Thursday, June 2, 2016

দ্য মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন - যদুনাথ সরকার



পঞ্চম অধ্যায়
করব্যবস্থা


৯। আওরঙ্গজেবের নিষিদ্ধ করা আওবাব
আওরঙ্গজেব এই ক’টি আওবাব নিষিদ্ধ করেন
ক। বিক্রির বিভিন্ন স্তরের ওপর আবওবাব
(আইনি কর, কোরাণে উল্লিখিত নিসাবের দামের(৫২টাকা ৮পয়সা) নিচে বিক্রিত কিছু পণ্য বিক্রির ওপর হিন্দু বিক্রেতাদের জন্য ৫ শতাংশ আর মুসলমান বিক্রেতাদের জন্য আড়াই শতাংশ কর ধার্য হত)
১। ধরা মাছ বিক্রির জন্য জেলেদের ওপর কর
২। চাষিদের জমিতে উতপন্ন রান্না করার জন্য সবজির বিক্রির ওপর কর,
৩। জ্বালানির জন্য ঘুঁটের ওপর কর
৪। দুধ আর দই
৫। জঙ্গল থেকে আনা পাল(?) আর পলাশের পাতা আর বাবুলের ছাল
৬। জঙ্গল থেকে আনা ঘাস, কাঁটা গাছ এবং জ্বালানি কাঠ
৭। তেল(জানাগেল গুজরাতের সরসপুরে আধিকারিকেরা প্রত্যেক তেলের পাত্রের(কুপি) জন্য বছরে ৩০ টাকা ধার্য করেছেন – মিরাট)
৮। গ্রামে তৈরি মাটির তৈজস শহরে এনে বিক্রির ওপরে কর
৯। তামাক(এক সেনার গাড়িতে তামাক লুকনো রয়েছে, এই অভিযোগে তল্লাশির জন্য সে তার স্ত্রীকে হত্যা করার পর, ১৬৬৬ সালের এই আবগারি দ্রব্যের ওপর কর উঠে যায় – সূত্র স্তোরিয়া দ্য মোগর আর হিস্ট্রি অব আওরঙ্গজেব। ১৬৭৩ সালে এক ফরমানে আওরঙ্গজেব তাঁর আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, ‘জনগণের ডোলি, উটের পরিবহন, গরুর গাড়ি এবং অন্যান্য যান তল্লাসি করে তাদের হয়রান করবে না। এর সঙ্গে মিরাট যোগ করছে, ‘জনগণের ডোলি, উটের পরিবহন, গরুর গাড়ি এবং অন্যান্য যানে মহিলা আর শিশু থাকলে সেগুলি ও তাদের ঝোলা, প্যাঁটরা এবং গাঁটরি খুলে তামাকের এবং অন্যান্য দ্রব্যের জন্য কর নেওয়া হয়’।)
১০। রাষ্ট্রের একচেটিয়া কোন পণ্য কেনার ক্ষত্মতা রদ করাঃ ‘রাষ্ট্রের কারখানাতে সুগন্ধী তৈরির জন্য বাজারের সমস্ত গোলাপ কিনে নেওয়া হত, ব্যক্তিদের গোলাপ কেনা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু কুতুবুদ্দিন খাঁয়ের পরামর্শ মেনে বাগানীদের খোলা বাজারে গোলাপ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়’।
খ।স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির জন্য কর
১১। জমি বিক্রি বা বন্ধক রাখতে।
১২। প্রাসাদ(হাভেলি) বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের থেকে কানুনগো আর পেয়াদাদারা আড়াই শতাংশ নিত।
১৩। মিরাট সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঢোলকায় কোন এক মহিলা তাঁর বাড়ি ভেঙে বিক্রি করতে গেলে কোতোয়াল প্রত্যেকটি ইট এক টাকায় বিক্রির জন্য তিন টঙ্কা ধার্য করে।
১৪। ১২ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, কোন ব্যক্তি বাড়ি বিক্রি করতে গেলে সরকার বিক্রেতার থেকে একটা মূল্য নির্ধারণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দাবি করত।
১৫। দাস বিক্রির জন্য

No comments: