Monday, November 26, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৭৫

মারোয়াড়ের নগর নামক শহর থেকে বাংলায় মহাজনি ব্যবসা করে মানিকচাঁদ এবং ফতেহচাঁদ তাদের গদির সম্মান আর ক্ষমতাকে এতই উচ্চতায় তুলে নিয়ে যান যে ভারত সম্রাট ১৭২২ সালে তাদের জগতের মহাজন (শেঠ) উপাধি দিতে বাধ্য হয়, যা তারা বংশপরম্পরায় উপাধি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৭৪৪ সালে মৃত্যুর সময়ে ফতেহচাঁদ ৩০ বছরের নেতৃত্বকালে জগতশেঠের পরিবার/গদিকে বাংলার আর্থিক, সামাজিক এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিপুল মান ও মর্যাদায় উত্তরণ করিয়ে দিয়ে যান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দুই পৌত্র জগতশেঠ মহতাব রাই এবং মহারাজা স্বরূপচাঁদ তাদের গদির হাল ধরেন(Fact. Records, Kasimbazar, vol. 7, 3 Jan'. 1745; BPC, vol. 17, f. 437, 4 Jan. 1745; C&B. Ahstr., vol. 5, f. 28, para. 49, 9 Jan. 1745)জগতশেঠেদের গদির মুল রোজগারের ক্ষেত্রগুলি ছিল মুর্শিদাবাদ এবং ঢাকার টাঁকশালের নিয়ন্ত্রণ, সুবার রাজস্বের দুয়ের তিন অংশ সংগ্রহ, তাদের ধার্য করা মুদ্রার বিনিময়ের হার, ধার দেওয়া সম্পদের ওপর অর্জিত সুদ, bill-broking and the provision of credit.১৭২০ সাল নাগাদ শেঠেরা টাঁকশালে মোটামুটি একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করে, অবশ্যই বাংলার সুবাদার-নবাব মুর্শিদকুলির সক্রিয় সাহায্যে। ১৭২১ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিল লিখছে, ... Futtichund having the entire use of the mint, no other shroff dare ·buy an ounce of silver (BPC, vol. 4, f. 462vo, 9 Nov. 1721)ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় টাঁকশালের নিয়ন্ত্রণ পাবার জন্যে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল এবং তারা কাশিমবাজার কাউন্সিলকে এ বাবদে নবারের থেকে অধিকার অর্জনের জন্যে সচেষ্ট হতে নির্দেশ দ্যায়। কাউন্সিল দরবারের উচ্চপদস্থ কিছু আমলার সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করে কিন্তু are informed that while Futtichund is so great with the Nabob, they can have no hopes of that Grant, he alone having ,the sole use of the mint nor dare any other shroff or merchant buy or coin a rupee's worth of silver(Ibid., vol. 4, f. 438vo, 28 Aug. 1721. It has been recently suggested  by Om Prakash that my assertion that the house of Jagat S~th had a, virtual monopoly of the mint 'is in need of drastic revision' which I think is unwarranted in view of the evidence put forward here and  in chapter 4, cf Om Prakash, 'On Coinage in Mughal India', /ESHR, 25, 4, (1988), p. 487)।
মুদ্রা ছাপানো যেহেতু বিশাল রোজগারের অন্যতম হাতিয়ার, জগতশেঠ সেই একচ্ছত্র অধিকারটা যে কোন মূল্যে কায়েম রাখতে চাইছিল। ১৭৪৩তে কাশিমবাজার ফ্যাক্টরেরা জানাল, ... but this [minting privilege] they can never hope while Futtichund subsists and has that weight with the government which his usefulness to them and great influence at Court naturally gives him (Fact. Records, Kasimbazar, vol. 6, 16 March 1743)। ইওরোপিয় কোম্পানিরা বাংলা পণ্য কেনার উদ্দেশ্যে আনা দুটি সম্পদ, দামি ধাতু এবং মশলা, অন্য কোন বিকল্প উপায় না থাকায় জগতশেঠের মহাজনী গদিতে জগতশেঠের তৈরি করা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হত। বাংলার পুঁজির বাজারের ওপর জগতশেঠেদের পকড় এতই ছিল যে তারা যে বিনিময় হার ঠিক করত, সেটাই বাজারের হার হিসেবে নির্ধারিত হত। এই পকড়টা নিশ্চিত হত নবাবকে দেয় নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিনিময়ে। ফতেহচাঁদ নবাবকে প্রভাবিত করে তার মত করে বিনিময়ের হার করিয়ে নিতে পারতেন। এ ধরণের বহু ঘটনা কোম্পানির খাতায় পাওয়া যায়(BPC,vol. ll,f.349,8Nov.1736;vol.12,f.17, 13Dec.1736;Beng. Letters Recd., vol. 21, f. 507, 13 Jan. 1750; BPC, vol. 25, f. 43, 3 Feb. 1752)। মুদ্রা তৈরির বাটা জগতশেঠের গদির আরেক প্রকার রোজগার ছিল। লুক স্ক্রাফটনের ১৭৫৭র হিসেবে জগতশেঠ বছরে ৫০ লক্ষ টাকার মুদ্রা ছাপানোর বিনিময় বাটায় রোজগার করতেন ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা(Luke Scrafton to Clive, Orme Mss., India, XVIII, f. 5043, 17 Dec. 1757)।

No comments: