বিগত ২৫০ বছর ধরে
কেন্দ্রীভূত, সম্পদ
অপচয়ী প্রযুক্তি নিয়ে গ্রামীণদের আক্রমণ করতে উদ্যত
ইয়োরোপ আমেরিকা। যদিও এই প্রযুক্তির দূষণ ছড়ানোর চরিত্র আজ সব্বার সামনে উন্মোচিত।
তবুও এশিয়ার প্রত্যেকটি সরকার, অসরকারি সংগঠন এই প্রযুক্তি
তৃণমূলস্তরে পৌঁছে
দেবার জন্য অসম্ভব উদগ্রীব। তার জন্য ঋণ, দানে সকলকে সজ্জিত করা হচ্ছে।
অথচ বিগত ২৫০ বছরে এই প্রযুক্তি অবলম্বন করে দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার অধগতি
প্রমাণিত। সে আরও
ঢালু পথে গড়িয়ে পাতালে প্রবেশ করতে চলেছে। ১৭৫৭য় অবিভক্ত ভারতের জিডিপি ছিল ২৫, ব্রিটেনের ১, আজ ঠিক উল্টো। এর ফল
পৃথিবী ব্যাপী দূষণের মাত্রা বেড়ে চলা। তবুও সেই ইয়োরোপীয় প্রযুক্তির আনুগত্যময়
অনুগমন চলছেই।
অথচ এশিয়ার পারম্পরিক গ্রামীণ শিল্প আজও নতুনের পথ দেখায়। কৃষি, খাদ্য, লোহা, বয়ন, কাঠ খোদাই ইত্যাদি গ্রামীণ প্রযুক্তির নানান দিককে আজও অতিক্রম করতে পারে নি নতুন স্বঘোষিত আধুনিক সর্বশক্তিমান ইয়োরোপীয় প্রযুক্তি। ইয়োরোপীয় প্রযুক্তির ঘায়ে বিশ্ব ধ্বংসের মুখোমুখি। আজ আর এই প্রযুক্তির তৈরি দূষণ স্থানীয় অঞ্চলে আবদ্ধ না থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের প্রত্যেকটি কোনায়, আঘাত করছে যে মানুষটি এই কাজের জন্য বিন্দুমাত্র দায়ি নয় তাকেও, তার অঞ্চলকেও।
অথচ সুদূর অতীত থেকে গ্রামীণ প্রযুক্তি সচেতনভাবে জানত, কিভাবে ন্যুনতম সম্পদ ব্যয় করে, যথা সম্ভব কম শক্তি প্রয়োগ করে, যথা সম্ভব কম স্থানীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে মানুষের ন্যুনতম চাহিদা পূরণ করা যায়। এদেরই শহুরেরা অজ্ঞ, পিছিয়ে পড়া, অশিক্ষিত বলে আজও গালি দিই। এই মানুষেরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তা দার্শনিকভাবে যথাসম্ভব গণতান্ত্রিক। সেটি লক্ষ লক্ষ উৎপাদক, বিক্রেতাকে লালন পালন করে। অন্যের উৎপাদন ব্যবস্থা দখল করে লভ্যাংশ বাজারকে কন্সোলিডেসনের কাজ করে না। এই প্রযুক্তি কয়েক জনের হাতে লভ্যাংশ না জমতে দিয়ে, ছড়িয়ে দেয় তৃণমূলের মানুষদের হাতে। শুধু অর্থ সাম্য বজায় থাকে তাই নয়, পরিবেশ দূষণ যতসম্ভব কম ঘটে, এবং যে সমস্যা দেখাদেয় তা স্থানীয়ভাবে সামলে নেওয়া যায়। এশিয়ায় নুন, নীল, লোহা, আফিম ইত্যাদি পণ্য বিশ্বের বাজারে কয়েক হাজার বছর একচেটিয়া ব্যবসা করলেও, ইয়োরোপীয়রা এশিয়ার আসার পরে এগুলি মানুষ মারা শিল্পে, ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়।
আমরা যারা আজ এশিয়ায় এই প্রযুক্তি, প্রযুক্তির ধারক বাহকদের সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে থেকে, নিজেদের তৈরি, বিকশিত, লালিত-পালিত প্রযুক্তিকে বাঁচাতে চাইছি, তাদের কাছে পরিবেশ দূষণ, পরিবেশ ধ্বংস একটি বড় ইস্যু। এবং এশিয়া তথা বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের সরকার এর জন্য সক্রিয়ভাবে দায়ি। শুধু ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নয়, ইওরোপ-আমেরিকার এই চাপিয়ে দেওয়া অর্থনীতি, সমাজনীতি, প্রযুক্তি বিষয়ে একটি নির্দিস্ট অবস্থান নিতে সরকারগুলির ওপরে চাপ বাড়াতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, যতদিন না, আমরা নিজেদের প্রযুক্তি, যে ব্যপ্ত সম্পদ আমাদের হাতে আছে, সে বিষয়ে আবহিত না হব, সেটাই যে মূল স্রোত, এটি বিশ্বাস করব, তাকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে আনব, ততদিন পরিবেশ আন্দোলন ইয়োরোপের দেখানো কানা গলিতে ঘুরপাক খাবে, দূষণ রোধে সরকারের খামতিগুলিই শুধু চোখের সামনে প্রতিভাত হবে, জীবন জীবিকা, অর্থনীতি ইত্যাদির মূল প্রশ্নগুলি অধরা রয়ে যাবে।
ঠিক এই জন্য সঙ্ঘ এবং কলাবতী মুদ্রা একটি মাসিক পত্রিকা, পরম প্রকাশ করছে, যেটি এই মানুষদের বয়ে নিয়ে চলা প্রযুক্তিকে জানাতে, চেনাতে, তাদের ইতিহাস নতুন করে বোঝাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কয়েকটি পুস্তকও প্রকাশ করেছে।
আমাদের বিশ্বাস বাপার এই সম্মেলন আমাদের নতুন পথ দেখাবে নতুন ইতিহাস তৈরিতে সাহায্য করবে।
সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহনের আবেদনে, নতুন দেশজ শুভেচ্ছায়,
অথচ এশিয়ার পারম্পরিক গ্রামীণ শিল্প আজও নতুনের পথ দেখায়। কৃষি, খাদ্য, লোহা, বয়ন, কাঠ খোদাই ইত্যাদি গ্রামীণ প্রযুক্তির নানান দিককে আজও অতিক্রম করতে পারে নি নতুন স্বঘোষিত আধুনিক সর্বশক্তিমান ইয়োরোপীয় প্রযুক্তি। ইয়োরোপীয় প্রযুক্তির ঘায়ে বিশ্ব ধ্বংসের মুখোমুখি। আজ আর এই প্রযুক্তির তৈরি দূষণ স্থানীয় অঞ্চলে আবদ্ধ না থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের প্রত্যেকটি কোনায়, আঘাত করছে যে মানুষটি এই কাজের জন্য বিন্দুমাত্র দায়ি নয় তাকেও, তার অঞ্চলকেও।
অথচ সুদূর অতীত থেকে গ্রামীণ প্রযুক্তি সচেতনভাবে জানত, কিভাবে ন্যুনতম সম্পদ ব্যয় করে, যথা সম্ভব কম শক্তি প্রয়োগ করে, যথা সম্ভব কম স্থানীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে মানুষের ন্যুনতম চাহিদা পূরণ করা যায়। এদেরই শহুরেরা অজ্ঞ, পিছিয়ে পড়া, অশিক্ষিত বলে আজও গালি দিই। এই মানুষেরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তা দার্শনিকভাবে যথাসম্ভব গণতান্ত্রিক। সেটি লক্ষ লক্ষ উৎপাদক, বিক্রেতাকে লালন পালন করে। অন্যের উৎপাদন ব্যবস্থা দখল করে লভ্যাংশ বাজারকে কন্সোলিডেসনের কাজ করে না। এই প্রযুক্তি কয়েক জনের হাতে লভ্যাংশ না জমতে দিয়ে, ছড়িয়ে দেয় তৃণমূলের মানুষদের হাতে। শুধু অর্থ সাম্য বজায় থাকে তাই নয়, পরিবেশ দূষণ যতসম্ভব কম ঘটে, এবং যে সমস্যা দেখাদেয় তা স্থানীয়ভাবে সামলে নেওয়া যায়। এশিয়ায় নুন, নীল, লোহা, আফিম ইত্যাদি পণ্য বিশ্বের বাজারে কয়েক হাজার বছর একচেটিয়া ব্যবসা করলেও, ইয়োরোপীয়রা এশিয়ার আসার পরে এগুলি মানুষ মারা শিল্পে, ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়।
আমরা যারা আজ এশিয়ায় এই প্রযুক্তি, প্রযুক্তির ধারক বাহকদের সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে থেকে, নিজেদের তৈরি, বিকশিত, লালিত-পালিত প্রযুক্তিকে বাঁচাতে চাইছি, তাদের কাছে পরিবেশ দূষণ, পরিবেশ ধ্বংস একটি বড় ইস্যু। এবং এশিয়া তথা বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের সরকার এর জন্য সক্রিয়ভাবে দায়ি। শুধু ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নয়, ইওরোপ-আমেরিকার এই চাপিয়ে দেওয়া অর্থনীতি, সমাজনীতি, প্রযুক্তি বিষয়ে একটি নির্দিস্ট অবস্থান নিতে সরকারগুলির ওপরে চাপ বাড়াতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, যতদিন না, আমরা নিজেদের প্রযুক্তি, যে ব্যপ্ত সম্পদ আমাদের হাতে আছে, সে বিষয়ে আবহিত না হব, সেটাই যে মূল স্রোত, এটি বিশ্বাস করব, তাকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে আনব, ততদিন পরিবেশ আন্দোলন ইয়োরোপের দেখানো কানা গলিতে ঘুরপাক খাবে, দূষণ রোধে সরকারের খামতিগুলিই শুধু চোখের সামনে প্রতিভাত হবে, জীবন জীবিকা, অর্থনীতি ইত্যাদির মূল প্রশ্নগুলি অধরা রয়ে যাবে।
ঠিক এই জন্য সঙ্ঘ এবং কলাবতী মুদ্রা একটি মাসিক পত্রিকা, পরম প্রকাশ করছে, যেটি এই মানুষদের বয়ে নিয়ে চলা প্রযুক্তিকে জানাতে, চেনাতে, তাদের ইতিহাস নতুন করে বোঝাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কয়েকটি পুস্তকও প্রকাশ করেছে।
আমাদের বিশ্বাস বাপার এই সম্মেলন আমাদের নতুন পথ দেখাবে নতুন ইতিহাস তৈরিতে সাহায্য করবে।
সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহনের আবেদনে, নতুন দেশজ শুভেচ্ছায়,
বিশ্বেন্দু নন্দ
বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ
কলাবতী মুদ্রা
No comments:
Post a Comment