স্ক্রোলে আজ সঞ্জীব সান্যাল বাংলা-ওডিসার সঙ্গে সিংহলের ঐতিহাসিক সামুদ্রিক
যোগাযোগ বিষয়ে একটি মূল্যবান প্রবন্ধ লিখেছেন, তাঁর নতুন বই The Ocean Of
Churn: How The Indian Ocean Shaped Human History থেকে। লেখায় যে কিছুটা
অনৈতিহাসিকতা রয়েছে তা পাঠকের নিশ্চই চোখ এড়াবে না - বিশেষ করে
বৃহত্তর-বাংলার নাবিকদের সমুদ্র বাণিজ্য যাত্রা বিষয়ে।
সঞ্জীব মন্তব্য করেছেন - The Bengali-Odiya mariners were not capable of sailing directly across the Indian Ocean at this early stage. Instead, they would have hugged the shore and traded their way down the Andhra and Tamil coast. At some stage they seem to have sailed across to Sri Lanka and begun to settle there.
অথচ পরম পত্রিকায় আমরা শীলা ত্রিপাঠির লেখা অনুবাদ করে দেখিয়েছি, কিভাবে সোজাসুজি এবং একই সঙ্গে ভারতীয় উপকূল বেয়ে শ্রীলঙ্কা হয়ে ১০ ডিগ্রি চ্যানেল বেয়ে বাংলা(বৃহত বাংলার)র নাবিকেরা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্যে যেতেন। শ্রীলা ত্রিপাঠি বলছেন হিপ্পালাসের মৈসুমী বায়ূ 'আবিষ্কারের' বহু পূর্বেই বৃহৎ বাংলার নাবিকেরা বাণিজ্য যাত্রায় যেতেন মাঝসমুদ্র দিয়েই, - কেন যেতে পারতেন? তাদের নৌযাত্রার আগেই যথেষ্ট অঙ্কবিদ্যার বিকাশ ঘটে গিয়েছে শুদ্রদের অঙ্ক চর্চায়, মহাকাশবিদ্যায় - আকাশের মানচিত্র আর তার কাছে নতুন বিষয় নয় - ফলে ডাঙ্গা অবলম্বন আর নিরূপণ করে সমুদ্র যাত্রা করা ছাড়াও নাবিক কলন বিদ্যা আর মহাকাশবিদ্যা অবলম্বন করে মাঝ সমুদ্রে দিকনির্ণয় করতে পারছেন সহজেই। চন্দ্রকান্ত রাজু বলছেন প্রাথমিক স্তরে পাঠশালায় কলণবিদ্যা পড়ান হত ভারতে - রাজু বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই বিদ্যা মাত্র সাত দিনে শেখানোর পাঠ্যক্রম তৈরি করে দিয়েছেন, যাতে যাদের অংক পড়া নেই তারাও কলনবিদ্যা শিখতে পারে - যাইহোক - সেই কলনবিদ্যা প্রয়োগ করতেন বাস্তবে ভারতীয় সমুদ্রবিদ নাবিক, তাঁতি আর কৃষক।
আর সঞ্জীব বলছেন নাবিকেরা প্রাথমিকস্তরে উপকূল ধরে বাণিজ্যে যেতেন সমুদ্রে দিক নির্ণয় করতে পারতেন না বলে। কিন্তু ইতিহাস বলছে এক ধরণের নাবিক উপকূল ধরে বাণিজ্য করতে করতে বাংলার চাল, তেল, চিনি, গুড়, লাক্ষা, সুতো, নুন, ইত্যাদি নানান দ্রব্য নিয়ে সিঙ্ঘলে গিয়ে সেখান থেকে পূর্ব এশিয়ায় যেতেন (সমুদ্রে না যেতে পারার অপারগতার জন্য নয়)। অন্য দল বাংলা বা ওডিসার বন্দর থেকে যেতেন সরাসরি পূর্ব এশিয়ায়, যার জন্য বালি যাত্রা উতসব আজও কটকে পালিত হয়, পূর্ব ভারতের মেয়েরা আজও জৈষ্ঠ সংক্রান্তিতে কলার ভেলা তৈরি করে ভাসান নাবিকদের স্মৃতিতে মৌসুমী বায়ু নজরে রেখে। কে বলে বাংলার সাধারণ মানুষ বাংলার মেয়েরা ইতিহাসের চর্চা করে না! অবশ্যই ইওরোপিয়রা যেভাবে করে সেভাবে করে না।
আর শ্রীলংকীরা কি আগ্রহে আমাকে জানিয়ে ছিল তারা যে আদতে বাঙালি, সে চোখ খোলা গল্প অন্য এক দিনের জন্য তোলা থাক।
http://scroll.in/article/814562/are-the-sinhalese-people-descendants-of-bengali-and-odiya-sea-merchants
সঞ্জীব মন্তব্য করেছেন - The Bengali-Odiya mariners were not capable of sailing directly across the Indian Ocean at this early stage. Instead, they would have hugged the shore and traded their way down the Andhra and Tamil coast. At some stage they seem to have sailed across to Sri Lanka and begun to settle there.
অথচ পরম পত্রিকায় আমরা শীলা ত্রিপাঠির লেখা অনুবাদ করে দেখিয়েছি, কিভাবে সোজাসুজি এবং একই সঙ্গে ভারতীয় উপকূল বেয়ে শ্রীলঙ্কা হয়ে ১০ ডিগ্রি চ্যানেল বেয়ে বাংলা(বৃহত বাংলার)র নাবিকেরা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্যে যেতেন। শ্রীলা ত্রিপাঠি বলছেন হিপ্পালাসের মৈসুমী বায়ূ 'আবিষ্কারের' বহু পূর্বেই বৃহৎ বাংলার নাবিকেরা বাণিজ্য যাত্রায় যেতেন মাঝসমুদ্র দিয়েই, - কেন যেতে পারতেন? তাদের নৌযাত্রার আগেই যথেষ্ট অঙ্কবিদ্যার বিকাশ ঘটে গিয়েছে শুদ্রদের অঙ্ক চর্চায়, মহাকাশবিদ্যায় - আকাশের মানচিত্র আর তার কাছে নতুন বিষয় নয় - ফলে ডাঙ্গা অবলম্বন আর নিরূপণ করে সমুদ্র যাত্রা করা ছাড়াও নাবিক কলন বিদ্যা আর মহাকাশবিদ্যা অবলম্বন করে মাঝ সমুদ্রে দিকনির্ণয় করতে পারছেন সহজেই। চন্দ্রকান্ত রাজু বলছেন প্রাথমিক স্তরে পাঠশালায় কলণবিদ্যা পড়ান হত ভারতে - রাজু বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই বিদ্যা মাত্র সাত দিনে শেখানোর পাঠ্যক্রম তৈরি করে দিয়েছেন, যাতে যাদের অংক পড়া নেই তারাও কলনবিদ্যা শিখতে পারে - যাইহোক - সেই কলনবিদ্যা প্রয়োগ করতেন বাস্তবে ভারতীয় সমুদ্রবিদ নাবিক, তাঁতি আর কৃষক।
আর সঞ্জীব বলছেন নাবিকেরা প্রাথমিকস্তরে উপকূল ধরে বাণিজ্যে যেতেন সমুদ্রে দিক নির্ণয় করতে পারতেন না বলে। কিন্তু ইতিহাস বলছে এক ধরণের নাবিক উপকূল ধরে বাণিজ্য করতে করতে বাংলার চাল, তেল, চিনি, গুড়, লাক্ষা, সুতো, নুন, ইত্যাদি নানান দ্রব্য নিয়ে সিঙ্ঘলে গিয়ে সেখান থেকে পূর্ব এশিয়ায় যেতেন (সমুদ্রে না যেতে পারার অপারগতার জন্য নয়)। অন্য দল বাংলা বা ওডিসার বন্দর থেকে যেতেন সরাসরি পূর্ব এশিয়ায়, যার জন্য বালি যাত্রা উতসব আজও কটকে পালিত হয়, পূর্ব ভারতের মেয়েরা আজও জৈষ্ঠ সংক্রান্তিতে কলার ভেলা তৈরি করে ভাসান নাবিকদের স্মৃতিতে মৌসুমী বায়ু নজরে রেখে। কে বলে বাংলার সাধারণ মানুষ বাংলার মেয়েরা ইতিহাসের চর্চা করে না! অবশ্যই ইওরোপিয়রা যেভাবে করে সেভাবে করে না।
আর শ্রীলংকীরা কি আগ্রহে আমাকে জানিয়ে ছিল তারা যে আদতে বাঙালি, সে চোখ খোলা গল্প অন্য এক দিনের জন্য তোলা থাক।
http://scroll.in/article/814562/are-the-sinhalese-people-descendants-of-bengali-and-odiya-sea-merchants
No comments:
Post a Comment