Wednesday, November 22, 2017

কারা রাজপুত - ভূমিজ না রাজবংশী

গঞগোলটা হয়েছে "গোর্খা থেকে রাজবংশী সবারই পূর্ব পুরুষ কিন্তু রাজপুতনা অঞ্চলের মানুষ" স্তবকে - এখানে রাজবংশী শব্দের পরে'দাবি' শব্দটা জুড়লে ভাল হত, নাহলে মনে হচ্ছে দীপঙ্করদা তাদের রাজপুত হবার দাবি সমর্থন করছেন।
উত্তরের রাজবংশী বা দক্ষিণ পশ্চিমের ভূমিজ কেউই আদতে রাজবংশী নন - তাদের দাবি তারা রাজপুত - তার বেশি কিছুই নয় - দিনাজপুরের মানুষেরা যতনা নিজেদের রাজপুত বলেন তার থেকে বেশি বলেন জলপাইগুড়ির রাজবংশীরা। 
কয়েক দিন আগে এটা নিয়ে দীপঙ্করদার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ভূমিজরা টডের আর অবনীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, হিন্দুত্বের আন্দোলন, হিন্দুমেলা, দেশিয় আচার বলতে সরলা দেবী চৌধুরানীর তরোয়াল নিয়ে বা জহরব্রত নিয়ে নানান রাজপুত আচার নকল এবং মুঘলদের রাজপুত রাজাদের বশীভুত করতে নকল শৌর্য বাড়িয়ে তোলার যে গল্প তিন চারশ বছর ধরে চলছিল, সেই নকল ইতিহাসে উত্তেজিত ও বশীভূত হয়ে এরা নিজেদের রাজপুত ঘোষণা করে। প্রাথমিকভাবে চিলকিগড়, ধভূমগড়, মল্ল এরকম হাজারো পশ্চিমাঞ্চলের শূদ্র রাজা এবং মাহাত ইত্যাদি অভিজাতদের মধ্যে আদিবাসী থেকে ক্ষত্রিয় হওয়ার ঝোঁক আসে। পশুপতিদার বাবা, নারাণ মাহাতর ঠাকুদ্দা এরা সক্কলে গ্রিয়ার্সনের তত্ত্ব না মেনে পৈতে পরার দাবি নিয়ে ক্ষত্রিয় আন্দোলন করে - এবং তারা এসটি কোতা থেকে বেরিয়ে আসে। সেই প্রভাবটা গিয়ে পড়ে রাজবংশী পঞ্চানন বর্মাদের ক্ষত্রিয় আন্দলনে। তাদের সমর্থন করে কোচ রাজারা। 
স্পষ্ট করে বলা দরকার দিনাজপুর রাজবংশীদের মধ্যে পলিয়া পাইকেরা মুঘল রাজবংশের বিরুদ্ধে স্থানীয় রাজাদের সমর্থনে লড়াই করেছিল এটা নিম্নবর্গের ইতিহাসকার গৌতম ভদ্র দেখিয়েছেন।

No comments: