র সমর্থন জানিয়ে এসেছি। এই দুজনেরই স্নেহ আমায় আজও অশ্রুসিক্ত করে।
এই বইএর লেখকের অপার স্নেহ পেয়েছি আমার পিতার কৃতিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উল্টোদিকে তাঁর বাড়ি ছিল। আজকের মত এতটা কড়াকড়ি তখন ছিল না। তাঁর বাড়িতে বুড়োদের সঙ্গে গিয়ে নানান বৈঠকী আড্ডায় এমন সব গপ্প শুনেছি - ছাত্রা বস্থায় মিছিলে বোমা চার্জ করা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের বেয়াদপি, সে সব আজ উহ্যই থাক।
কয়েকটা বিষয়ে পথ পার্থক্য ছিল, উনি মুক্ত অর্থনীতির মানুষ- গরবাচভ পন্থী, আমরা ফিদেলের। নানান প্রতিবাদ স্মিত হেসে সহ্য করতেন। আমি অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম তিনি বাবার থেকে শুনেছিলেন, বেশ ালোচনা হত। আরও ঘনিষ্ঠতা হল সপ্তাহে। মাঝে মধ্যে লেখা আনতে যেতাম। ২৭৪১৪১এ ফোন করে জলদগম্ভীর স্বরে অনিল ভঞ্জকে বলতেন ইন্দুর ছেলেকে পাঠিয়ে দিও। শেষের দিকে মুখে বলতেন, আমি লিখতাম।
ওনার বাড়ির সব থেকে অসহ্য ছিল অগুণতি বেড়াল। সহ্য করতে পারতাম না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা খাওয়ার পাত্র।তাঁর আর আরতি জেঠিমার অপার স্নেহ পেত। সিঁটিয়ে থাকতাম। তখন ওভারল্যান্ড পত্রিকা বন্ধ হয়েছে, বাবার মাধ্যমে খবর পাঠালেন আমি তাঁর গাড়িরাখার ঘরটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, যদি চাই। তাঁর উদারতা আমায় পেড়েফেলেছিল।
এই বইটার সব কিছুতে আমি সেদিনও একমত ছিলেম না, আজও নই। কিন্তু তাঁর লেখার প্রসাদগুণ আজও টানে। আমি গর্বিত যে সে সময় গর্বাচভপন্থী সপ্তাহ, তাঁর বা সতীন চক্রবর্তীর লেখার সংগে আমাদের দুএকটা প্রতিবাদী লেখাও ছেপেছে।
তিনি সন্তোষ ভট্টাচার্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, যিনি অসভ্য বামেদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেত্র দখলের চক্রান্ত একাহাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আমার অন্যতম শিক্ষাগুরু, যিনি আমায় শিখিয়ে গিয়েছেন যতদূর সম্ভব নিজের নীতির প্রতি সমঝোতা না করে, অন্যায় অসভ্য প্রতিবাদেও মাথা যতটা পারা যায় না নামিয়ে জীবন কিভাবে কাটানো যায়।
বইটা পড়তে পড়তে আরো অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে। আজ এই অবদি থাক।
গুরুকে প্রণাম অযোগ্য শিষ্যের।
এই বইএর লেখকের অপার স্নেহ পেয়েছি আমার পিতার কৃতিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উল্টোদিকে তাঁর বাড়ি ছিল। আজকের মত এতটা কড়াকড়ি তখন ছিল না। তাঁর বাড়িতে বুড়োদের সঙ্গে গিয়ে নানান বৈঠকী আড্ডায় এমন সব গপ্প শুনেছি - ছাত্রা বস্থায় মিছিলে বোমা চার্জ করা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের বেয়াদপি, সে সব আজ উহ্যই থাক।
কয়েকটা বিষয়ে পথ পার্থক্য ছিল, উনি মুক্ত অর্থনীতির মানুষ- গরবাচভ পন্থী, আমরা ফিদেলের। নানান প্রতিবাদ স্মিত হেসে সহ্য করতেন। আমি অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম তিনি বাবার থেকে শুনেছিলেন, বেশ ালোচনা হত। আরও ঘনিষ্ঠতা হল সপ্তাহে। মাঝে মধ্যে লেখা আনতে যেতাম। ২৭৪১৪১এ ফোন করে জলদগম্ভীর স্বরে অনিল ভঞ্জকে বলতেন ইন্দুর ছেলেকে পাঠিয়ে দিও। শেষের দিকে মুখে বলতেন, আমি লিখতাম।
ওনার বাড়ির সব থেকে অসহ্য ছিল অগুণতি বেড়াল। সহ্য করতে পারতাম না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা খাওয়ার পাত্র।তাঁর আর আরতি জেঠিমার অপার স্নেহ পেত। সিঁটিয়ে থাকতাম। তখন ওভারল্যান্ড পত্রিকা বন্ধ হয়েছে, বাবার মাধ্যমে খবর পাঠালেন আমি তাঁর গাড়িরাখার ঘরটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, যদি চাই। তাঁর উদারতা আমায় পেড়েফেলেছিল।
এই বইটার সব কিছুতে আমি সেদিনও একমত ছিলেম না, আজও নই। কিন্তু তাঁর লেখার প্রসাদগুণ আজও টানে। আমি গর্বিত যে সে সময় গর্বাচভপন্থী সপ্তাহ, তাঁর বা সতীন চক্রবর্তীর লেখার সংগে আমাদের দুএকটা প্রতিবাদী লেখাও ছেপেছে।
তিনি সন্তোষ ভট্টাচার্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, যিনি অসভ্য বামেদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেত্র দখলের চক্রান্ত একাহাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আমার অন্যতম শিক্ষাগুরু, যিনি আমায় শিখিয়ে গিয়েছেন যতদূর সম্ভব নিজের নীতির প্রতি সমঝোতা না করে, অন্যায় অসভ্য প্রতিবাদেও মাথা যতটা পারা যায় না নামিয়ে জীবন কিভাবে কাটানো যায়।
বইটা পড়তে পড়তে আরো অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে। আজ এই অবদি থাক।
গুরুকে প্রণাম অযোগ্য শিষ্যের।
No comments:
Post a Comment