উদ্যমে এটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সরকারি, বেসরকারি, কর্পোরেট আগ্রাসন সত্বেও। ইংরেজি শিক্ষিত শহুরেদের উপেক্ষা সত্বেও গ্রামের হাট একে নিজ উদ্যমে একে লালন পালন করে চলেছে আজও।
মাননীয়,
এ বাংলার কারু, বস্ত্র ও অভিকর শিল্পীদের
শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বাপা
পরিবেশ সম্মেলনের সংবাদ প্রদানের জন্য উদ্যোক্তাদের এ-বাংলার গ্রামীণ বঙ্গীয়
পারম্পরিক কারু, বস্ত্র
ও অভিকর শিল্পী সঙ্ঘ, এবং
কলাবতী মুদ্রার পক্ষ থেকে আন্তরিকতম ধন্যবাদ জানাই। দেশজ আন্দোলনের একজন হিসেবে, এই সম্মেলনে যোগদান করতে
সংগঠন দুটি আন্তরিকভাবে ইচ্ছুক।
পশ্চিমবাংলা, ভারত এবং দক্ষিন-পুর্ব
এশিয়ার বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গী হিসেবে বাপার কাজকর্ম এবং তার তৈরি নানান আন্দোলন
সম্পর্কে সঙ্ঘ
এবং কলাবতী মুদ্রা অবহিত। তারা মনে করে বাপা এবং তার সঙ্গী সাথীরা বাংলাদেশে
যে দুর্বার পরিবেশ আন্দোলন, আন্দোলন
চিন্তা, তত্বের
ভিত গড়ে তুলেছেন, তার প্রভাব বাংলাদেশের
সীমান্তের গণ্ডী ছাড়িয়ে পড়ছে এশিয়ার নানান দেশে। বিশেষ করে ভারতে।
যখন বিশ্বজুড়ে কিছু মানুষের লোভ, আগ্রাসন এবং ক্ষমতা
মদমত্ততা অতীতের সমস্ত উদাহরণ ছাড়িয়ে বিশ্বকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে, দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ায়
বাপার এই আন্দোলন, নতুন
পথ খুঁজতে শুধু পথপ্রদর্শন
করবে তার নয়, ধংসন্মুখ
শহুরে মানব সভ্যতাকে নিজের ভেতরের ঝুঁকে দেখতে প্রনোদিত করবে। বাংলা, ভারত এবং দক্ষিন-পুর্ব এশিয়ার নানান আন্দোলনের সাথী হিসেবে, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ এবং এশিয়ার পারম্পরিক জ্ঞান ভাণ্ডার, মানুষের ইতিহাস খোঁজা, গ্রামীণ মানুষের আন্দোলনের খবর, তাদের জোরের জায়গাগুলি প্রচারের অন্যতম সাথী-সংগঠন কলাবতী মুদ্রা এ প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা শুধু উথাপন করতে চায়। এই দুটি সংগঠন বেড়ে উঠেছে বাংলা, ভারত তথা এশিয়ার পারম্পরিক কারু, বস্ত্র আর অভিকর শিল্পীদের উদ্যমে। এই দুটি সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য এশিয়ার পারম্পরিক শিল্পীদের অবস্থানকে আরও যথাসম্ভব দৃঢ় করা, তাদের সুকৃতিগুলি গ্রাম-শহরের সামনে তুলে ধরা, এবং পুর্বজরা যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন তাকে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থিত করা।
সঙ্ঘ এবং কলাবতী মুদ্রা মনেকরে
সাম্প্রতিক সময়ের আমেরিকা এবং ইয়োরোপের প্রযুক্তির আগ্রাসনের
দিকটির প্রতি দৃষ্টিপাত না করলে পরিবেশ আন্দোলনের একটি বড় অংশ অধরা রয়ে
যেতে পারে। শিল্পবিপ্লবের নতুন, তথাকথিত আধুনিক, কেন্দ্রীভূত প্রযুক্তির
বাজারী আগ্রাসনে গ্রামীণ অর্থনীতি আক্রান্ত। কর্পোরেটদের বাজারী লোভে, সম্পদ আগ্রাসনের
চক্রান্তে বিশ্ব আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। সেই সময় এশিয়ার কারু, বস্ত্র ও অভিকর শিল্পীদের
বয়ে নিয়ে চলা হাজার হাজার বছরের পৃথিবী রক্ষাকারী প্রমাণিত এবং
অর্থসাম্য তৈরি করার প্রযুক্তি বিশ্বকে বাঁচাবার পথ দেখাচ্ছে।
এবং এই পরিবেশ আন্দোলনে এই বিষয়টি অন্যতম আলোচ্য হোক এই আমাদের আশা।
সুধি, আমরা মনে করি আজ যে অসম্ভব ক্রাইসিসের মুখোমুখি আমরা, তা থেকে বাঁচতে আমাদের নতুন করে নিজেদের সমাজের নানান জোরের দিকগুলির দিকে তাকাতে হবে। আমরা যেন মনেরাখি, শিল্পবিপ্লবের অন্যতম ফলশ্রুতি, ইয়োরোপের(আর আমেরিকার) বাইরে বিকশিত জ্ঞান, প্রযুক্তি, ইতিহাস ধংস করা, ন্যুন দেখাবার উদ্যম। ল্যাটিন আমেরিকা, কিছুটা আফ্রিকার পারম্পরিক প্রযুক্তি যখন আজ শুধুই মিউজিয়ামে সাজিয়ে রাখার, সেখানে এশিয়ার গ্রামাঞ্চলে এই প্রযুক্তি আজও জীবন্ত, আজও কয়েক কোটি মানুষ এক্কেবারে নিজ উদ্যমে এটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সরকারি, বেসরকারি, কর্পোরেট আগ্রাসন সত্বেও। ইংরেজি শিক্ষিত শহুরেদের উপেক্ষা সত্বেও গ্রামের হাট একে নিজ উদ্যমে একে লালন পালন করে চলেছে আজও।
No comments:
Post a Comment