Thursday, March 1, 2018

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইতিহাস - ভারতে পশ্চিমি ঔপনিবেশিক বিজ্ঞানের ইতিহাস

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইতিহাস আদতে আধুনিক পশ্চিমি বিজ্ঞানের ইতিহাস - 
১) ১৬৬২ সালে রয়্যাল সোসাইটি অব লন্ডন তৈরি হছে ততদিনে সে সুরাট, মাদ্রাজ আর মুসলিপত্তনমে কুঠি বানিয়েছে - বাংলাতেও পা দিয়েছে।
২) পলাশীর পরে যখন বাংলাকে লুঠে গুঁড়িয়ে ভারতের অন্যান্য এলাকার দিকে হাত বাড়াচ্ছে কোম্পানি তখন লুঠেরা উদ্ভিদবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং কিছুটা প্রাণীবিদ্যায় শৈশবের হামাগুড়ি।
৩) কর্ণাটকে ব্রিটিশ-ফরাসী দ্বন্দ্বের মাঝেই ১৭৪৯ সালে বুফঁর হিস্তোরি ন্যাচুরেলি, পলাশীর চার বছর আগে ১৭৫৩য় লিনিয়াসের স্পেসিস প্ল্যান্টেরাম প্রকাশ পাচ্ছে।
৪) ১৮০৭ সালে ব্রিটেনে আরেকটি লুঠেরা জ্ঞানতাত্ত্বিক সংগঠন জিওলজিক্যাল সোসাইটি স্থাপিত হওয়ার সময় ব্রিটিশের উপনিবেশ বাংলা ছাড়িয়ে উত্তর আর দক্ষিণ ভারতের দিকে রওনা হয়েছে।
৫) ১৮৩০এ লায়েলের প্রিন্সিপলস অব জিওলজি প্রকাশ পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভারতে বাণিজ্য নয়, শুধু শাসন করবে কোম্পানি।
৬) ১৮৫৯ সালে অরিজিন অব স্পেসিস লেখার এক বছর আগে ভারতকে জাতীয়করণ করে কোম্পানিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
ফলে আমরা ভদ্রবিত্তরা পশ্চিমের তত্ত্বায়নে যাকে আধুনিক বিজ্ঞান, মুক্তবুদ্ধির সময় বলতে ভালবাসি, আমরা কারিগরেরা যাকে ঔপনিবেশিক লুঠেরা প্রযুক্তি বলি, সেই সময়টা আদতে ভারতে মোটামুটি ঔপনিবেশিক সময়ের প্রথম পাদ।
এই প্রসঙ্গে কতগুলি প্রশ্ন তোলা বোধহয় খুব বেশি গুস্তাখি হবে না -
ক) কোম্পানি আর সাম্রাজ্য এই প্রযুক্তি আর জ্ঞানচর্চা বিকাশে কিভাবে লাভবান হয়েছে?
খ) কোম্পানির ছত্রছায়ায় কি ধরণের বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিকাশ লাভ ঘটেছে?
গ) এই ঔপনিবেশিক বিজ্ঞানের জয়জয়কার সময়ে ভারতীয় বিজ্ঞানকে কিচোখে দেখছেন ঔপনিবেশিক মুক্তবুদ্ধির জ্ঞানীরা?

প্রতিক্রিয়ায় দীপঙ্করদা লিখছেন
সেই ঔপনিবেশিক বিজ্ঞানের ঘরানা থেকে বের হতে পারলো না বলেই ভারতের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান গুলি বৈদ্যুতিক পাখার মত এক নিদৃষ্ট গন্ডির মধ্যে ঘুরেই চলেছে ...অন্তহীন ..

আর সোমনাথ রায় লিখছেন
এর সঙ্গে ল্যাটিন আমেরিকা লুন্ঠনকে মিলিয়ে দেখতে হবে। শিল্পবিপ্লবের প্রাথমিক পুঁজি কিভাবে আজটেকদের থেকে লুঠ করে আনছে স্প্যানিশরা, আর মহাজন ব্রিটিশ ব্যাঙ্কারদের কাছে সেই সোনা চলে যাচ্ছে শিল্পবিপ্লবের ফান্ডিং হিসেবে-- ওপেন ভেইন্সন অফ ল্যাটিন আমেরিকা, এদুয়ার্দো গুইলানো

No comments: