Saturday, November 25, 2017

বাংলার জাহাজ শিল্প ধ্বংসঃ ঔপনিবেশিক বৈষম্যের নিকষ খতিয়ান৬ - ইন্দ্রজিত রায়

বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড দ্য ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন(১৭৬৭-১৮৫৭) থেকে

এইভাবে আমরা বাৎসরিক শ্রমিকের সংখ্যা বার করতে পারি।
মোটামুটি ১৭৯০-১৮৪৪ পর্যন্ত বাৎসরিক গড় পুরোসময়ের কারিগরের সংখ্যা ২৫৭৬ জন। ১৮০০-১৯ এই তিন দফায় সব থেকে বেশি কারিগর কাজ করেছে, ৪৫০০, ৫৪০০, ৫৬০০ জন। ১৮০১ এবং ১৮১৬য় এটা ১০০০০এর আশপাশ ছুঁয়েছিল। প্রত্যক্ষ্য কাজ ছাড়া পরোক্ষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ভালই কারণ কাঠ, লোহা, তামা, দস্তা এবং কাঁসা, হাল, দড়ি, পাল ইত্যাদির কাজও হয়েছে। এই একটা কারখানা স্থানীয়ভাবে অন্যান্য অনুসারী কারখানা গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
তালিকা ৬.৮ গ্যাব্রিয়েল তৈরির বিশদ খরচ, ১৭৯৩-৯৪(টাকায়)
মাইনে
দেশি                 ২২২১৯
ইওরোপিয়                             ৩২০০
সরকার                              ৬৪০
মোট                                ২৬০৫৯
কাঠ
কিল আর ডুগগি                        ১৬৪০
৭৮৮ সিনবিন এবং বাঁকানো কাঠ            ১৩৯৫০
মালাবার কাঠের তক্তা                     ৪৮২            
মোট                                ১৬০৭২
শিশু কাঠ
৭৭০ রকম ফ্রেম, বিম। স্টেম, স্টেম ফ্রেম,
হুক, ক্লাচ                             ১০৭৩৮
শাল কাঠ
১৩৯ ফ্লোর ব্যান্ড, ক্লাম্প, লিম্বার স্ট্রেক বিম     ২৭৮০
৯৬টা তক্তা                           ৯৬০
মোট                                ৩৭৪০
নি(Knees)
২৬৩ সাল আর শিশু                     ২৩৬৭
২০০০ টিক সিথিং বোর্ডস                  ১৬০০
লোহার কাজ, ৮০৩ মণ                   ১১৪৯৯
সিদিং কপার, নেল, ২১০ মন ২৫ সের         ৮৮৭২
কাঁসার কাজ                           ২৫০০
দস্তার কাজ                            ১০৮২
মোট                                ২৭৯২০
অন্যান্য
ডামার, ওয়েল, অকুম, কয়লা, দড়ি, চুন ইত্যাদি   ৩১৩৮
মাস্ট, ইয়ার্ড, ক্যাপ, টপ ইত্যাদি             ৬১৩০
কারভার, পাম্প-মেকার, পেন্টার             ১৩১০
রিগিং, সেল, এঙ্কর, কেবল                 ১৭৬৫৮
নৌকো                               ১০০০
শোর, ব্লক                            ৫০০
লাঞ্চ পাপেট, বিলওয়েজ                    ১০০০
লক, হিঞ্জ, বোল্ট                        ২০০০
মোট                                ৩২৭৩৬
ভুল সারাতে                           -১৭২৭
সর্ব মোট                             ১১৫৫৩৮
কয়েকটা তথ্য মাথায় রাখা দরকার, প্রথমতঃ ১৮০০ সালে শিল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা দেয়। ৪৪৭৪ টনের মোট ব০হন ক্ষমতাওওয়ালা জাহাজ ব্রিটেনে বিক্রি হয়। এবং ১টা করে পর্তুগাল আরব এবং আমেরিকিয় মালিক কেনেন, যেগুলোর মোট সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা ১২২৭ টন। ১৭৮১-১৮৩১এর মধ্যে মোট উৎপাদন ক্ষমতার একচতুর্থাংশ বিদেশে বিক্রির জন্য তৈরি হয়। ল্যাম্বার্ট এই প্রসঙ্গে লিখছেন, this noble and useful art has been ever since [1781] pursued with so much vigour, that Bengal, instead of depending on other countries, as formerly, for the means of conveying her produce to foreign ports, now supplied not only shipping for her own commerce, but for sale to foreigners; and ship building has become a very considerable branch of home manufacture.
দ্বিতীয়ত শিল্পে সেই সময়ের সেরা প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছিল। স্টিম ইঞ্জিন ডায়না তৈরি করাতে ব্যবহার হয়েছিল ১৮২৩ সালে ৭০০০০ টাকায় তৈরি হয়। তিন বছর পরে কিড এন্ড কোং ইরাবতী আর গ্যাঞ্জেস নামে দুটি সমুদ্রে যাওয়া মোট ১৬১৬টনের জাহাজ তৈরি হয়। এর থেকে প্রমান হয়, trading community of Calcutta, there has been no backwardness to adopt improvements and to promote useful experiments

তৃতীয়ত অতীতে বাংলা জাহাজ তৈরিতে অভিজ্জতা থাকলেও স্থানীয় উদ্যমীরা এই শিল্প থেকে দূরেই থেকেছেন। ১৭৯৮ সালে আর্ল অব মন্টিংটনকে দেওয়া বাংলায় নৌশিল্প প্রসারে যে আবেদনপত্র দেওয়া হয় তাতে পাঁচজন ভারতীয়্র স্বাক্ষর ছিল। যে সময় নিয়ে আমরা লাওচনা করছি সেখানে একজনও ভারতীয় উদ্যমী নেই। একমাত্র একজন পার্সি রুস্তমজী কাওয়াসজীর নাম ছে একটা ডকিং কোম্পানি, ক্যালকাটা ডকিং কোম্পানির সম্পাদক হিসেবে, এরা তাঁর নামে একটা ৭৬৪ টনের জাহাজ বানিয়েছিল। দ্বারকানাথ, রামদুলাল দে, মতিলাল শীল এবং রাধামাধব ব্যানার্জী জাহাজ নির্ভর ব্যবসায় থাকতেন ঠিকই, কিন্তু কেউই নৌশিল্প উদ্যমী হন নি। 

No comments: