Sunday, October 7, 2012

E-mail to Biswendu of Kalaboti Mudra of Leipzig University, লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বেন্দুকে লেখা চিঠি Max Müller Was Not a Docrorate Last. ম্যাক্সমুলর ডক্টরেট ছিলেন না শেষ


Re: WG: (Fwd) WG: Query from Indian Researcher -- AZ 7513.50/2012/924

Thursday, August 30, 2012 11:28 AM
From:
To:biswendu@yahoo.com
Message contains attachments
3 Files (3897KB) | Download All
Dear Biswendu Nanda.
At the university archive of Leipzig is neither an entry in the book  of promotion nor a promotion file of Friedrich Max (Maximilian) Müller. He was a student at the university from 1841 to 1844. There is an  entry in the discharge register (with attended lectures) and two  entries in the register of students.
Enclosed you can find the corresponding digital copies.
Yours sincerely
Nicole Panser
Universitätsarchiv Leipzig
Prager Str. 6
04103 Leipzig
Tel.: +49 341 9730200
Fax: +49 341 9730219
E-Mail: archiv@uni-leipzig.de
Internet: www.archiv.uni-leipzig.de
____________________________
Aus Tradition Grenzen überschreiten
600 Jahre Universität Leipzig
www.uni-leipzig.de/2009
____________________________
---
Zitat von Universitätsarchiv Leipzig <archiv@uni-leipzig.de>:

>
>
>
>
> Von: Buschner [mailto:indsekr@rz.uni-leipzig.de]
> Gesendet: Mittwoch, 29. August 2012 11:42
> An: archiv@uni-leipzig.de
> Betreff: (Fwd) WG: Query from Indian Researcher
> Sehr geehrte Damen und Herren,
> uns erreichte eine Anfrage zu dem Indologen Friedrich Max Müller. Die
> Universitätsgeschichte (s.u.) erwähnt nur, dass er ein Brockhaus-Schüler
> war. Der Anfrager möchte wissen, ob Friedrich Max Müller in Leipzig
> promoviert hat. Für Ihre Hilfe wären wir Ihnen sehr dankbar.
> Mit freundlichen Grüßen
> Adelheid Buschner
> "...Brockhaus war ein beliebter Lehrer und trat durch jene Vielseitigkeit
> hervor, die seither die Leipziger Indologie ausgezeichnet hat. Einer seiner
> ersten Schüler war Friedrich Max Müller (1823–1900);..." (Geschichte der
> Universität Leipzig 1409-2009, Bd.1, S. 395)
> ------- Weitergeleitete Nachricht / Forwarded message -------
>
> Von:                         <aaa@uni-leipzig.de>
>
> An:                           <indsekr@uni-leipzig.de>
>
> Betreff:                    WG: Query from Indian Researcher
>> Datum: Wed, 29 Aug 2012 08:32:24 +0000
>> Guten Tag,
>> könnten Sie dem Studenten aus Indien mit seiner Anfrage unten bitte
> weiterhelfen, wenn Sie hier Informationen haben?
>> Mit bestem Dank und Grüßen
>> Isabelle Maringer
>> University of Leipzig
> International Centre
> Goethestraße 6
> D-04109 Leipzig
> Phone: +0049 341 97 32020
> Fax: +0049 341 97 32049
>
>
>
> Von: Friederike.Rohland@zv.uni-leipzig.de
> [mailto:Friederike.Rohland@zv.uni-leipzig.de]
> Gesendet: Dienstag, 28. August 2012 16:31
> An: aaa@rz.uni-leipzig.de
> Betreff: WG: Query from Indian Researcher
>
> Friederike Rohland
>
> Universität Leipzig
>
> Leiterin Öffentlichkeitsarbeit
>
> Ritterstraße 26, 04109 Leipzig
>
> Telefon 0341 97-35031
>
> Telefax 0341 97-35009
>
friederike.rohland@uni-leipzig.de
>
> friederike.rohland@uni-leipzig.de
>
>  <http://www.uni-leipzig.de> www.uni-leipzig.de
>
> Von: biswendu nanda [mailto:biswendu@yahoo.com]
> Gesendet: Dienstag, 28. August 2012 12:05
> An: friederike.rohland@uni-leipzig.de
> Betreff: Query from Indian Researcher
> Sir,

> I am a research scholar from India, West Bengal, Kolkata.
> I am doing my research on Bengal, India.
> It was quoted from various source noted Indologist Max Muller obtained his p.hd degree from leipzig university.
>> Some expressed doubt about the claim. one of them said he had not seen any  record on max muller in the said university.
>> can you clear the doubt.
>> if max muller was the pupil of the said university, can you provide us any document of that!
>> it will not only assist my research work but create a flutter in the indian media also.
> expecting your reply soon,
>
> yours
>
> biswendu nanda
>> research scholar of Kalaboti Mudra Folk Research Team, West Bengal, India
>> --- Ende der weitergeleiteten Nachricht / End of forwarded message ---
>> Universität Leipzig
>> Institut für Indologie und Zentralasienwissenschaften
>> Schillerstraße 6
>> 04109 Leipzig
>> Tel.: 0341-9737120
>> Fax: 0341-9737148
>----------------------------------------------------------------
This message was sent using IMP, the Internet Messaging Program.



Max Müller Was Not a Docrorate4. ম্যাক্সমুলর ডক্টরেট ছিলেন না4

প্রশ্ন ডক্টরেট উপাধি
বহুকাল ধরে ম্যাক্স মুলারের জীবনের নানান ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশেষ করে তার সংস্কৃত শেখা আর ডক্টরেট উপাধি পাওয়া নিয়ে মুলারের সংস্কৃত শেখা নিয়ে এই প্রাবন্ধিকের নতুন তথ্য খুঁজে বার করা খুবই মুশকিল বহুদিন ধরেই তার উপাধিগুলো খোঁজ করার দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা ছিল প্রথমে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যাই সেই সাইটে মহাফেজখানার সমস্ত কাগজপত্রের হিসেব পাওয়া যায় সূত্র http://www.bodley.ox.ac.uk/dept/scwmss/wmss/online/1500-1900/muller/maxmuller.html মনে পড়ল তাঁর স্ত্রী পুত্রের লেখা জীবনীতে রয়েছে তিনি লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেছেন, স্পিনোজার দর্শণ বিষয়ে কোনও জীবনীতে তাঁর ডক্টরেটপত্রের অনুলিপি দেখি নি এমনকী উইকিপিডিয়া অথবা ম্যাক্স মুলর ভবন-গেট্যে ইন্সটিটিউটের ওয়েবসাইটেও নয় কেউই সেই প্রতিলিপিটা দেখাচ্ছেন না অথচ এই উপাধির ওপর ভিত্তি করে মুলর অক্সফোর্ডে সংস্কৃত অধ্যাপকের পদে লড়াই করছেন সরাসরি লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেল করা গেল উত্তর পাওয়া নিয়েও বেশ সন্দেহ ছিল অবাক করে ৩০ আগস্ট লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ প্রাবন্ধিককে একটা মেল পাঠালেন,
Dear Biswendu Nanda.
At the university archive of Leipzig is neither an entry in the book
of promotion nor a promotion file of Friedrich Max (Maximilian) Müller. He was a student at the university from 1841 to 1844. There is an entry in the discharge register (with attended lectures) and two entries in the register of students. Enclosed you can find the corresponding digital copies.
Yours sincerely
Nicole Panser
সঙ্গে জুড়ে দেওয়া তিনটে নথি
প্রশাসনিক ইংরেজিতে অজ্ঞ প্রাবন্ধিক এর মানে জানতে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, সুতনু ভট্টাচার্যের শরণাপন্ন হয় তিনি জানান এর সাদা অর্থ, মুলর সেখানে ছাত্র ছিলেন, লেকচার শুনেছেন, কোনও পরীক্ষায় যোগ দেন নি ডক্টরেট পাওয়া, স্পিনোজার দর্শণতো দূরস্থান
কেন এতদিন এই মিথ্যেটি ফলাও করে ভারতের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হল হল! প্রাবন্ধিক এর অর্থ খুঁজতে হয়রান এবার পাঠকেরা এর কী মানে করবেন করুন
এই প্রবন্ধের সঙ্গে তিনটে নথি জুড়ে দেওয়া গেল

Max Müller Was Not a Docrorate3. ম্যাক্সমুলর ডক্টরেট ছিলেন না3

এক পদ, দুই প্রখ্যাত
মুলার ইংলন্ডে থাকাকালীন অর্থকষ্টে ছিলেন, যেমন ছিলেন অন্য দুই উইলিয়াম, কেরি আর জোন্স অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আর্যতত্বের মশলা মাখানো নানান প্রকল্পের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন নানান ব্যক্তি, সংস্থাকে মুলার নজর ছিল কোম্পানির অন্দরে ১৮৪৬এ প্রুসিয়ার কুটনীতিক ব্যারন ভন বুনসেন আর আর অক্সফোর্ডের সংস্কৃতর অধ্যাপক হোরেস উইলসন কোম্পানিকে আবেদন করেন ঋগ্বেদের অনুবাদের প্রকল্পে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসকে সাহায্য করতে তখনও মেকলের সঙ্গে মুলারের দেখা হয় নি মেকলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মুলর খগ্বেদ অনুবাদ আর আর্যতত্বে ভারতীয় মাথা মুড়োনোর বরাত পেলেন অনুবাদের পর ওঠা ধন্য ধন্য রবে, মুলরের ধারণা হয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্বদ্যালয়ে সংস্কৃতের অধ্যাপক পদের জন্য তিনিই যোগ্য আর কোম্পানিও তার পেছনে রয়েছে তখন তিনি অক্সফোর্ডে আধুনিক ইওরোপিয় ভাষার অধ্যাপক তাঁর শেষ স্বপ্ন, অক্সফোর্ডে সংস্কৃত ভাষার অধ্যাপক পদ অলঙ্করণ
তো আর্যতত্ব আর কোম্পানির দয়া সম্বল করে মুলার প্রখ্যাত আর ধনী হয়েছেন, সেই খ্যাতি অবলম্বন করে মুলর ঝাঁপ দিলেন অক্সফোর্ডের সংস্কৃত প্রফেসরির জন্য এই পদটির সরকারি নাম বোডিন প্রফেসরশিপ অব সংস্কৃত পদটি তৈরি হয়েছিল সংস্কৃত ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করে ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বোডিন বম্বে নেটিভ ইনফ্যান্ট্রিতে ছিলেন ১৮১১তে মারা যান উইল অনুযায়ী তাঁর কন্যার মৃত্যুরপর(১৮২৭) সমস্ত সম্পত্তি অক্সফোর্ড পায় শর্ত ছিল তার অর্থে যে অধ্যাপক পদ তৈরি হবে, তার মূল উদ্দেশ্য হবে ভারতে সংস্কৃত নানান শাস্ত্র ইংরেজিতে অনুবাদ করে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার প্রসার এই পদে ১৮৩২এ এই প্রথম অধ্যাপক হোরেস উইলসন ১৮৬০এ তিনি মারা যান
নতুন অধ্যাপকের বিজ্ঞাপন প্রকাশ হল ১৮৬০এ সংস্কৃত অধ্যাপক পদের মাইনে ছিল বছরে ৯০০ থেকে ১০০০ পাউন্ড সময়ের তুলনায় বেশ বেশি মুলার তখন অক্সফোর্ডে টেলরিয়ান প্রফেসর অব মডার্ন ইওরোপিয়ন ল্যাঙ্গুয়েজ মাইনে বছরে ৫০০ ডলার সংস্কৃত অধ্যাপক পদের অর্ধেক অধ্যাপক পদের জন্য মনিয়ের মনিয়ের উইলিয়ম আর ফ্রেড্রিশ ম্যাক্সিমিলিয়ন মুলার লড়া শুরু করলেন মনিয়েরের তুলনায় ভারতে খ্যাতি বেশি মুলারের ভারতীয়রা তাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছের মানুষ হিসেবে জানে ইংলন্ডে উল্টো মনিয়ের কোম্পানির ঘরের মানুষ মুলারের অর্থ সাহায্য পাওয়ার আগেই কোম্পানির অর্থ সাহায্যে ইংরেজি-সংস্কৃত অভিধান তৈরি করেন মনিয়ের উইলিয়ম এই কাজে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সেক্রেটারি অব স্টেট অব ইন্ডিয়ার দপ্তর যেসব আমলা কোম্পানি থেকে সরসারি সরকারে ভারত শাসনের কাজে প্রতিস্থাপিত হয়েছেন, তাঁদের সমর্থন পেয়েছেন মনিয়ের
মুলার, মনিয়েরসহ পাঁচজন কৃতি এই পদে আবেদন করেন অন্য তিনজন ছিলেন গভর্মেন্ট কলেজ অব ক্যালকাটার সংস্কৃতের অধ্যাপক এডওয়ার্ড কাওয়েল(২৮মে, দ্য টাইমসএর খবর) বেনারসের সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ও প্রাক্তণ বডিন স্কলার রালফ গ্রিফিথ বেনারসের এক কলেজের অধ্যক্ষ জেমস ব্যালেন্টাইন শেষ পর্যন্ত এই তিনজনই আবেদন পত্র তুলে নেন টিকে থাকেন দুজন প্রখ্যাত তাঁর আবেদনে মনিয়ের বললেন তিনি এই পদটি পেলে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে কাজ করবেন মনিয়ের তার সমর্থকদের দিয়ে একটি প্রচারপত্রও বিলি করেন পাল্টা লড়াই দেন মুলার ২৯ অক্টোবর ১৮৬০এ মুলার দ্য টাইমসএ মনিয়েরের বিরুদ্ধে কলম ধরেন সে সময় মনিয়ের লন্ডনে প্রখ্যাত ছিলেন সংস্কৃত ভাষার অধ্যাপকরূপে আর মুলার বিখ্যাত, কিন্তু পরিচয় তিনি অনুবাদকমাত্র অধ্যাপক নন সংস্কৃততো পড়ানই না সে সময় লন্ডনের উচ্চকুল এই নির্বাচনে বেশ মশগুল হয়ে ওঠে (সূত্র http://en.wikipedia.org/wiki/Boden_Professor_of_Sanskrit_election,_1860)
সদ্য থেঁতলে দেওয়া সিপাই স্বাধীণতা সংগ্রামের আঘাত তখনও দগদগে ঘা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জাতীয়করণ হয়ে ভারতে এসেছে ভিক্টোরিয়ার নামে চলা ব্রিটিশ সরকার নতুন সরকার নতুন ক্ষমতা নতুন সমীকরণ নতুন মুখ পুরোনো পরিকল্পনার নতুন সাজ নতুন সরকার আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষমতার নতুনতর সমীকরণটি সমাধান করে ফেল্লেন স্বদেশিয়প্রতিদ্বন্দ্বী, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রাক্তণ চাকর মনিয়ের উইলিয়মস, পরে স্যর দুজনেরই উদ্দেশ্য দাতার উদ্দেশ্যকে আরও বেশি তুলে ধরে, ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার ৭ ডিসেম্বর ১৮৬০এ অক্সফোর্ডের শেলডন থিয়েটারে সাড়ে পাঁচ ঘন্টার ভোটে ৬১০ জন মুলারের পক্ষে আর ৮৩৩জন উইলিয়মকে সমর্থন করলেন মনিয়ের পেলেন ২৩০টি বেশি ভোট জিতলেন মনিয়ের ১৮৬০এ অক্সফোর্ডে বোডিন প্রফেসরশিপ অব সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ দখল করলেন মুলারকে টপকে অধ্যপক পদ পেয়ে তাঁর প্রথম বক্তৃতা ছিল,  "The Study of Sanskrit in Relation to Missionary Work" ১৮৮৭এ অবসর নিলেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনিয়ের অক্সফোর্ডে সংস্কৃত পড়িয়েছেন বডিন প্রফেসররূপে অক্সফোর্ডে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউটও তৈরি করেছেন মুলারও অক্সফোর্ডে ছিলেন ১৯০০ সালে মৃত্যু পর্যন্ত মুলার, একদিনও সংস্কৃত পড়ান নি ১৮৭৫এ মনিয়েরকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দান করার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুলার তার তুলনামূলক ভাষাতত্ব বিভাগে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন ছেঁদো যুক্তি দিয়ে, তিনি আরও সময় পড়াশোনায় ব্যয় করবেন অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ তার পদত্যাগপত্র স্বীকার করে সাম্মানিক উপ-অধ্যাপক(ডেপুটি প্রফেসর) হিসেবে বরণ করে শেষ দিন পর্যন্ত সেই সম্মান বহন করেছেন অক্সফোর্ডের প্রশাসকদের জুতো মেরে গরু দানে ক্ষিপ্ত মুলার, তাঁর এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রিয়তম বৌদ্ধিক সন্তান, আর্যদাসতত্বকে অস্বীকার করলেন(সুযোগ পেলে এটিও বারান্তরে আলোচনা করা যাবে)

Max Müller Was Not a Docrorate2. ম্যাক্সমুলর ডক্টরেট ছিলেন না2

কোম্পানির খয়রাতি
যতদিন না মুলার, মেকলের দেখা পেয়ে তাঁর মনগড়া আর্যতত্ব শোনাচ্ছেন ততদিন নব্য ভারতের ইতিহাস তৈরি হয় নি, ততদিন অসম্ভব উচ্চপারিশ্রমিকের বেদ অনুবাদেও কোম্পানি রাজি হয় নি, আর তার অর্থ কষ্টও কাটে নি মুলারের সঙ্গে কোম্পানির যোগাযোগ হল এমন এক সময়ে যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঝাঁপ বন্ধ হবে সে তথ্য কোম্পানি ১৮৩৩ থেকেই জানে(পরে কোনও দিন সুযোগ হলে এই বিষয়টা নিয়েও আলোচনা করা যাবে) মুলার জানেননা কোম্পানি উঠে যাওয়ার ১৩ বছর আগে মুলারকে কপালে চোখ তোলা পরিমানে অর্থ বরাদ্দ করছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কয়েক বছর পর সিন্দুকের ডালা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে জেনেও, বিশ্বের প্রথম কর্পোরেট কোম্পানি মূলারকে চোখ কপালে তোলা অর্থ খয়রাতি করতে দিচ্ছে কেন সেই প্রশ্নে কোনওদিন কারোর বিন্দুমাত্র খটকাও লাগে নি কর্পোরেট জগতে অনুবাদের জন্য অর্থ দান খয়রাতিরই সামিল কে অনুবাদ করছেন খগ্বেদ! যিনি একদিনের জন্যও ভারতে পদার্পণ করেন নি, আর সংস্কৃতজ্ঞাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কে অর্থ দিচ্ছে, যে কোম্পানি ভারতকে লুঠকরে ছিবড়ে করে ফেলেছে
মুলারকে কোম্পানি তার ঋগ্বেদ অনুবাদে(আদতে আর্যতত্ব) কত সাহায্য করেছিল! ১৮৫৩তে প্রতি পাতা অনুবাদের জন্য মুলার পেয়েছেন ৪ ডলার  “English Education, 1798-1902”  পুস্তকে John William Adamson বলছেন যে বছর তিনি ঋগ্বেদ অনুবাদ শুরু করবেন, ইংলন্ডে পুরুষ শিক্ষকের গড় আয় ছিল বছরে ৯০ ডলার আর মহিলাদের ৬০ ডলার ২০০০ সালে বছরে একজন ব্রিটিশ শিক্ষক আয় করতেন ১৮,০০০ ডলার থেকে ৩৬ হাজার ডলারেরমত সে সময়ে থেকে অর্থাত ২০০গুণ বেশি ম্যাক্স মুলার পেয়েছিলেন প্রতি পাতার জন্য ৪ ডলার করে এডামসনের হিসেব ধরলে ২০১১র হিসেবে ৮০০ ডলার প্রতি পাতা ৮০ টাকা ডলারে প্রতি পাতা ৬৪০০০ টাকা ২০০ পাতার জন্য ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা!!! আজ যত বড়ই কর্পোরেটিয় অনুবাদ প্রকল্প হোক না কেন, বিশ্বের সব থেকে মহানতম পুস্তক অনুবাদ করতে, এই পরিমান অর্থ বরাদ্দ হয় কী! ১৮৩৩এর সনদের পর বাণিজ্য অধিকারটুকুও ব্রিটিশ সরকার কেড়ে নিয়েছে সে সময় কোম্পানি স্বপ্নেরও অতীত পরিমান অর্থ বরাদ্দে মুলারের স্বপ্ন কেন সাকার করছে, সে প্রশ্ন আজও ওঠে নি

Max Müller Was Not a Docrorate1. ম্যাক্সমুলর ডক্টরেট ছিলেন না১

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ফ্রেডরিশ ম্যাক্সিমিলিয়ন মুলার ভাগ্যান্বষণে ব্রিটেনে হয়ে এলেন তাঁর হাত ধরে শুরু হল ভারতের বুদ্ধিদাসত্ব যুগের তিনি সংস্কৃত পন্ডিত অথচ তাঁর সংস্কৃত শেখানিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এমত এক মানুষ লন্ডনেই বেদ অনুবাদের সিদ্ধান্ত নিলেন অনুবাদ করারমত সংস্কৃত শিখতে প্রয়োজন বেশ কয়েক দশকের সময়ের ব্যাপ্তি আর সবথেকে বেশি যেটি প্রয়োজন, সদগুরুর নির্দেশ যিনি ভারত থেকে বহুদূরে বেড়ে উঠছেন, তার ক্ষেত্রে এই দুটি সূত্রই কঠোরভাবে প্রযোজ্য
তার প্রথম জীবনী লেখক স্ত্রী আর পুত্র বলছেন ১৯ বছর বয়সে ১৮৪৩এ লিপজিগ বিশ্ববিদ্যলয় থেকে ডক্টরেট হন যদিও এই দাবি নিয়ে বহু মানুষ সংশয় প্রকাশ করেছেন(লায়েজ উইথ লং লেগ, প্রদোষ আইচ এবং এই প্রবন্ধ) ১৮৪৬ তিনি ভাগ্যান্বেষণে লন্ডনে আসেন জার্মান প্রেম-পরিণয়ের নভেল লেখেন অথচ তিনি কার কাছে সংস্কৃত শিখেছেন সে তথ্যে জীবনীকারেরা চুপ মুলার ভারতে আসেন নি অথচ সংস্কৃত শিখেছেন মুলার যখন ভারতউত্সুক, তখনও ভারতে সংস্কৃত কথ্য ভাষা ছিলনা যে ভাষা কথ্য নয়, সে ভাষা শিখতে উপযুক্ত শিক্ষক সময় প্রয়োজন এ তথ্য জানতে বা জানাতে জ্ঞানীগুণী পদার্থবিজ্ঞাণী হওয়ার প্রয়োজন হয় না সেই শিক্ষা শুরু হয় শিশুকাল থেকেই অনুবাদ করতে দুটো ভাষাতেই বিশেষজ্ঞ হতে হয় ঋগ্বেদের তথাকথিত অনুবাদের পথ ধরে তৈরি হল ভারতবিদ্যার ধারা মেকলের প্রধাণ পুরোহিত, ভাগ্যান্বেষী মুলার ক্রমে হয়ে উঠলেন ভারত বিশ্লেষণের কারিগর তৈরি হল আর্যতত্ব
তো, গুরুমেকলের পথ ধরে মুলারের ভারতবিশেষজ্ঞের কাজ শুরু করেন মেকলের ১৮৩৫এর মিনিটের ছত্রে ছত্রে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি ঘৃণা পৃথিবী বিখ্যাত মিনিটের তত্বকে ব্যজস্তুতি হিসেবে ভারতে বাস্তবে নামিয়ে আনলেন মুলার মেকলের মুলার-অর্জন ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা মুলার আদৌ সংস্কৃত জানেন কীনা তা নিয়ে মেকলের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা ছিল না তিনি চেয়েছিলেন এমন এক মানুষ যিনি ভারতকে শ্রদ্ধা জানাবার ছলে, ভারতকে দাস বানাতে দক্ষ চেয়েছিলেন এমন একজন, যার রচনায় ভারত সম্বন্ধে অজস্র শ্রদ্ধা, আর মনে চরম অশ্রদ্ধার বীজমন্ত্র যে বীজমন্ত্র সফলভাবে ছড়িয়ে দিতে পারবেন মেকলের তৈরি করা শিক্ষা নীতির উদ্বৃত্ত শহুরে ভারতীয়দের মনে(অন্য কোনও দিন সুযোগ পেলে আলোচনা করা যাবে) মুলার ইওরোপজাত মেকলে জানতেন তাঁর মিনিটেরমত, মনগড়া হলেও তার শিষ্যের আর্যতত্ব, শহুরেরা বিনাদ্বিধায় চোখবুজে মেনে নেবে মুলারের কাছে অর্থদাতারা চাইছিলেন ভারতীয়রা যেন ৮০০০ বছরের সভ্যতার শেকড়ে ফিরতে না পারে শুরু হল ভারত ব্যাজস্তুতি রচনা বাস্তবে রূপায়িত হতে শুরু করল ঋগ্বেদ অনুবাদের বকলমে মুলারের আর্যতত্ব প্রখ্যাত হলেন মুলার
সে সময় মুলারকে ভারতের উদ্ধারকর্তা হিসেবে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ১৭৬৩ থেকে গ্রামে গ্রামে স্বাধীণতা সংগ্রামের বীজ বেনা চলছে ব্রিটিশদের আঁকড়ে ধরতে হচ্ছে শহরের মধ্যবিত্তদের ইংরেজদের পথে ভারত শাসনের জন্য তৈরি করতে হচ্ছে তাদেরকে মেকলেও, মুলারের ইমেজ সেই ভাবে সাজিয়েছেন মুলারের ডক্টরেট করা আর সংস্কৃত জানা নিয়ে বহু মিথ্যের জাল বোনা হয়েছে এই প্রবন্ধের শেষে আমরা তার ডক্টরেট উপাধি পাওয়া বিষয়টি অনুসন্ধান করব আমাদের দুটো ঘটনা ঘুরে সেই প্রমাণে যেতে হবে