Friday, November 9, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৪৮

ধারের সমস্যা
একটা তথ্যটা পরিষ্কার, বাংলায় আমরা যে সময়ের কথা আলোচনা করছি, সেই সময়ে পুঁজির বাজার, ইওরোপিয় কোম্পানিগুলির নগদ পুঁজির অভাবের সমস্যা অনেকটাই মেটাতে পেরেছিল। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, কোম্পানিগুলোর ধার নেওয়ার সামনে কোন সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা ছিল না। স্থানীয় বাজার থেকে ধার করার কি কি সমস্যার মুখোমুখি তাদের পড়তে হত, সেগুলি আমরা এবারে কিছুটা বিশদে আলোচনা করব।
ছোট সময়ের ধার
আমরা যে সময়ের কথা আলোচনা করছি, সে সময়জুড়ে বাংলায় যে ধার পাওয়া যেত, সাধারণভাবে সেগুলির মূলগত চরিত্র ছিল কম সময়ের ধার। দীর্ঘ সময়ের ধারের কোন পরম্পরা বাংলায় গড়ে ওঠে নি। ফলে যখনই কলকাতার বন্দরে ইওরোপ থেকে জাহাজ টাকা পয়সা সম্পদ নিয়ে এসে দাঁড়াত, ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলার স্রফ, সওদাগর এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কিং গদি বিশেষ করে জগতশেঠের গদি থেকে নিরন্তর ধার শোধ করার তাগাদা শুরু হয়ে যেত। কোম্পানিগুলোর পক্ষে এক লহমায় এতগুলো উত্তমর্ণকে ধার শোধ করা অসম্ভব ছিল। ঠিক সময়ে যদি কোম্পানিগুলি তাদের ধার শোধ না করে, তাহলে তাদের ব্যবসা বন্ধ করিয়ে দেওয়ার হুমকি মাঝেমধ্যে জগতশেঠের গদি থেকে দেওয়া হত। ১৭৪৮এর নভেম্বরে ঢাকার ব্রিটিশ কুঠি লিখছে শেঠ মহতাব রাইএর গোমস্তা absolutely insisted on the payment of the sum due to his master threatening in rough terms that in case of non-payment he, would immediately put a stop to our Business (Fact. Records, Dacca, vol. 3, 9 Nov. 1749; BPC, vol. 22, f. 420, 15 Nov. 1749) ১৭৪৯এর কাশিমবাজারে আর্মেনীয় জাহাজের যে ঝামেলা হয়েছিল, খুব কষ্ট করেই সেটিকে মেটাতে গিয়ে শেঠেদের থেকে তাদের ১২০০০০ টাকা ধার করে নবাবের দরবারে দিতে হয়েছিল(তিন ও পাঁচ অধ্যায় দ্রষ্টব্য)কাশিমবাজার কাউন্সিল কলকাতাকে লিখছে, শেঠের গোমস্তা রুইদাস complained heavily of our not having paid them anything this season of the large debt the Company owed them at that factory notwithstanding so much treasure had been imported by several ,ships lately arrived (BPC, vol. 22; ff. 338-338vo, 20' Oct. 1749) শেঠেরা বহুসময় নাছোড়বান্দা মনোভাবে তাদের পুঁজি উদ্ধারে লেগে থাকত, এবং ঘাটে ইওরোপিয় জাহাজ লাগার পরেই যেন তারা তাদের ধার শুধে দ্যায় সেই দাবি জানাত যা কোম্পানিগুলোর পক্ষে খুব দিগদারির কাজ হত।

২৫ আগস্ট ১৭৫০ সালে কাশিমবাজারের চিঠিতে এই বিষয়টা বিশদে উল্লিখিত হয়েছে, ... the Seats on the an:ival of the treasure seI1t to, demand it and gave them to understand and. i:hey expected the whole of their debt at that factory should. be paid off out of the money which might arrive by this year's shipping and instead of being able to raise·a further credit with them it was with the utmost difficulty they could obtain their consent to apply any part of what was lately serit them to the use of the investment ....(১০৮)।

No comments: