মাননীয়রা যারা আলোচনায় আসবেন প্রাথমিকভাবে এই দার্শনিক বিষয়টা মাথায় রেখে আলোচনা করবেন।
উৎপাদনগতভাবে, দার্শনিকগতভাবে পশ্চিমি যুদ্ধবিদ্যা সংক্রান্ত বড় পুঁজির প্রযুক্তি(আদতে বিজ্ঞান নয়), আর পূর্বের ভারত-আরব-পারসিক জ্ঞানচর্চা দুটো দু মেরুর।
গ্যালিলিও লিওনার্দোদাভিঞ্চি সক্কলে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী সামরিক প্রযুক্তি বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। লুঠেরা ঔপনিবেশিক প্রচারে আমরা এদের মাথায় তুলে রাখি।
পশ্চিমি প্রযুক্তি মূলতঃ পেটেন্ট -মেধা সংরক্ষণ ভিত্তিক। এই প্রযুক্তি মানুষ খুন লুঠ আর সাম্রাজ্য স্থাপনের জন্য তৈরি হয়। এই প্রযুক্তিকে কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে কিছু মানুষ বিশ্ব সম্পদ লুঠের আর সাম্রাজ্য স্থাপনের জন্য। তাই এই প্রযুক্তি বিকাশ করার জন্য বিপুল বিনিয়োগের গবেষণাগার লাগে। সাম্রাজ্যের কাজে মাথা মোড়ানো বৈজ্ঞানিক, বলা ভাল প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন হয়। লুঠেরা সাম্রাজ্য বা সাম্রাজ্যের স্তম্ভ কর্পোরেটদের বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। যন্ত্র কাজে লাগাতে প্রচুর অপচয়ী বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
অথচ পূর্বের প্রযুক্তি সামাজিক, উতপাদক বা সমাজের নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থানীয় প্রয়োজনে বিকশিত হয়। কোন আন্তর্জাতিক মডেল নেই। প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত - পুঁজি প্রয়োজন হয় না - হলেও নগণ্য। এই প্রযুক্তি হাজারো বিতরক হাজারো উৎপাদক স্থানীয় কাঁচামাল আর জ্ঞান নির্ভর করে চাহিদামত পণ্য উতপাদন করে।
পূর্বের প্রযুক্তি প্রয়োগে বিশ্ব হাজার হাজার বছর বেঁচে এসেছে। আজ আড়াই শত বছরের শিল্পবিপ্লবীয় প্রযুক্তি বিশ্বকে ধ্বংস আর মানুষকে দাস বানিয়ে ফেলছে।
দুটিকে আলাদা আলাদা প্রেক্ষিতে দেখা দরকার।
No comments:
Post a Comment