Wednesday, June 22, 2016

দ্য মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন - যদুনাথ সরকার


একাদশ অধ্যায়

সম্রাটের নির্দেশ-

তোমার দিওয়ানি এবং আমিনির অধীনের পরগণার প্রত্যেক গ্রামের অবস্থা নিরীক্ষণ করে বাস্তব অবস্থা দেখবে, চাষযোগ্য জমি কতটা রয়েছে? জমির কত অংশ চাষ হচ্ছে, কত অংশ হচ্ছে না? প্রত্যেক বছর মোট ফসল কত হয়? কেন জমিগুলি অকর্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে?

এছাড়াও আকবরের রাজত্বে টোডরমল্লর দেওয়ানি প্রশাসনে কি ধরণের রাজস্ব অবস্থা ছিল দেখবে? নীতি অনুযায়ী সায়ের শুল্ক এক আছে না বেড়েছে? কত মৌজায় চাষ হচ্ছে আর কতগুলি জনশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে? কেন মৌজা জনশূন্য? এইসব বিষয়ে গভীরভাবে নজর দিয়ে যতসম্ভব চাষযোগ্য জমি রয়েছে সেগুলিকে উপযুক্ত চুক্তি(কাউল) এবং ঠিকঠাক প্রতশ্রুতি দিয়ে চাষের এবং প্রথম শ্রেণীর(কামিল, টিপু সুলতান বলছেন, বছরের শুরুতে(আমিল) সব রায়তকে কাউল দাও...এবং তাদের চাষ করতে উৎসাহ দাও, জিনিসইকামিল অর্থ একটি জমিতে যতটা ফসল হয়, আমি(=যদুনাথ) যে ভাবে অনুবাদ করেছি তা হল, প্রথম শ্রেণীর ফসল, নিম্নশ্রেণীর ফসলকে বলা হত নাকিস) ফসলের উপযোগী করে তুলবে। কোথাও যদি পড়ে থাকা কুঁয়ো থাকে, সেটিকে সারাবার ব্যবস্থা করবে, এছাড়াও নতুন খুঁড়বে। এবং সেগুলির রাজস্ব এমনভাবে নির্ধারণ করবে, যাতে রায়তেরা তাদের বকেয়া দিতে উতসাহী হয় এবং সঠিক সময়ে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় এবং কোন রায়ত যাতে সেই পরিকল্পনার বিরোধিতা না করে।
প্রত্যেক বছর প্রত্যেক মৌজায় চাষীদের তালিকা, চাষের এবং চাষযোগ্য জমি নির্ধারণ করে, যথাক্রমে বর্ষার এবং কুঁয়োর জলে সেচসেবিত জমি নির্ধারণ করে, প্রথম শ্রেণী এবং নিম্নমানের ফসল নির্ধারণ করে, চাষযোগ্য জমির চাষের ব্যবস্থা করে, যে সব এলাকায় জমি বহু বছর ধরে জনশূন্য পড়ে রয়েছে, সেই জমিতে কত বেশি প্রথম শ্রেণীর শস্য চাষ করানো যায় – এবং গত বছরের রাজস্ব নিদানে(রেভিনিউ গাইড = দস্তুরউলআমল) আর কি কি বলাছিল, সেগুলি বিশদে সমীক্ষা করে, শেষতম বছরে কত পরিমান অর্থ টাকায় আদায় হল তার বিশদ বিবরণ আমায় পেশ করবে। খরগোশের (তুর্কি) বছরের শরতের শুরুতে, অষ্টমতম বছরে যে নিয়মনীতিগুলি প্রযুক্ত হয়েছে, সেগুলি জান, বোঝ, এবং সেই অনুযায়ী কাজ কর, এবং মহলের আধিকারিক এবং জায়গিরদারদের সেইভাবে কাজ করতে নির্দেশ দাও-
(চলবে)

No comments: