পশ্চিম বাংলায় রাসমনীদের সম্পত্তির পরিমান কত জানেন? ষাট লক্ষ হেক্টর।সাবেক ১৪৫ তৌজির একমাত্র মালিক বলতে রানীরাসমনী এস্টেটের শ্যমলী দাস ও তার দুই ছেলে অমল ও অম্লানকেই বোঝায়।আজ ঐ পরিবারের পুরোনো কিছু কাগজ পত্র হাতড়ে দেখছিলাম কিভাবে একটি রয়্যাল পরিবারকে সম্পূর্ন শেষ করে দেওয়া হয়েছিল।যাদের ১৪৫ তৌজির পরিমান ছিল হালিশহর থেকে নামখানা।এই পরিবারটির পাশে কোনদিন কোন সরকার দাঁড়ায়নি।যেখানে ১৯৫৩ সালের এস্টেট অধিগ্রহন আইনে সমস্ত জমিজমা অধিগ্রহন করা হলেও এদের কোনরুপ ক্ষতিপুরন দেওয়া হয়নি।যা নিয়ে ভুমিজীবি বনাম রাজ্য সরকারের একটি মামলায় কোলকাতা মহামান্য উচ্চান্যায়ালয় পরিস্কার তার রায়ে জানিয়েছিল উপযুক্ত ন্যায্য ক্ষতিপুরন দিয়েই অধিগ্রহন করতে হবে।না হলে পুরো প্রক্রিয়াই বেআইনি বলে গন্য হবে।যা আরো একটি মামলায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এই পরিবারের আইনি অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে লিবার্টি দিয়েছিলেন।যা তাদের স্হাবর সম্পত্তির উপর দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করে।যা নিয়ে এই এস্টেটের পক্ষ থেকে শ্যমলী দাস আইনের সমস্ত দরজায় কড়া নেড়েও সফল হননি।যেখানে ২০০৮ সালের ওয়েষ্ট বেঙ্গল ল্যান্ড এন্ড রেভিনিউ দপ্তরের এক তদন্ত রিপোর্টে এদের সম্পত্তি যে জাল করে লুট করা হয়েছে সে বিষয়ে পরিস্কার করে দিয়েছে।যেখানে এই পরিবারটিকে শেষ করার পিছনে সবচেয়ে বড় চক্রান্তকারী ছিলেন তৎকালিন এদের সোলিসিটার ফার্ম আশোক কৃষ্ঞ দত্ত।অথচ এদের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ সত্যেও কোন এনকোয়ারি হয়নি।তার কারন রাসমনীদের অধিকাংশ জমিজমাই লুট করে ভাগ করে নিয়েছে অবাঙালি শিল্পপতিরা।এদের মধ্যে আছে পোদ্দার,বিনায়ক,থেকে রমেশ গান্ধীর মতো মানুষেরা।পুরোনো ফাইল পত্র ঘেঁটে দেখছিলাম এদের স্হাবর সম্পত্তির পরিমান কোথায়কোথায়।সল্টলেক,নিউটাউন,রাজারহাট,ইএম বাই পাস,কসবা,চৌবাগা,মুকুন্দপুর,সন্তোষপুর,কত লিখবো।আশ্চর্যের বিষয় একটি বাঙালি রয়্যাল পরিবারের এমন অবস্হার মুলে বাঙালিরাই সবচেয়ে বেশি দায়ি।এদের সম্পত্তি সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি হয়েছে বাম আমলে যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু,পর্বর্তি সময় বুদ্ধদেব ভট্যাচার্য,মেয়র হিসাবে দায় অবশ্যই নিতে হবে তৎকালিন কলকাতার মেয়র সুব্রত মুখার্জি পরে বিকাশ ভট্যাচার্যদের।এরা চাইলে হয়তো কিছুটা ন্যায় বিচার এই পরিবারকে দেওয়া সম্ভব হতো।কিন্তু যেকোন কারনেই সেটা তারা করেনি যেখানে লুটের মাল জলের দরে ফলের রস কেনার মতোআত্মসাৎ করেগেছে,তোলাসিয়া,বিনায়ক
লিখেছেন subhasis ghosh
No comments:
Post a Comment