সেই সমাজের ধারকবাহকদের প্রণাম জানাই, যারা আমার মত দেশ সমাজ সম্বন্ধে অজ্ঞানী, পরম্পরায় আস্থাহীন সংখ্যালঘু ভদ্রবিত্ত সমাজ থেকে যাওয়া হেঁটমুণ্ডঊর্ধপদী মানুষকে অসীম গ্রামীন ঔদার্যে বাংলার শক্ত কিন্তু অসীম শিল্পসৌকর্যময় মাটিতে দাঁড় করাবার চেষ্টা করছেন। প্রথমে পথের ব্যবসায়ী, পরে গ্রামীন পরম্পরার কারিগর এবং সেবা দেওয়া মানুষদের পায়ের কাছে বসে যা শিখেছি, যতকিঞ্চিত অর্জন করেছি, তা অর্থনীতির সাম্মানিক শ্রেণীতে বসে পারি নি। বৈশ্য-শূদ্র-মুসলমান-আদিবাসী সভ্যতার তৈরি চাষী-হকার-কারিগরি অর্থনীতিই যে উপমহাদের ধারক, ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রন্মোত্ত কর্পোরেট সমাজ কতটা ভঙ্গুর, তা চোখের সামনে দেখেছি ২০০৮ ইওরোপিয় অর্থনীতির বিষ বাষ্প রুখে দিল হকার-চাষী-কারিগরদের তৈরি কারিগর অর্থনীতি।
২০০৮এর পর বোঝাগেল চাষী-হকার-কারিগর অর্থনীতির জোর। বোঝালেন আমার মাঠের কারিগরি কারখানার পথের ঘাটের হকার-চাষী-কারিগর শিক্ষকেরা। মাথা নামানো শিক্ষার্থী হয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম চাষী-হকার-কারিগরদের অতীত ইতিহাস। ততদিনে শিক্ষক হিসেবে এসে গিয়েছেন ধরমপালজী, চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন উপনিবেশের জ্ঞানলুঠের ইতিহাস। এক্কেবারে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া কারিগরদের বুঝতে উপনিবেশবাদ বোঝা জরুরি, সেটা ধরিয়ে দিলেন ক্লদ আলভারেজ, আশিস নন্দী, বিনয় লাল, প্রসন্নন পার্থসারথী, ক্রিস বেইলি, যদুনাথ সরকার, জগদীশ নারায়ণ সরকার, সঞ্জয় সুব্রহ্ম্যম, কপিল রাজ, রাজীব কিনরা, রস গোমানস, বার্নার্ড কোহন, নিক রবিনস, নিকোলাস ড্রিকস, অর্জুন আপ্পাদুরাই, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বিনয় ঘোষ, বিনয় লাল, বীণা তলোয়ার, রুবি লাল, অর্জুনদেব সেনশর্মা এবং আরও অনেকে।শেষে পেলাম অমিয় বাগচী মশাইকে। সে এক অসাধারণ উপনিবেশ বোঝার তারিকা। পরে নরেন্দ্র কৃষ্ণ সিংহ, কীর্তি নায়ারণ চৌধুরী, ওম প্রকাশ এবং সুশীল চৌধুরী বাংলার আর্থিক ইতিহাস বুঝতে শেখালেন। জয়া মিত্র আর অনুপম মিশ্র সমাজকে, দেশের প্রযুক্তিকে ভালবাসার স্রোতে নামিয়ে দিলেন।
কত যে বন্ধ দ্বার খুলে যেতে শুরু করল - বাংলায় ঘুরতে ঘুরতে - যদুপুর, হরিরামপুর, মহেন্দ্র, ভীমের জাঙ্গাল, আমাতি, ভীমপুজা, লক্ষ্মীপুজা, বালি যাত্রা উতসব, খুদুরকুনি, বেরা ভাসান আমায় ঘাড় ধরে বোঝাল মানুষ আর ইতিহাসের সম্পর্ক - গভীরে যেতে হয়, তার মত করে বুঝতে হয়! যদুনাথ সরকারের মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন অনুবাদ করে বুঝলাম ঔপনিবেশপূর্ব সরকারগুলছে চাষী-কারিগরদের পালক ছিল।
সক্কলের মধ্যে ব্যতিক্রম সুশীলবাবু। আমি তাঁর একলব্য শিষ্য। বাংলার ইতিহাস পড়ার তথ্যগুলিই নতুন করে বুঝতে শেখালেন - এ সবেই কারিগরদের কৃতি আর বাংলার সমৃদ্ধিকে বোঝার চাবিকাঠি আছে বুঝতে পারার অবস্থায় এসেছি - হয়ত। তিনিও চলে গেলেন তাঁর সঙ্গে কোনও সামনা সামনি আলোচনার সুযোগ না দিয়ে। কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, চণ্ডীচরণ সেন, নিখিলনাথ রায় দীনেশচন্দ্র সেন, কিছুটা রজত রায়, আবদুল করিম, সুবোধ মুখোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেছি।
কত যে বন্ধ দ্বার খুলে যেতে শুরু করল - বাংলায় ঘুরতে ঘুরতে - যদুপুর, হরিরামপুর, মহেন্দ্র, ভীমের জাঙ্গাল, আমাতি, ভীমপুজা, লক্ষ্মীপুজা, বালি যাত্রা উতসব, খুদুরকুনি, বেরা ভাসান আমায় ঘাড় ধরে বোঝাল মানুষ আর ইতিহাসের সম্পর্ক - গভীরে যেতে হয়, তার মত করে বুঝতে হয়! যদুনাথ সরকারের মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন অনুবাদ করে বুঝলাম ঔপনিবেশপূর্ব সরকারগুলছে চাষী-কারিগরদের পালক ছিল।
সক্কলের মধ্যে ব্যতিক্রম সুশীলবাবু। আমি তাঁর একলব্য শিষ্য। বাংলার ইতিহাস পড়ার তথ্যগুলিই নতুন করে বুঝতে শেখালেন - এ সবেই কারিগরদের কৃতি আর বাংলার সমৃদ্ধিকে বোঝার চাবিকাঠি আছে বুঝতে পারার অবস্থায় এসেছি - হয়ত। তিনিও চলে গেলেন তাঁর সঙ্গে কোনও সামনা সামনি আলোচনার সুযোগ না দিয়ে। কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, চণ্ডীচরণ সেন, নিখিলনাথ রায় দীনেশচন্দ্র সেন, কিছুটা রজত রায়, আবদুল করিম, সুবোধ মুখোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেছি।
সব শেষে আমায় যে সঙ্গঠন শিখিয়ে পড়িয়ে দেশ দেখার চোখ তৈরি করে দিয়েছে তার সম্পাদক Madhumangal Malakar এবং হাজারো হকার কারিগর।সব শেষে ধন্যবাদ Somnathকেও।
No comments:
Post a Comment