...দিনাজপুরের মধুমঙ্গল মালাকার সহাস্যে হাত ধরলেন চিনা গ্রাম উতপাদক মা হুইএর,
...জলপাইগুড়ির সিতিন রাভা কোমরে বাঁধা তাঁত নিয়ে কথা বলছেন মেক্সিকোর রুমা হোসের তাঁতের সঙ্গে
...দশাবতার তাসের শীতল ফৌজদার গাছের রঙ নিয়ে রাঙিয়ে দিচ্ছে তুর্কির বাবরের পট
...রাজবংশী মালতী রায় মাটির চাকে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ঘাণার গুমুম্বার হাতে গড়া মাটির কলসির ছাওয়ায়
...নেপাল সূত্রধরের ঝুমুরের সুরে মুখোশে রং মাখছে পেরুর গ্রামীন তৈলচিত্রী সান্তানা
...রাবণকাটা নাচের ছন্দে নেচে উঠছে তাতার মহিলারা
...মুর্শিদাবাদের বেরা ভাসানোর আলোয় ভেসে যাচ্ছে মিশরের নীল নদ
...ডোকরা কামার অনিল কর্মকারের ধাতুর পাত্রে ধাতু রাখছে সাহারার ওকাম্বো
...বীরভূমের রোশেনারার নক্সীকাঁথার মাঠে মিশে যাচ্ছে যশোরের সাব্রিনার সূঁচ
...কাঁধে বাঁক নিয়ে মেদিনীপুরের চন্দনপুরের কাঁসার বাসন/মুণ্ডমূর্তি বিক্রেতা রাম জানা সীমান্ত উজিয়ে তামুক ফুঁকছেন করাচীর মাজারের পাশের মহল্লার জাকিরের ধাতু ঢালাই কারখানায়
...বাড়িতে যত্ন করে শীতকালে বড়ি দেওয়া মালতীর চোখের আলোয় ভেসে যাচ্ছে ইরাকের শামিমার শিকড় আর স্বজন হারানোর আর্তি
...হরিশের চাষের নীল রং নিংড়ে য়ুনানের তাঁতি বুনছে স্বপ্নের মসলিন
...বৃন্দাবনের গালার পুতুল সীমান্ত নিংড়ে দোড়চ্ছে লাওস-ভিয়েতনামের পানে
...মাধইদাসমোহান্তর একতারার তারসপ্তকে লেপ্টে রয়েছেন ইরাণের চাষী
...পটিদারদের আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে কথা বলছেন য়ুগোস্লাভিয়ার পটিদার মামলুক
...চাঁদের পথ চেয়ে আজো বসে আছেন সিঙ্গুরের সিংহল পাটন গ্রাম থেকে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া বিজয় সিঙ্ঘের উত্তরসূরীরা
...দশাবতার তাসের শীতল ফৌজদার গাছের রঙ নিয়ে রাঙিয়ে দিচ্ছে তুর্কির বাবরের পট
...রাজবংশী মালতী রায় মাটির চাকে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ঘাণার গুমুম্বার হাতে গড়া মাটির কলসির ছাওয়ায়
...নেপাল সূত্রধরের ঝুমুরের সুরে মুখোশে রং মাখছে পেরুর গ্রামীন তৈলচিত্রী সান্তানা
...রাবণকাটা নাচের ছন্দে নেচে উঠছে তাতার মহিলারা
...মুর্শিদাবাদের বেরা ভাসানোর আলোয় ভেসে যাচ্ছে মিশরের নীল নদ
...ডোকরা কামার অনিল কর্মকারের ধাতুর পাত্রে ধাতু রাখছে সাহারার ওকাম্বো
...বীরভূমের রোশেনারার নক্সীকাঁথার মাঠে মিশে যাচ্ছে যশোরের সাব্রিনার সূঁচ
...কাঁধে বাঁক নিয়ে মেদিনীপুরের চন্দনপুরের কাঁসার বাসন/মুণ্ডমূর্তি বিক্রেতা রাম জানা সীমান্ত উজিয়ে তামুক ফুঁকছেন করাচীর মাজারের পাশের মহল্লার জাকিরের ধাতু ঢালাই কারখানায়
...বাড়িতে যত্ন করে শীতকালে বড়ি দেওয়া মালতীর চোখের আলোয় ভেসে যাচ্ছে ইরাকের শামিমার শিকড় আর স্বজন হারানোর আর্তি
...হরিশের চাষের নীল রং নিংড়ে য়ুনানের তাঁতি বুনছে স্বপ্নের মসলিন
...বৃন্দাবনের গালার পুতুল সীমান্ত নিংড়ে দোড়চ্ছে লাওস-ভিয়েতনামের পানে
...মাধইদাসমোহান্তর একতারার তারসপ্তকে লেপ্টে রয়েছেন ইরাণের চাষী
...পটিদারদের আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে কথা বলছেন য়ুগোস্লাভিয়ার পটিদার মামলুক
...চাঁদের পথ চেয়ে আজো বসে আছেন সিঙ্গুরের সিংহল পাটন গ্রাম থেকে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া বিজয় সিঙ্ঘের উত্তরসূরীরা
স্বপ্ন ভেঙ্গে দেখি সীমান্তের কাঁটাজালে রাম জানা ফেলেনি হয়ে ত্রিভঙ্গ, সূর্য তার পিতলের মুণ্ডমূর্তিতে পড়ে জল চকচকে চোখে বলছে ঠিক দিন একদিন আসবেই...আসবেই...আসবেই...
মধুমঙ্গলেরা জানেন একদিন না একদিন এক দেশের গ্রামীন উতপাদক অন্য দেশের উতপাদকের চোখে চোখ, হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ দিয়ে বলবে এ বিশ্ব আমরাই ঠিকানা, এ বিশ্ব আমরাই গড়েছি...
সেই অনাগত সীমান্তের বেড়াহীন দিনের দিকে তা্কিয়ে আজ বাংলার গ্রাম শিল্পীরা...লড়ে যান...
No comments:
Post a Comment