প্রখ্যাত এই মানুষদের লেখা পড়ে কান ঝাঁঝাঁ করে ওঠে... কি পরিমান অশ্রদ্ধা লুকিয়ে রয়েছে নিম্নবর্গের প্রতি - যে শব্দটাতেই আমাদের আপত্তি।
একইভাবে সমপরিমান বা তার থেকেও বেশি পরিমান শ্রদ্ধা ছড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমের জীবনযাত্রা, দর্শন, জ্ঞানচর্চার প্রতি।
গত বছর এই ইংরেজি তারিখে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল সমাজবিজ্ঞানী, সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এ সাম্মানিক অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। সেই মণিমুক্তোর কিছু অংশ...
...'ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পুঁজি সম্বল করে, পরিবারের সকলকে নিয়ে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে, পুলিশের ঘুষ আর ঝান্ডাধারীদের তোলা চুকিয়ে দারিদ্র সীমার আশেপাশে কোনও ক্রমে বেঁচে আছে অধিকাংশ মানুষ। হকারি, চায়ের দোকান, রিকশা বা অটো চালানো, শহরের মধ্যবিত্ত বাড়ির ঠিকে কাজ, সেখান থেকে শুরু করে নানা বিচিত্র জীবিকা খুঁজে বের করে তথাকথিত অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিক-মালিকরা জীবনধারণ করছে,' - পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নিম্নবর্গের কাজের ওপর কি সুগভীর শ্রদ্ধা! ভাবা যায় না।
...'ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পুঁজি সম্বল করে, পরিবারের সকলকে নিয়ে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে, পুলিশের ঘুষ আর ঝান্ডাধারীদের তোলা চুকিয়ে দারিদ্র সীমার আশেপাশে কোনও ক্রমে বেঁচে আছে অধিকাংশ মানুষ। হকারি, চায়ের দোকান, রিকশা বা অটো চালানো, শহরের মধ্যবিত্ত বাড়ির ঠিকে কাজ, সেখান থেকে শুরু করে নানা বিচিত্র জীবিকা খুঁজে বের করে তথাকথিত অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিক-মালিকরা জীবনধারণ করছে,' - পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নিম্নবর্গের কাজের ওপর কি সুগভীর শ্রদ্ধা! ভাবা যায় না।
লেখাটি প্রেক্ষিতে আমাদের সময়ক্রমে অসাধারণ মন্তব্য করেছিলেন শমীক সরকার, সেটাও তুলে দেওয়া গেল...
১) 'ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পুঁজি' -- এই কথাটা সেই বলতে পারে, যে বৃহৎ পুঁজিকে বৃহৎ মনে করে না। সেটাকেই স্বাভাবিক মনে করে। সেটাতে সে বিশেষণ লাগায় না।
২) 'পরিবারের সকলকে নিয়ে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে' -- এই কথাটা সেই বলতে পারে, যে পরিবারের সকলের খাটাটাকে স্বাভাবিক মনে করে না, তাতে অভ্যস্ত নয়, না ব্যবহারিক জীবনে, না তত্ত্বজীবনে। খাটুনি-র আগে 'হাড়ভাঙা' বিশেষণ সেই লাগাতে পারে, যে খাটুনি বলতে বোঝে গতরটাকে সামান্য নাড়ানো।
... এরকম ছত্রে ছত্রে প্রমাণ এই কথাটি যিনি বলছেন, তিনি একজন উচ্চবর্গের লোক, ব্যবহারিক এবং দর্শন -- এই দুদিক থেকেই। নিম্নবর্গ তার বিষয়।
তিনি তাকে উচ্চবর্গের দৃষ্টিতে দেখেন, এবং তার উচ্চবর্গের দৃষ্টিটি প্রচ্ছন্ন। তার কোনো স্বীকার নেই। ... 'নিম্নবর্গের ইতিহাসবিদ' ও 'নিম্নবর্গের তাত্ত্বিক'দের তাত্ত্বিক ভণ্ডামির তুলনা নেই।
১) 'ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পুঁজি' -- এই কথাটা সেই বলতে পারে, যে বৃহৎ পুঁজিকে বৃহৎ মনে করে না। সেটাকেই স্বাভাবিক মনে করে। সেটাতে সে বিশেষণ লাগায় না।
২) 'পরিবারের সকলকে নিয়ে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে' -- এই কথাটা সেই বলতে পারে, যে পরিবারের সকলের খাটাটাকে স্বাভাবিক মনে করে না, তাতে অভ্যস্ত নয়, না ব্যবহারিক জীবনে, না তত্ত্বজীবনে। খাটুনি-র আগে 'হাড়ভাঙা' বিশেষণ সেই লাগাতে পারে, যে খাটুনি বলতে বোঝে গতরটাকে সামান্য নাড়ানো।
... এরকম ছত্রে ছত্রে প্রমাণ এই কথাটি যিনি বলছেন, তিনি একজন উচ্চবর্গের লোক, ব্যবহারিক এবং দর্শন -- এই দুদিক থেকেই। নিম্নবর্গ তার বিষয়।
তিনি তাকে উচ্চবর্গের দৃষ্টিতে দেখেন, এবং তার উচ্চবর্গের দৃষ্টিটি প্রচ্ছন্ন। তার কোনো স্বীকার নেই। ... 'নিম্নবর্গের ইতিহাসবিদ' ও 'নিম্নবর্গের তাত্ত্বিক'দের তাত্ত্বিক ভণ্ডামির তুলনা নেই।
No comments:
Post a Comment