রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, ৬, ৭ আশ্বিন ১৪২৩
বন্ধুরা, আমরা কলাবতী মুদ্রা, বা বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ, বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সঙ্ঘর সদস্যরা প্রায় চার বছর ধরে বাঙলার গ্রাম বিষয়ক জ্ঞানচর্চা বিষয়ে সম্মেলন আয়োজনের স্বপ্ন দেখতাম। বহু সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়েছে, অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু সে কাজটি বাস্তবে আয়োজিত করা যায় নি, যতদিন না রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় আর ভারতীয় মানববিজ্ঞানসর্বেক্ষণ এক যোগ হয় নি কলাবতী মুদ্রার প্রস্তাবনায়।
প্রায় মাস চারেক আগে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বঙ্গরত্ন অনিল ভুইমালিকে এ বিষয়ে সকুন্ঠিত প্রস্তাব দিতে তিনি এক কথায় রাজি হয়ে যান। তার কিছু পরে কলকাতায় ভারতীয় মানব বিজ্ঞান সর্বেক্ষণের পূর্বাঞ্চলের উপনির্দেশক কাকলি চক্রবর্তী প্রস্তাবের পরিকল্পনা শুনে জানান, এই সম্মেলনে তারা আহারের বন্দোবস্ত করে দিতে পারেন - বাকি খরচ উদ্যোক্তাদের বহন করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে কলাবতী মুদ্রা বক্তা হিসেবে প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, সম্প্রীত চক্রবর্তী, সৌমিক মুখার্জী, অনুপম পাল এবং বাংলাদেশের অধ্যাপক গবেষক শাহিনুর রহমান টুটুলকে রাজি করায় তাঁদের কাজের কথাগুলি তুলে ধরার জন্য। জয়া মিত্র ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য যেতে পারেন নি। আর শাহিনুর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আসতে পারেন নি - কিন্তু লেখা ও ছবি পাঠিয়েছিলেন, সেটি বিতরণ করা হয়।
তো এই আশ্বাসে বুক বেঁধে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় নিবন্ধক ড পঙ্কজ কুণ্ডু এবং সহ নিবন্ধক মাননীয় নির্ঝর সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় এবং অধ্যাপক দীপক বর্মন এবং কলাবতী মুদ্রার লেখক এবং সাংবাদিক সুনীল চন্দ আর কলাবতী মুদ্রার অছি সদস্য মধুমঙ্গল মালাকারের প্রচণ্ড খাটাখাটনিতে এই দুদিনের (প্রাথমিকভাবে কথা ছিল দেড় দিনের; পরে দেখা গেল তা পুরো দু দিন টানতে হল) সম্মেলনটি পরিকল্পনা করা হতে শুরু করল। সম্মেলনের সংবাদ পেয়ে বাংলা জুড়ে বহু গবেষক, অধ্যাপক, চর্চাকারীও তাদের গবেষণালব্ধ উপলব্ধি উপস্থিত করার আগ্রহ জানানোয়, মূল তিনটি পর্বের সঙ্গে আরও তিনটি পর্ব যোগ করতে হল।
শুরুর দিন মাননীয় উপাচার্য মহাশয় অনিল ভুইমালি, নিবন্ধক মাননীয় ড পঙ্কজ কুণ্ডু এবং সহ নিবন্ধক মাননীয় নির্ঝর সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির দুই সদস্য মাননীয় ড তাপস মোহান্ত এবং মাননীয় ড অশোক দাস আর মধুমঙ্গল মালাকারের উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। শুরুর ভাষণ দেন উপাচার্য মহাশয় এবং বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আগামি দিনে গ্রামীনচর্চার ওপর জোর দেবে। গ্রামীন প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁরা প্রথমে একটি কম সময়ের প্রশিক্ষণ এবং পরে দুবছরের পাঠ্যক্রম আয়জনের কথা ভাবছেন। তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ সম্মেলনের আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানান।
৬ আশ্বিন, শুরু হল গ্রামচর্চা সম্মেলন। একটি নতুন শব্দ, নতুন অইওরোপিয় অভিধায় গ্রামকে দেখার চেষ্টার প্রচেষ্টা। অন্তত দুশ দর্শক, অংশগ্রহনকারীর উপস্থিত ছিলেন প্রথম দিনে, দ্বিতীয় দিনে প্রায় অরররধেক হয়। বলা দরকার বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ আর বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘের ৫০ জনের কাছাকাছি সদস্য প্রথম দিন সারাদিন প্রায় উপস্থিত ছিলেন। সংঘের যুবা সদস্যরা খুব সক্রিয় ছিলেন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতোকোত্তর শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রমের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। তাদের অবদান ভোলার নয়।
আরও বলা দরকার শ্রোতাদের সক্রিয় সহযোগিতায় এবং উদ্যমে আর উত্তপ্ত তাত্ত্বিক বিতর্কে এই অনুষ্ঠানটি শেষ হয় - বিশেষ করে দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় মূলপর্বে লোক সংস্কৃতি বনাম গ্রামচর্চা বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের মাননীয় সহকারী জেলাশাসক অমল রায়, দীপঙ্কর দে এবং বিশ্বেন্দু নন্দের উচ্চগ্রামের মতান্তরী বিতর্ক বহু মানুষকে এ বিষয়ে আগামী দিনে আরও গভীরে যেতে ভাবাবে।
উদ্যোক্তা, কলাবতী মুদ্রার পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহাশয়ের নেতৃত্বে প্রত্যেকজন কর্মী, রায়গঞ্জ শহর এবং দুই দিনাজপুরের নানান উতসাহী আলোচন শ্রোতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, সংঘের সদস্যদেরকে শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা জানানো গেল।
বন্ধুরা, আমরা কলাবতী মুদ্রা, বা বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ, বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সঙ্ঘর সদস্যরা প্রায় চার বছর ধরে বাঙলার গ্রাম বিষয়ক জ্ঞানচর্চা বিষয়ে সম্মেলন আয়োজনের স্বপ্ন দেখতাম। বহু সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়েছে, অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু সে কাজটি বাস্তবে আয়োজিত করা যায় নি, যতদিন না রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় আর ভারতীয় মানববিজ্ঞানসর্বেক্ষণ এক যোগ হয় নি কলাবতী মুদ্রার প্রস্তাবনায়।
প্রায় মাস চারেক আগে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বঙ্গরত্ন অনিল ভুইমালিকে এ বিষয়ে সকুন্ঠিত প্রস্তাব দিতে তিনি এক কথায় রাজি হয়ে যান। তার কিছু পরে কলকাতায় ভারতীয় মানব বিজ্ঞান সর্বেক্ষণের পূর্বাঞ্চলের উপনির্দেশক কাকলি চক্রবর্তী প্রস্তাবের পরিকল্পনা শুনে জানান, এই সম্মেলনে তারা আহারের বন্দোবস্ত করে দিতে পারেন - বাকি খরচ উদ্যোক্তাদের বহন করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে কলাবতী মুদ্রা বক্তা হিসেবে প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, সম্প্রীত চক্রবর্তী, সৌমিক মুখার্জী, অনুপম পাল এবং বাংলাদেশের অধ্যাপক গবেষক শাহিনুর রহমান টুটুলকে রাজি করায় তাঁদের কাজের কথাগুলি তুলে ধরার জন্য। জয়া মিত্র ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য যেতে পারেন নি। আর শাহিনুর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আসতে পারেন নি - কিন্তু লেখা ও ছবি পাঠিয়েছিলেন, সেটি বিতরণ করা হয়।
তো এই আশ্বাসে বুক বেঁধে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় নিবন্ধক ড পঙ্কজ কুণ্ডু এবং সহ নিবন্ধক মাননীয় নির্ঝর সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় এবং অধ্যাপক দীপক বর্মন এবং কলাবতী মুদ্রার লেখক এবং সাংবাদিক সুনীল চন্দ আর কলাবতী মুদ্রার অছি সদস্য মধুমঙ্গল মালাকারের প্রচণ্ড খাটাখাটনিতে এই দুদিনের (প্রাথমিকভাবে কথা ছিল দেড় দিনের; পরে দেখা গেল তা পুরো দু দিন টানতে হল) সম্মেলনটি পরিকল্পনা করা হতে শুরু করল। সম্মেলনের সংবাদ পেয়ে বাংলা জুড়ে বহু গবেষক, অধ্যাপক, চর্চাকারীও তাদের গবেষণালব্ধ উপলব্ধি উপস্থিত করার আগ্রহ জানানোয়, মূল তিনটি পর্বের সঙ্গে আরও তিনটি পর্ব যোগ করতে হল।
শুরুর দিন মাননীয় উপাচার্য মহাশয় অনিল ভুইমালি, নিবন্ধক মাননীয় ড পঙ্কজ কুণ্ডু এবং সহ নিবন্ধক মাননীয় নির্ঝর সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির দুই সদস্য মাননীয় ড তাপস মোহান্ত এবং মাননীয় ড অশোক দাস আর মধুমঙ্গল মালাকারের উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। শুরুর ভাষণ দেন উপাচার্য মহাশয় এবং বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আগামি দিনে গ্রামীনচর্চার ওপর জোর দেবে। গ্রামীন প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁরা প্রথমে একটি কম সময়ের প্রশিক্ষণ এবং পরে দুবছরের পাঠ্যক্রম আয়জনের কথা ভাবছেন। তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ সম্মেলনের আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানান।
৬ আশ্বিন, শুরু হল গ্রামচর্চা সম্মেলন। একটি নতুন শব্দ, নতুন অইওরোপিয় অভিধায় গ্রামকে দেখার চেষ্টার প্রচেষ্টা। অন্তত দুশ দর্শক, অংশগ্রহনকারীর উপস্থিত ছিলেন প্রথম দিনে, দ্বিতীয় দিনে প্রায় অরররধেক হয়। বলা দরকার বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ আর বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘের ৫০ জনের কাছাকাছি সদস্য প্রথম দিন সারাদিন প্রায় উপস্থিত ছিলেন। সংঘের যুবা সদস্যরা খুব সক্রিয় ছিলেন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতোকোত্তর শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রমের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। তাদের অবদান ভোলার নয়।
আরও বলা দরকার শ্রোতাদের সক্রিয় সহযোগিতায় এবং উদ্যমে আর উত্তপ্ত তাত্ত্বিক বিতর্কে এই অনুষ্ঠানটি শেষ হয় - বিশেষ করে দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় মূলপর্বে লোক সংস্কৃতি বনাম গ্রামচর্চা বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের মাননীয় সহকারী জেলাশাসক অমল রায়, দীপঙ্কর দে এবং বিশ্বেন্দু নন্দের উচ্চগ্রামের মতান্তরী বিতর্ক বহু মানুষকে এ বিষয়ে আগামী দিনে আরও গভীরে যেতে ভাবাবে।
উদ্যোক্তা, কলাবতী মুদ্রার পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহাশয়ের নেতৃত্বে প্রত্যেকজন কর্মী, রায়গঞ্জ শহর এবং দুই দিনাজপুরের নানান উতসাহী আলোচন শ্রোতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, সংঘের সদস্যদেরকে শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা জানানো গেল।
No comments:
Post a Comment