Wednesday, March 7, 2018

জাদুঘর তত্ত্ব

কিন্তু জাদুঘর তত্ত্ব আদতে একটা উদ্দেশ্যমূলক চরম রাজনৈতিকম উপনিবেশিক কৃষ্টি প্রকল্প। কোন কৃষ্টিকে মৃত দেখাতে কিছু ভদ্রবিত্তকে পয়সা দিয়ে ফিল্ড স্টাডিতে লাগিয়ে দিয়ে নানান নমুনা এনে ভয় ধরানো বিপুল বিশাল ব্যবস্থা তৈরি করে কোন কিছু প্রদর্শনী নামক বস্তু খাড়া করে দেওয়া। প্রমানিত হয়ে গেল কৃষ্টিটি মৃত - সেই প্রকল্পে গাঁইয়ারা উদ্বৃত্ত। এবারে গবেষণা করতে জাদুঘরেই এস। মাঠে গেলে যাও - কিন্তু কিই দরকার মৃত কৃষ্টি খুঁজে - যাওয়ার দরকার নেই - মামেকং স্মরনং ব্রজ - আমি বড় পুঁজি তোমার জ্ঞান আমিইই সরবরাহ করব - গাঁইয়াদের আবার জ্ঞান হল কিকরে!
শুরু হয়েছিল ইওরোপে দেড় হাজার বছর ধরে তিলে তিলে পাগানদের জ্ঞানচর্চা ধ্বংস করে, শেষ ৪০০ বছরের এনলাইটমেন্ট ধারণায় তাকে পুজো করা দেখানোর চল হল - আদতে বাঁহাতে পুজো দেওয়া জাদুঘর বানিয়ে - লোক সংস্কৃতি শব্দটা চালু হল। সে যে মৃতপ্রায় এটাও বোঝানো গেল জাদুঘরিয় প্রকল্প নিয়ে।
কিন্তু ইওরোপে সাম্রাজ্যবাদী খ্রিষ্ট ধর্ম(যার সঙ্গে খ্রিষ্টের শিক্ষার কোন মিল নেই) গ্রাম কৃষ্টিকে ধ্বংস সহজে পেরেছিল, বাংলায় তা সহজ হল না এখানে বহুচেষ্টায় গ্রাম আর গ্রাম কৃষ্টি মেরে ফেলা গেল না - তবু সেটি যে মৃতপ্রায়, তা দেখানো, তার জন্যে বহুকাল ধরে নানান মহারথী কাজ করেছেন। তাঁদের অনেকে ক্ষমতার প্রসাদপুষ্ট হয়েছেন। 
সমস্যা হল বাংলার গ্রাম কৃষ্টি আদলে যাকে লোকসংস্কৃতি দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা তো মৃতপ্রায় নয়। কিন্তু ক্ষমতাকে সেটা দেখাতে হবে।
তাই জন্যে নানান উদ্যম।
---
আবারও বলি আমাদের কারিগরদের জাদুঘরিয় তত্ত্বায়নের সঙ্গে বর্তমান বিশেষ কোন একটা জাদুঘরকে নিয়ে চলা বিতর্কের কোন সম্পর্ক নেই।

No comments: