Friday, November 9, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৪৩

৪.২ বিনিয়োগের সমস্যা এবং সমাধানে পদক্ষেপ
বাংলায় বিনিয়োগ করতে ইওরোপিয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিগুলিকে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আমরা যে সময়টা নিয়ে আলোচনা করছি, সেই সময় জুড়ে বাংলার পণ্য কিনতে ইওরোপিয় কোম্পানিগুলির যত কার্যকরী মুলধন বিনিয়োজিত করার দরকারে ছিল, তাদের তত সম্পদ ছিল না বিনিয়োজিত সম্পদ নিয়ে আরেকটা বড় সমস্যা ছিল, ইওরোপিয় কোম্পানিগুলি যে সব পণ্য বাংলায় আনত বিক্রি করার জন্যে সেগুলির এখানে প্রায় বিন্দুমাত্র চাহিদা ছিল না বললেই হয়। যে সব পণ্য তারা বাংলায় আনত তার পরিমান খুব বেশি ছিল না। এই ছোট পরিমান পণ্য বিক্রির বাজার আরও অনেক ছোট ছিল। বাংলায় মুদ্রা তৈরির জন্যে প্রয়োজনীয় দামি ধাতু এবং মশলা, এই দুটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ছিল। তারও সরবরাহ মূলত মরশুমি এবং নির্দিষ্ট ছিল, তাই কোম্পানিকে বাংলায় পণ্য কেনার জন্যে যে কার্যকর বিনিয়োগের পরিমান প্রয়োজন হয়, তাকে সেটা অন্য উপায়ে জোগাড় করতে হত। একইসঙ্গে যে দামি ধাতু এবং মশলা বাংলায় নিয়ে আসত কোম্পানিগুলো, সেগুলিকে স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে পণ্য কেনার উপযোগী করে তোলারও বিশেষ কিছু সমস্যা ছিল। বিনিয়োগের আরেকটা সমস্যা ছিল, জাহাজ ছাড়ার মরশুম শেষ হলে পণ্যের জন্যে অগ্রিম দেওয়ার মরশুম শুরু হয়ে যেত। জাহাজ ছাড়ার মরশুমে সাধারণত পণ্যের দাম বাড়ত(কখোনো ৪০-৫০ শতাংশও)(DB, 28 Jan. 1659, vol. 84, f. 411, বাংলা থেকে জাহাজ ছাড়ার সময় ছিল মূলত সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ফলে জাহাজ ছাড়ার পরেই অর্থাত ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসেই আগের বছরের পণ্য কেনার বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হত। বাংলায় ব্যবসা করতে গিয়ে কোম্পানিকে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হত এবং সেই সমস্যার কিভাবে তারা সমাধান করত সে সব নিয়েই আমরা এবারে আলোচনা করব।
কার্যকরী মূলধনের নিরন্তর অভাব

আমরা যে সময় নিয়ে আলোচনা করছি, সেই সময়ে ব্রিটিশ, ফরাসী, ডাচ ইত্যাদি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিগুলির নিরন্তর সমস্যা ছিল পণ্য কেনার জন্যে নগদ অর্থ যাকে তারা বিনিয়োগ রূপে আখ্যা দিত। ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে শেষ জাহাজটি ইওরোপের দিকে ছেড়ে চলে গেলে তারপরের বছরের দাদন দেওয়ার মরশুম শুরু হয়ে যেত। কিন্তু সে সময় কোম্পানির হাতে নগদ অর্থ প্রায় নেই বললেই চলে। ইওরোপিয় কোম্পানিগুলি বিনিয়োগ সমস্যায় জড়িয়ে যেত আরও একটা কারণে, বিগত বছরের বকেয়া বিনিয়োগের অর্থ বণিকদের তারা শোধ করে দিতে পারত না। প্রত্যেক বছর এই সময়ে যখন ইওরোপিয় জাহাজগুলি ইওরোপে রওনা হয়ে যেত এবং নতুন বিনিয়োগের সময় আসত তখন কোম্পানির আমলারা পূর্ব বছরের বকেয়া শোধ করার জন্যে এবং পরের বছরের বিনিয়োগের জন্যে অর্থ জোগাড়ের জন্যে হন্যে হয়ে উঠত। বিভিন্ন ইওরোপিয় কুঠির কাউন্সিলগুলি অসহায় অবস্থায় পড়ত এই সময়। ১৭২০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কলকাতা কাউন্সিল লিখছে তাদের সঙ্গে জুড়ে থাকা ব্যবসায়ীরা বকেয়ার জন্য রোজ তাগাদা দিত very uneasy and daily complaining for want of usual advancement on Dadney besides their last year's arrears due to them (Ibid., vo\. 4, ff. 404vo-40S; 29 May 1721)কোন কোন সময়ে অবস্থা অসহ্য হয়ে উঠত। ১৭২১ সালের ২৯ মের ফোর্ট উইলিয়াম বৈঠকে(কনসালটেশন) বলা হচ্ছে There being due ... [a iarge amount] to our merchants on balance of the past year's,account and we having no money to clear off those balances or advance. them on this year's contract ... they are very clamorous for either,money or bills at Interest to be given them alleging they cannot perform the new contract without being forced to borrow·all the money they can get at Interest to send to the aurungs(BPC, vol: 4, f. ·274, 18 Aug. 1720)

No comments: