Friday, November 9, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৫১

কলকাতা কাউন্সিলের ধারনা ছিল ইওরোপ থেকে সম্পদবাহী জাহাজ বন্দরে ঢুকলেই ঢাকা কুঠির সম্পদ সমস্যার একটা সমাধান ঘটবে(অর্থাৎ ঋণের বাজার উন্মুক্ত হয়ে যাবে)। অক্টোবরে তিনটে জাহাজ বন্দরে ঢুকলে কলকাতা কাউন্সিল ঢাকাকে লিখল, we hope the arrival of these ships will give them credit to Borrow money at the usual rate (Ibid., vol. 18, f. 408, 16 Oct. 1746)। কিন্তু নভেম্বরে প্রত্যুত্তরে ঢাকা কলকাতাকে লিখল, তারা ঢাকার বাজারে ঋণ পাচ্ছে না(Ibid., vol. 18, f. 434, 11 Nov. 1746)। এমন কি ১৭৪৭ সালে তারা জানাল ১২% সুদের নিচে তারা কোন ধার পাচ্ছে না(Ibid., vol. 20, f. 76vo, 31 July 1747)। নভেম্বরে কোন জাহাজ বন্দরে না ঢোকায় অবস্থা আরও ঘোরালো হয়ে পড়ে। ঢাকা কুঠি লিখল, no one being willing to lend them a stngle rupee their credit being quite gone, none of the Company's ships arriving with any treasure(Ibid., vol. 20, f. 235vo, 24 Nov. 1747)। তবে কলকাতা কাউন্সিলের আশা, ইওরোপ থেকে সম্পদ ভর্তি জাহাজ এলে অবস্থার উন্নতি ঘটবে it will taise their credit to enable them to go on with the Investment(Ibid., vol. 20, f. 283vo, 28 Dec. 1747)। কিন্তু সেটাও হল না। ১৭৪৮ সালে তারা লিখল, কলকাতা বা কাশিমবাজারের কুঠি থেকে আসা কোন আর্থিক সাহায্য ছাড়া it will be impossible to send down any Goods this season as they could get no money there(NAI, Home Misc., vol. 13,,f. 85, para. 70, Letter to Court, 10 Jan. 1748; Beng.' Letters Recd., vol. 21, f. 237;'F.WIHC, vol. 1, PP: 203-4)।

৪.৩ মুদ্রা ছাপানো এবং দাবি ধাতু বিক্রির সমস্যা
তারা যে জাহাজ ভর্তি করে সম্পদ বয়ে আনছে পণ্য কেনার জন্য বাংলা বাজার থেকে, সেই সম্পদগুলো দিয়ে যদি ইওরোপিয়রা সহজেই মুদ্রা বানিয়ে ফেলতে পারত, তাহলে তাদের আর্থিক সমস্যা থাকত না। কিন্তু আমরা যে সময়টা নিয়ে আলোচনা করছে, সেই সময়জুড়ে ইওরোপিয় কোম্পানিগুলি, চরমতম চেষ্টা করেও বাংলায় মুদ্রা তৈরি করার অনুমতি পায় নি। কোম্পানিদের এই চাহিদার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন জগতশেঠের কুঠি, যারা অষ্টাদশ শতকের তৃতীয় দশক থেকেই টাঁকশালে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে। ১৭৩৩ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার কুঠিয়াল লিখছেন তারা টাঁকশালের নিয়ন্ত্রণ চেয়ে দরবার করেছিলেন, কিন্তু Futtichund Shroff who it is said Trades for the Nabob hindered, fear it,will never be granted, the Nabob gets so much by it(C &. B Abstr., vol. 2, f. 321, para. 77, 31 Jan. 1722)। কিন্তু তাদের কেন্দ্রিয় সংগঠন লন্ডনের কোর্ট অব ডিরেক্টর্স কলকাতা কাউন্সিলকে মুদ্রা ছাপাবার অধিকার চেয়ে দরবার করার জন্যে নির্দেশ দিয়ে চিঠি লেখে We hope our now constituted President and Council will give us a convincing specimen of their abiilty and zeal for our, Setvice among other things in obtaining the grant of Coynage We have so often and with such earneestness prest you to endeavour and shew'd- you the loss we suffered and wherein in the sale of Silver and by the batta on our Madras rupees we can't add thereto(DB, vol. 101, f. lff2, para. 56, 16 Feb. 1722)।

কিন্তু কোম্পানির সব উদ্যম ব্যর্থ হয়ে যায়। ১৭৩০ সালে আলেকজান্ডার হিউম লিখলেন যে তিনি মনদিয়ে এই মুদ্রা ছাপানোর কাজ হাতে নেওয়ার কাজের দরবার করেন নি, কারণ তিনি মনে করেন lest the Company lost a good friend in Fatechand who has the Tansal [Taksal – mint] wholly in his hands(Hume's Memoire)।

কিন্তু বাংলায় কোম্পানি আমলারা মুর্শিদাবাদ টাঁকশালের মুদ্রা ছাপানোর অধিকার পাওয়ার জন্যে কোন চেষ্টারই ত্রুটি রাখেন নি। আবার সেই সময়ের কঠোর বাস্তবতাকে তারা অস্বীকার করতেও পারেন নি। ১৭৪১ সালে কলকাতা কাউন্সিল পাটনা কুঠিকে দিল্লির দরবারে এই তরল সময়ে নতুন করে টাঁকশাল ব্যবহার করার অনুমতি পাওয়ার জন্যে আবেদন করতে নিষেধ করে, যতদিন ফতেহচাঁদ শেঠ জীবিত আছেন(C & B Abstr., vol. 4, f. 336, para. 124, 3 June 1741)। পরের বছর মারাঠা হ্যাঙ্গামের প্রেক্ষাপটে সরকারের সম্পদ সংগ্রহের তাগিদ লক্ষ করে কাশিমবাজার কাউন্সিল লিখল possibly a sum properly applied might even procure the liberty of the mint (BPC, vol. 15, f. 334vo, 19 Oct. 1742)। কিন্তু গভীর আলোচনা করে তারা এই পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকল কারণ এতে হয়ত জগতশেঠের কুঠিকে রুষ্ট করা হবে exasperate Futtichand so far as to make him impede the Company's business (১২৮)।

No comments: