আগামী শণিবারের নিশিরাতে এরা আসবে শিবের গাজনতলায়।মাটির সোঁদা গন্ধ মাখা কালো কালো লড়াকু মানুষ।ভয়াল করে মুখ আঁকা।পরনে লাল-কালো ঘাগড়া।কোমরে ঘণ্টা নেউর।হাতে ধারালো রাম-দা।কাঁচি মদ খেয়ে তারা বিভোর।ঢাকিরা ছুটে যাবে তাদেরকে বরণ করে নিতে।কারু হাতে এক দঙ্গল নরকরোটি।তাতে টকটকে সিঁদূর মাখানো ।ধূপের রহস্যময় গন্ধ।বাজনার তালে তালে আসরে এসে গোল হয়ে বসে।শুরু করে বিলম্বিত লয়ে করুণ রসাত্মক সঙ্গীত।যেমন পালার নাম হরিশচন্দ্র বা শ্মশান মিলন।
দারুণ বিধিরে ওরে ও বিধি
বড় বাদ সাদিলি,ওরে বড় বাদ সাধিলি
আজ কোল ভরাধন কোলের মাণিক
কেন হরে নিলি।।ধুয়ো
গানের শেষে শুরু হবে শকুন নাচ।নরমুন্ডগুলি এক জায়গায় রেখে সকলেই গোলাকারে দাঁড়াবে। এরা সব শকুন।বৃত্তের বাইরে থাকবে দু জন শিয়াল রূপে।নাচের আসর হয়ে উঠবে শ্মশা্নক্ষেত্র।ঢাকিদার প্রথমে দ্রুতলয়ে ছক্কা দেবে।শিল্পীরা দু-হাত প্রসারিত করে কোমর ঝুঁকিয়ে ঘু্রবে।বাজনার লয় অনুসারে ধীর থেকে দ্রুতলয়ে।নাচের প্রথম পর্ব শুরু।যেন শকুনগুলো আকাশে উড়ছে।নরমাংস খাওয়ার জন্য শ্মশানে এসে বসবে।ঢাকিদার কাহারবা লয়ে৪/৪ ছন্দে বাজাবে।সঙ্গে কাঁসির ঠেকা।ধীর থেকে দ্রুত লয়ে।তালটি হলোঃধিনাক নাতিন তিনাক তা/নাক তিন তিন তিনাক তা ।মাতানের তেহায় এর শেষে একটা করে শকুন বসবে।সব বসার পর নাচের দ্বিতীয় পর্ব শুরু।প্রতিটি শকুন মাটি ঘেঁসে এবার এগিয়ে যেতে থাকে নরমুন্ডএর দিকে।কাহারবার দ্রুত লয়ে ঠেকাঃধিধি নাকতিনা/তিতি নাকধিনা।শিয়াল ও দ্রুত ছুটে আসে নরমুন্ডের দিকে।ঢাকিদার ঠেকা দেনঃধাক ধিনা ধিন/ ধাক ধিনা ধিন/ ধাক ধিনা ধিন ধা//শিয়াল আর শকুনের লড়াই এ জমে ওঠে এই অতি প্রাচীন লৌকিক নৃত্যনাট্যটি।শেষে একসময় শিয়ালের বাধা অতিক্রম করে শকুনরা দখল করে নরমুন্ডগুলি।পদ্মফুলের পাপড়ি মেলার মতো সবাই ছড়িয়ে পড়ে বৃত্তের মধ্যে।ঢাকিদার তখন বাজাতে থাকেনঃধাধিন না তিন ধাধিন ধিনা/ধাগধিনা ধিন নাতিন তিনা//
https://www.facebook.com/swapan.thakur.798/posts/42088245140722
দারুণ বিধিরে ওরে ও বিধি
বড় বাদ সাদিলি,ওরে বড় বাদ সাধিলি
আজ কোল ভরাধন কোলের মাণিক
কেন হরে নিলি।।ধুয়ো
গানের শেষে শুরু হবে শকুন নাচ।নরমুন্ডগুলি এক জায়গায় রেখে সকলেই গোলাকারে দাঁড়াবে। এরা সব শকুন।বৃত্তের বাইরে থাকবে দু জন শিয়াল রূপে।নাচের আসর হয়ে উঠবে শ্মশা্নক্ষেত্র।ঢাকিদার প্রথমে দ্রুতলয়ে ছক্কা দেবে।শিল্পীরা দু-হাত প্রসারিত করে কোমর ঝুঁকিয়ে ঘু্রবে।বাজনার লয় অনুসারে ধীর থেকে দ্রুতলয়ে।নাচের প্রথম পর্ব শুরু।যেন শকুনগুলো আকাশে উড়ছে।নরমাংস খাওয়ার জন্য শ্মশানে এসে বসবে।ঢাকিদার কাহারবা লয়ে৪/৪ ছন্দে বাজাবে।সঙ্গে কাঁসির ঠেকা।ধীর থেকে দ্রুত লয়ে।তালটি হলোঃধিনাক নাতিন তিনাক তা/নাক তিন তিন তিনাক তা ।মাতানের তেহায় এর শেষে একটা করে শকুন বসবে।সব বসার পর নাচের দ্বিতীয় পর্ব শুরু।প্রতিটি শকুন মাটি ঘেঁসে এবার এগিয়ে যেতে থাকে নরমুন্ডএর দিকে।কাহারবার দ্রুত লয়ে ঠেকাঃধিধি নাকতিনা/তিতি নাকধিনা।শিয়াল ও দ্রুত ছুটে আসে নরমুন্ডের দিকে।ঢাকিদার ঠেকা দেনঃধাক ধিনা ধিন/ ধাক ধিনা ধিন/ ধাক ধিনা ধিন ধা//শিয়াল আর শকুনের লড়াই এ জমে ওঠে এই অতি প্রাচীন লৌকিক নৃত্যনাট্যটি।শেষে একসময় শিয়ালের বাধা অতিক্রম করে শকুনরা দখল করে নরমুন্ডগুলি।পদ্মফুলের পাপড়ি মেলার মতো সবাই ছড়িয়ে পড়ে বৃত্তের মধ্যে।ঢাকিদার তখন বাজাতে থাকেনঃধাধিন না তিন ধাধিন ধিনা/ধাগধিনা ধিন নাতিন তিনা//
https://www.facebook.com/swapan.thakur.798/posts/42088245140722
No comments:
Post a Comment