পরম ভারতের প্রযুক্তি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরম্পরা বিষয়ের মাসিক পত্রিকা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে সত্যিই একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করা যায় নাকি!
আদতে এবাবদে পরম অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁর পুর্বসূরী লোকফোকএর অনুগৃহীত। কেননা লোকফোকের নানান সংখ্যায় ভারতের নানান বিষয় নতুন করে ফিরে দেখেছে। বিগত পাঁচ বছর ধরে এই ব্লগে নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ পেয়েছে যা অতীতে খুব বেশি আলোচিত হয় নি।
ব্লগের পাশাপাশি যখন একটি মাসিক পত্রিকার পরিকল্পনা করছিলাম পথবন্ধু জয়া মিত্রের সঙ্গে, তখন বুঝতে পারছিলাম না কি ধরণের পত্রিকা আমাদের মত সংগঠন করতে পারে। সে কি শুধু গ্রামীণ শিল্প বিষয়ে, নাকি সাধারণ ভারত বা বাংলার নানান সাংস্কৃতিক বিষয় না বিগত কয়েকশ বছর ধরে যে সব ঔপনিবেশিক তত্ত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়াশোনা জানা ভারতীয়দের ওপরে না এই সব কিছু নিয়ে।
পরে বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম বাংলা ভারতের প্রাচীণ প্রযুক্তি আর ইতিহাস বিষয়ে নিয়মিত প্রকাশ পায় এ ধরণের কোনও পত্রিকা নেই। প্রাথমিক ভাবে এই বিষয়গুলি নিয়ে পত্রিকা করার সিদ্ধান্ত হল। জোর পাবে প্রযুক্তি আর প্রায় অকথিত ইতিহাস। মূল লেখা কখনও প্রযুক্তি কখনও অকথিত ইতিহাস হবে। তাঁর সঙ্গে জুড়ে থাকবে ভারতীয় জ্ঞান চর্চার ইতিহাস। যদিও প্রযুক্তি বিষয়ে উঠে আসবে জ্ঞান চর্চার কথা, কিন্তু যে ভাবে পশ্চিমএর জ্ঞান চর্চা পুর্বের জ্ঞান চর্চাকে ক্রমশঃ সরিয়ে দিয়ে নিজের এককেন্দ্রিক প্রাধান্য আরোপনের চেষ্টা করছে তার ইতিহাস খুব একটা প্রকাশিত হয় নি। সেটাও উঠে আসবে।
তাঁর সঙ্গে জরুরি হল গ্রামীণদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার ইতিহাসও কোনও দিন প্রকাশিত হয় নি। তাকে তাত্বিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
এই সব বিষয় নানান সময় লোকফোকে প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সেগুলি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে নি, অন্ততঃ বাংলার বৌদ্ধিক জগতে, এবং আমরা যারা গ্রামীণ শিল্পীদের সংগঠনে জুড়ে আছি, তাদের কাছে পৌছবার কাজে।
ফলে ১৪১৯ থেকেই যে পরিকল্পনা হচ্ছিল, সেই পরিকল্পনা রূপায়িত হল ১৮২০এর পৌষ-মাঘ মাসে লোহা ইস্পাত শিল্প সংখ্যায়।
নাম নিয়ে অনেক দিন পরিকল্পনা করেছি - শেষ পর্যন্ত পরম নামটি বাছা হল - পরম মানে পরম্পরার খণ্ডিত রূপ আর পরম হল ভারতীয় গণিতে অসীমের সমার্থক - পরমব্রহ্ম, পরমার্থ ইত্যাদি।
আদতে এবাবদে পরম অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁর পুর্বসূরী লোকফোকএর অনুগৃহীত। কেননা লোকফোকের নানান সংখ্যায় ভারতের নানান বিষয় নতুন করে ফিরে দেখেছে। বিগত পাঁচ বছর ধরে এই ব্লগে নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ পেয়েছে যা অতীতে খুব বেশি আলোচিত হয় নি।
ব্লগের পাশাপাশি যখন একটি মাসিক পত্রিকার পরিকল্পনা করছিলাম পথবন্ধু জয়া মিত্রের সঙ্গে, তখন বুঝতে পারছিলাম না কি ধরণের পত্রিকা আমাদের মত সংগঠন করতে পারে। সে কি শুধু গ্রামীণ শিল্প বিষয়ে, নাকি সাধারণ ভারত বা বাংলার নানান সাংস্কৃতিক বিষয় না বিগত কয়েকশ বছর ধরে যে সব ঔপনিবেশিক তত্ত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়াশোনা জানা ভারতীয়দের ওপরে না এই সব কিছু নিয়ে।
পরে বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম বাংলা ভারতের প্রাচীণ প্রযুক্তি আর ইতিহাস বিষয়ে নিয়মিত প্রকাশ পায় এ ধরণের কোনও পত্রিকা নেই। প্রাথমিক ভাবে এই বিষয়গুলি নিয়ে পত্রিকা করার সিদ্ধান্ত হল। জোর পাবে প্রযুক্তি আর প্রায় অকথিত ইতিহাস। মূল লেখা কখনও প্রযুক্তি কখনও অকথিত ইতিহাস হবে। তাঁর সঙ্গে জুড়ে থাকবে ভারতীয় জ্ঞান চর্চার ইতিহাস। যদিও প্রযুক্তি বিষয়ে উঠে আসবে জ্ঞান চর্চার কথা, কিন্তু যে ভাবে পশ্চিমএর জ্ঞান চর্চা পুর্বের জ্ঞান চর্চাকে ক্রমশঃ সরিয়ে দিয়ে নিজের এককেন্দ্রিক প্রাধান্য আরোপনের চেষ্টা করছে তার ইতিহাস খুব একটা প্রকাশিত হয় নি। সেটাও উঠে আসবে।
তাঁর সঙ্গে জরুরি হল গ্রামীণদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার ইতিহাসও কোনও দিন প্রকাশিত হয় নি। তাকে তাত্বিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
এই সব বিষয় নানান সময় লোকফোকে প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সেগুলি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে নি, অন্ততঃ বাংলার বৌদ্ধিক জগতে, এবং আমরা যারা গ্রামীণ শিল্পীদের সংগঠনে জুড়ে আছি, তাদের কাছে পৌছবার কাজে।
ফলে ১৪১৯ থেকেই যে পরিকল্পনা হচ্ছিল, সেই পরিকল্পনা রূপায়িত হল ১৮২০এর পৌষ-মাঘ মাসে লোহা ইস্পাত শিল্প সংখ্যায়।
নাম নিয়ে অনেক দিন পরিকল্পনা করেছি - শেষ পর্যন্ত পরম নামটি বাছা হল - পরম মানে পরম্পরার খণ্ডিত রূপ আর পরম হল ভারতীয় গণিতে অসীমের সমার্থক - পরমব্রহ্ম, পরমার্থ ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment