Monday, November 12, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৫৬

মাদ্রাজ আর আর্কটা মুদ্রা
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আরও একটা অতিরিক্ত সমস্যা ছিল, তারা দক্ষিণ ভারতের টাঁকশালে যে মাদ্রাজ এবং আর্কট মুদ্রা ছাপাত, তা বাংলায় এনে চালাতে গেলে অতিরিক্ত বাটা দিতে হত এবং এই বিষয়টি নিয়ে জগতশেঠেরা তাদের আরেকটু বেশি হয়রান করত। কোম্পানি বাংলায় যে কোন মূল্যে টাঁকশালে সিক্কা টাকা ছাপানোর অধিকার পেতে চাইছিল কারণ অধিকাংশ আড়ংএ মাদ্রাজ টাকা বর্তমান মূল্যে যেত না, সিক্কার জন্যে তাদের ৩, ৪, ৫ শতাংশ বেশি বাটা দিতে হত, ফোর্ট উইলিয়ামের দাদনিরা সেটা ১০ শতাংশে তুলে নিয়ে গিয়েছিল(C&B. Abstr., vol. 2, f. 175, para. 61, 6 Dec. 17i8)। ১৭৩১ সালে ফতেহচাঁদের উসকানিতে নবাবের কাছে একটি দৌত্য পাঠিয়ে বলা হয়(যদিও সত্য নয়) ব্রিটিশ কোম্পানি সে বছর/মরশুমে শুধুই মাদ্রাজ আর আর্কট মুদ্রা নিয়ে এসেছে, কোন দামি ধাতু আনে নি, তাই নবাব যেন বাংলায় সেই মুদ্রাগুলি নিষিদ্ধ করে শুধুই দামি ধাতু গ্রহণে ফরমান জারি করেন। নবাবের ফরমান বেরোনো মাত্রই সেটিকে রূপায়িত করতে উঠেপড়ে লাগে ফতেহচাঁদ, অবিলম্বে যে টাঁকশালে নিজের ৫০ হাজার টাকা গলিয়ে বর্তমান মুদ্রায় রূপান্তরিত করে ন্যায়। অন্যান্য স্রফেরা very clamorous upon the occasion, as they are likely to be great sufferers by it(BPC, vol. 8, ff. '45lvo-452, lo Sept. 1731; C&B. Abstr., vol. 3, f. 172, para. 2, 5 Jan. 1732)।

মাদ্রাজ আর আর্কট মুদ্রার বাটা জগতশেঠের অঙ্গুলি হেলনে উঠত পড়ত। জগতশেঠের গদি নবাবকে প্রভাবিত করে তার ব্যবসার সুবিধা অনুযায়ী মাদ্রাজ আর আর্কট মুদ্রার বাটার সংক্রান্ত নির্দেশনামা জারি করাত। ১৭৩৭ সালের ২৪ জানুয়ারির বেঙ্গল জেনারেলের চিঠিতে এই বিষটা বোঝা যাবে, Futtichund has this year again  influenced the Nabob to less in the value of Madras and Arcot Rupees and procured orders that 1073/4  of either should pass for no more than 100 siccas ... they used to pass 1031/2  Madras for 100 siccas(C&B., Abstr., vol. 4  f. 198, para. 60, 29 Jan. 1737)। ১৭৩৭ সালে আবার নবাব আরেকটি নির্দেশনামা জারি করে আর্কট টাকাকে বর্তমান মূল্যে গুণতি করতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং যদি কোন নাগরিকের কাছে সেই অর্থ থেকে থাকে, এবং নির্দেশ দিয়ে বলে তারা যেন সেই মুদ্রা ফতেহচাঁদের গদিতে নিয়ে গিয়ে সেগুলি সাড়ে বারো শতাংশ বাটায় সিক্কা টাকায় পরিণত করে(Fact. Records, Kasimbazar, vol. 2, Consult. 20 March 1738; BPC, vol. 13, f. 216, 3 April 1738)। একইভাবে ১৭৫০ সালে শেঠেদের পক্ষে আরেকটি নির্দেশনামায় রূপো বা আর্কট মুদ্রা বেচাকেনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় forbids all persons beside themselves from purchasing any silver or taking any Arcot rupees(BPC, vol. 23, f. 28, 11 Jan. 1750)। কোম্পানিগুলি অসহায় হয়ে এই নির্দেশনামা পালন করতে বাধ্য হয়ে বাংলার বাইরের মুদ্রা শেঠেদের শর্তে তাদের গদিতে জমা দিতে বাধ্য হত। এমন কি ১৭৫২ সালেও কোম্পানিকে বর্তমান সিক্কায় ব্যবসা করয়া নিষিদ্ধ করে, দেওয়ান কীর্তিচাঁদ তাদের নির্দেশ দ্যায়, তারা যেন তাদের কাছে থাকা দামি সব ধাতু এবং মুদ্রা মুর্শিদাবাদের টাঁকশালে জমা দিয়ে নতুন সিক্কায় রূপান্তরিত করিয়ে ন্যায় এবং জগতশেঠের গদিতে বা অন্যান্য কোন ব্যবসায়ীকে তাদের হাতে থাকা মুদ্রা না দ্যায়, নতুন মুদ্রায় ব্যবসা করে, no others are to pass current in the country। কোম্পানি দেখল জগতশেঠের গদিতে তাদের কাছে থাকা আর্কট টাকা জমা দিলে they will allow us only 87: 11 :. 3 sicca rupees for 100 Arcot rupees and ninety two siccas for one l]undred Bombay Rupees, by which a difference arises on the Arcot Rup~es of about 14 percent and on Bombay 9 percent which is 7 1/ 2 perce!1t more than the Batta was on Arcot Rupees in the year 1750(Fact. _Records, Kasimbazar, vol. 11, 31 Jan. 1752; C&B. Abstr. vol. 5, f. 357, para. 79, 18 Sept. 1752)।

No comments: