Saturday, November 25, 2017

পানিদার রানী রাসমনি

Biswendu Nanda Dipankar Shibu এবং অন্যান্য 3 জন এর সঙ্গে আছেন।
রাণী রাসমণিরা গঙ্গার পাণিদার ছিলেন, যেমন ছিলেন ভাগলপুরের ঘোষেরা। উত্তর কলকাতার জমিদারেরা জানবাজারের জমিদারিকে স্বীকার করে নি।

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি
Biswendu Nanda সূত্র Joyaদি। 
জমিদারেরা বলেন মাড়েদের বাড়ি - চৌধুরী বা জমিদার বাড়ি নয়। জমিদারেরা এদের আজও জমিদার বলে স্বীকার অথচ দ্বারকানাথ মাড়েদের থেকে ২ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। ধার শোধ না করতে পারায় তিনি একটি তালুক তাঁদের নামে লিখে দেন।
প্রীতরাম মাড়, যিনি বাঁশের ব্
যবসা করে অর্থ সঞ্চয় করেন। জাতিতে মাহিষ্য ছিলেন - বংশগত উপাধি ছিল দাস। বাঁশের ব্যবসার রমরমার জন্য মাড়(নদীতে ভাসানো বাঁশের ঝাড়কে বলত মাড়) উপাধি তিনি ব্যবহার করতেন। 
সেই সময় গঙ্গা থেকে যে খাঁড়ি বেরিয়ে মারহাট্টা ডিচ হয়ে বিদ্যাধরীতে পড়ত, সেই ক্রিক ধরে জেলেদের বাস, আজকের রমানাথ কবিরাজ লেন। তারা কিন্তু দাসপুর থেকে চলে আসা। তার পাশেই মলঙ্গা লেন, আর চুনাপুকুর লেন - সব জল সংলগ্ন কাজ। এই জেলেরা গঙ্গায় কিন্তু মাছ ধরতেন না, তারা খাঁড়ি হয়ে বিদ্যাধরীতে পড়ে সুন্দরবনে চলে যেতেন মাছ ধরতে। মাছ নিয়ে তারা ফিরে আসতেন হয় ক্রিক ধরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে - এখানে ছিল একটি বিশাল বিল, দেশি নৌকর আড্ডা। আর একটা জলপথ চলে যেত পিকনিক গার্ডেন হয়ে আজকের বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে। যেখানে ধাবা নামক একটা রেস্তোঁরা আছে সেখানে ছিল একটি চায়ের দোকান, হয়ত ১০০ বছর আগে বালিগঞ্জ তৈরি হওয়ার আগেও ছিল। সেটা ছিল বিসাল বড় মাছের আড়ত। প্রচুর কবিগানে কৈবর্ত অক্রুর দত্তের উল্লেখ পেয়েছি, যিনি পয়সা দিয়ে কায়স্থ শিরোমণি হয়েছিলেন, উপনিবেশে জাতে উঠতে। যেমন উঠেছিলেন তিলিরা, হেস্টিংসের বেনিয়ান কান্তবাবু। পুঁজি যে আসলে জাত নিরপেক্ষ নয়, রাসমণি বা অক্রুর দত্তদের জাতে ওঠার চেষ্টা তার বড় প্রমান
জয়াদিকে অনুরোধ করেছিলাম জানবাজারের মান্নাদের খোঁজ নিতে। তাতেই বেরোল এই তথ্য। 
জমিদারি উচ্ছেদ হওয়ার শর্ত থেকে পানিদারিটা বাদ পড়ে যায়। শারদীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় সুপ্রিয় চৌধুরির ভাগলপুরের পাণিদারদের নিয়ে লিখেছিলেন ‘জলভৈরব’ উপন্যাস।


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর
6
গতকাল 02:16 PM-এসম্পাদনা করা হয়েছে
পরিচালনা করুন
মানস দাশ "মারহাট্টা ডিচ"
সম্পর্কে একটু বিশদে না লিখলে, আজকের পাঠক কুল চিনবে কেমন করে!
মলঙ্গা লেন, ক্রিক রো, এরা তো আজও বর্তমান।


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর
1
গতকাল 06:28 PM-এ
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda ১৭৪২ সালে বর্গিদের সম্ভাব্য আক্রমণের হাত থেকে কলকাতাকে রক্ষা করার জন্য তিন মাইল দীর্ঘ পরিখা কাটা হয় - সেটাই মারহাট্টা ডিচ বা মারাঠা খাত। বর্গিরা শেষ পর্যন্ত কলকাতা আক্রমণ করেনি। ১৭৫৬ সালে সিরাজ কলকাতা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৬ জুন ৩০,০০০ সৈন্য ও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কলকাতায় উপস্থিত হয়ে ১৮ জুন শিয়ালদহে খাত পার হয় এবং লালদিঘিতে যুদ্ধ হয়(এখনও ব্যারাকপুরে ওল্ড ক্যালকাটা রোড আছে, মনে করা হয় এই রাস্তা দিয়ে সিরাজ কলকাতায় এসেছিলেন)।
খাতটির নির্মাণ কখনই পুরো কাটা হয়নি। ১৭৯৯ সালে সার্কুলার রোড নির্মাণের সময় অধিকাংশ বুজিয়ে দেওয়া হয়; অবশিষ্টাংশ বোজানো হয় ১৮৯২-৯৩ সালে। এক সময় কলকাতাবাসীদের "ডিচার্স" ("Ditchers") বলা হত। এটাই কলকাতার মূল নগরাঞ্চল ছিল।
পলাশীর চক্রান্তের পর চল্লিশ বছর মারাঠা খাতে জমা হতে থাকে শহর কলকাতার যাবতীয় জঞ্জাল ও বর্জ্য পদার্থ। শেষে ওয়েলেসলি এটিকে বুজিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ১৭৯৯ সালে সার্কুলার রোড তৈরির সময় মারাঠা খাত বুজিয়ে দেওয়া হয়। অবশিষ্টাংশ ১৮৯২-৯৩ সালে হ্যারিসন রোড (বর্তমানে মহাত্মা গান্ধী রোড) নির্মাণকালে প্রাপ্ত মাটি ও জঞ্জাল দ্বারা পূর্ণ করে দেওয়া হয়।
তবে এর স্মৃতি আজও কলকাতায় আছে। বাগবাজার অঞ্চলে একটা রাস্তার নাম এখনও মারাঠা ডিচ লেন। বাগবাজার স্ট্রিট ও মহাত্মা শিশির কুমার সরণির (গালিফ স্ট্রিট) সমান্তরালে প্রসারিত এই রাস্তাটি নন্দলাল বসু লেন ও পশুপতি বোস লেনকে জুড়েছে।


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর
4
গতকাল 06:57 PM-এ
পরিচালনা করুন
Samikshan Sengupta পানিদার মানে কি Biswendu বাবু? মাফ করবেন, আমি জানি না। 

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর9 ঘণ্টা
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda পাণিদার হল জল, মূলত গঙ্গা বা যে কোন নদীর একটি অংশের ওপর লিজ। নদীমাতৃক দেশে পাণিদারি এক সময় খব বড় পেশা মনে করা হত - অনেকতা জমিদারির মত।
বঙ্গভাগের পর নিয়ম করে যখন জমিদারি উঠেগেল, তখনও কিন্তু পাণিদারি প্রথা/পেশা নিওষিদ্ধ হয় নি।


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর5 ঘণ্টা
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda এবারে রাসমণির পাণিদারির গল্প
গঙ্গায় ধীবরদের ওপর কর বসাল কোম্পানি। তারা এসে কেঁদে পড়ল ধীবর রাণীর কাছে। তো রাসমণি ছিলেন নিজে পাণিদার। গঙ্গার ইজারা নিলেন । ঘুসুড়ি থেকে মেটেবুরুজ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা দিয়ে । ঘুসুড়ি থেকে মেটেবুরুজ পর্যন্ত গঙ্গা শিকল দিয়ে বেঁধে দিলেন। কোম্পানির জাহাজের গতায়াত বন্ধ হয়ে গেল।
কোম্পানি প্রমাদ গুণল। তারপর সমঝোতা হল।জেলেরা মাছ ধরার সুযোগ পেল।


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর
4
গতকাল 02:20 PM-এ
পরিচালনা করুন
মানস দাশ জেইসান ভইস, এইসন ছড়ি, 😂

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর
1
গতকাল 06:30 PM-এ
পরিচালনা করুন
Samikshan Sengupta "সেই সময়"তে পড়েছিলাম।

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর9 ঘণ্টা

No comments: