Thursday, March 29, 2018

উপনিবেশবাদ বিরোধীচর্চা - আর্যভট থেকে নীলকান্ত

অন্তত বর্ণবাদী মেকলিয় বাঙালির ইয়োরোপীয় দাসত্ব মোছার একটা চেষ্টা করা যাক

কয়েক বছর আগেই পড়ছিলাম সঞ্জয় পাসোয়ানের কালচারাল ন্যাশনালিজম এন্ড দলিত বইটি। আমরা, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ এবং উইভার, আরটিজান ট্রাডিশনাল আর্টিস্টস গিল্ডের(ওয়াটাগ) সদস্য, যারা গ্রামজ উতপাদন ব্যবস্থা, প্রযুক্তি আর সংগঠন বিষয়ে অল্পস্বল্প নজর দিয়েছি। আমাদের পথচলা দর্শনের সঙ্গে, এই বইটির ভাষ্য কিছুটা হলেও মিলে যায়। তাঁর বক্তব্য ব্রিটিশ উপনিবেশপূর্ব সময়ে ভারতে দলিতদের অবস্থান খুব খারাপ ছিল না – এই ভাষ্যে কিন্তু তিনি জাত ব্যবস্থায় কোনভাবেই উচবর্ণের অবস্থান সমর্থন করছেন না - আমরাও। তিনি বাল্মিকী, বেদব্যাস, কবীর থেকে রবিদাসের জীবনী আলোচনা করেছেন। দক্ষিণের এজাভা পরিবারের নারায়ণ গুরুর কথা এ প্রসঙ্গে বলা যায়। আমরা এখানে বাংলার নানান সম্প্রদায়ের কথা বলতে পারি। সঞ্জয় জোর দিচ্ছেন এডাম সমীক্ষার বাংলা-বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থার তথ্যে, যেখানে তথাকথিত বর্ণাশ্রমের উপরের দিককার মানুষদের থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক-ছাত্র ছিলেন দলিত মানুষেরা।
আজ ভারতে দলিত আন্দোলন নতুন উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে। অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াইটা তো রয়েইছে - আগে প্রয়োজন আমার কি ছিল, সে বিষয়ে নিরন্তর আলোচনা। যার একটি ঝাঁকি আমরা সঞ্জয় পাসোয়ানের বইটিতে পেয়েছি, নিজেরা নিরন্তর আলোচনা করছি পরম নামক একটি মাসিক পত্রিকায়। কি হারিয়েছি, হাহুতাশ তো আছেই। কিন্তু যে কেন্দ্রিভূত দর্শনের জাতিবিদ্যা তৈরি হয়েছে ভারতে বিগত কয়েক শতক ধরে মেকলিয় ঔপনিবেশিক জ্ঞানচর্চায়, তাকে সবার আগে প্রশ্ন করা দরকার। হাজার হাজার বছর ধরে বিকেন্দ্রীভূত, বৈচিত্র্যময়, আসাধারণ এক সভ্যতার ভিত্তিভূমি গড়ে তুলেছেন মূলত শূদ্ররা – তাই ভারত সভ্যতা শুদ্র সভ্যতা – এটা বলতে হবে। তাঁরাই পারেন কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাকে নিজেদের দর্শন দিয়েই প্রশ্ন করতে। বড় পুঁজির দর্শনের ভেতরে দাঁড়িয়ে তা হয়ত হবে না। নতুনভাবে দেখতে হবে বড় পুঁজিভিত্তিক লুঠেরা পশ্চিমি গণতন্ত্র, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর সমাজতত্ত্বের ভিত্তিকে – নিজেদের তৈরি পঞ্চায়েতি গণতন্ত্র, নিজেদের বিকশিত জ্ঞানচর্চার মহিমা দিয়ে। ভারতে তৃণমূল স্তরে আজও সেই দর্শনে টিকে থাকার উদ্যম রয়েছে কর্পোরেট পালিত উন্নততর বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির মহিমা কীর্তন আর তাদের হাতে আঞ্চলিক জ্ঞানচর্চার ধ্বংস ক্রিয়ার মধ্যে দাঁড়িয়েও।
নিজের সভ্যতার প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার উদ্যমের অভাব রয়েছে ইংরেজি শিক্ষিতদ দলিত নেতৃত্বের মধ্যে। তাঁদের অধিকাংশই বড় পুঁজির তৈরি করা আঞ্চলিক জ্ঞান ধ্বংস করা আধুনিক কর্পোরেট বিজ্ঞনের অংশ হতে চান, হতে চান এই উৎপাদন ব্যবস্থার হাতিয়ার। বিনীতভাবে বলার চেষ্টা করব শিক্ষিত দলিত নেতাদের এই তাত্ত্বিক অবস্থানে বড় পুঁজিরই লাভ – যখন তাঁরা বলেন ‘একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের যুগে সমাজ ও সভ্যতায় অভূতপূর্ব বিপ্লব ঘটেছে। সমাজের সাধারণ মানুষের চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রও প্রসারিত হয়েছে বহুল্যাংশে। আজ প্রত্যন্ত-অজপাড়াগাঁয়ে বসবাসকারী নিতান্ত আখ্যাত, হত-দরিদ্র মানুষও আগামী দিনে উন্নত সভ্যতার সংস্পর্শে এসে নিজের জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখে... ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি (সমাজ বিপ্লবে মতুয়াধর্ম, কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, সঙ্ঘাধিপতি, মতুয়া মহা সংঘ, শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর স্বর্ণ-সংকলন, পাতা ১৭)’। এ নিয়ে এখন তর্কে প্রবেশ করব না। আগামী দিনের জন্য তোলা রইল।
ভারতকে শূদ্র সভ্যতা বলতে গেলে নিজেদের জোরের জায়গা, কেন আমরা আলাদা, আমরা কি গড়ে তুলেছিলাম, সেটা জানাতে হবেই। ‘উন্নত সভ্যতা’বিশিষ্ট ‘একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের’ কেন্দ্র বড় শরিকের দর্শনের অনুবর্তী হয়ে হাতেগোণা মানুষ হয়ত স্বচ্ছল থাকতে পারবেন, পিঠ চাপড়ানি পাবেন, কিন্তু নিজস্ব সভ্যতার যে পরিচয় গড়ে উঠেছিল কয়েক সহস্র বছর ধরে, সেই পরিচয় তৈরি হবে না।
ভারতের অঙ্ক দর্শন এবং ইতিহাসকার চন্দ্র কান্ত রাজুর দারুণ একটা দুপাতার হিন্দি প্রবন্ধ দলিত ঔর বিজ্ঞান। যদিও আমরা পশ্চিমি মতে ভারতীয় ইতিহাসে যুগ বিভাজনে বিশ্বাস করি না, বলতে পারি, প্রাচীন থেকে মধ্যযুগে বাংলার শুদ্ররা মূলত তান্ত্রিক, বৌদ্ধ, এবং পরে ইসলামি রাজত্বের অংশ হয়ে ঈর্ষনীয় বৌদ্ধিক, কৃষ্টিগত এবং অকেন্দ্রিভূত উৎপাদনভিত্তিক বিশ্বজোড়া বাণিজ্য বিকাশের স্তরে পৌছে ছিল। রাজু তাঁর কালচারাল ফাউন্ডেশন অব ম্যাথেমেটিক্স শুরুই করছেন আর্যভট(এই নামের বুৎপত্তি নিয়ে কয়েকদিন আগেই একটা প্রকাশনা দিয়েছিলাম। আশাকরি সেটি মাথায় রয়েছে – শুধু বলি, ক্ষমতায় থাকা মানুষজন যখন আর্যভটকে সুচতুর ভাবে আর্যভট্ট বলতে শুরু করে, সেই উচ্চারণকে পাঠ্যপুস্তকের অংশ করে দেন তখনই ইতিহাসকে নতুন করে দেখতে হয়)এর জ্ঞানচর্চার অবদান দিয়ে। তিনি বিলছেন, আর্যভট used a numerical technique of solving differential equations to compute precise sine values। আজও মঙ্গলে চন্দ্রযান পাঠাতে সেই পদ্ধতিতেই গণনা করতে হয়। এবং আর্যভট প্রথম গোল পৃথিবীকে তুলনা করেছেন কদম্বের সঙ্গে তাঁর গোলধ্যায়এ।
গত কয়েক দশকে ঔপনিবেশিক পশ্চমি লুঠেরা বড় পুঁজি নির্ভর কেন্দ্রিভূত প্রযুক্তি/বিজ্ঞানকে উচ্চতর বিশ্বজ্ঞনের শ্রেণীতে ফেলে ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানকে দেশজ জ্ঞান হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছে এবং এটি আমরা সোনা মুখে মেনে নিয়েছি, ঠিক যেমনভাবে ভুলে ভরা পশ্চিমে কলণবিদ্যাকে উচতর জ্ঞানার্জন বলা হয়েছে। এই যুক্তিতে বলা হচ্ছে নিম্নবর্ণের ভাগ্যভাল তাঁরা এই উচ্চজ্ঞানচর্চার বেদীতে আরোহন করছেন। অর্থাৎ কেউ কেউ সফল হচ্ছেন মাত্র, সেটি নিয়ম নয়। কিন্তু ভারতে আর্যভট একমাত্র অউচ্চবর্ণ ছিলেন না। বলা যাবে না তিনি দলিত হিসেবে ভারতীয় জ্ঞানচর্চায় ব্যতিক্রম ছিলেন। ঠিক তাঁর পাঁচ দশক পরে আবির্ভূত হয়েছিলেন দ্বিতীয় আর্যভট। কৌসাম্বী বা আম্বেদকরের মতে এই সময়ে কিন্তু মনুস্মৃতি সঙ্কলিত হচ্ছিল। তবুও কিন্তু দ্বিতীয় আর্যভট তৈরি হয়েছিলেন। আর পঞ্চম শতের পাটনার আর্যভটের অনুগামী হিসেবে ১৫শ শতে এলেন দক্ষিণ ভারতের উচ্চতম জাতের নাম্বুদ্রি ব্রাহ্মণ, যিনি আর্যভট পদ্ধতির অঙ্কবিদ্যাকে চারিয়ে নিয়ে গেলেন নতুন উচ্চতায়। নীলকান্তের পুঁথি শীর্ষক সোমস্তুভমএ তিনি আর্যভট সম্বন্ধে ভাষ্য লিখছেন। আমাদের নতুন করে ঔপনিবেশিক সময়ের তৈরি করা বিভাগকে নতুন করে ভাঙ্গার চিন্তা করতে হবে যেখানে বলা হয়েছে ভারতের জ্ঞানচর্চায় দলিতদের স্থান ছিল না, এবং দুস্তর ভৌগোলিক ব্যবধান ছিল বিন্ধ্যর দুপাশে।
ভারতে জাতিভেদ একটা বাস্তব কাঠামো। সেটা যেমন বাস্তব, তেমনি ভারতীয় জ্ঞানচর্চায়, উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থায় অউচ্চবর্ণের, দলিতদের অবদান উচ্চবর্ণদের থেকে অনেক বেশি। সেটা আরও ঘোর বাস্তব। গত প্রকাশনায় বাংলার উৎপাদন-বিতরণ, জ্ঞানচর্চার পরিবেশ বর্ণনাতে তা কিছুটা চুম্বকে বলা গিয়েছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা এবং তার ধ্বজাধারীদের জ্ঞানচর্চায় নব্য পশ্চিমি জ্ঞানচর্চকদের সূত্রে ভারতে এক্কেবারে অন্য ধরণের জাতিবাদী আখ্যান তৈরি হল। যে ভিত্তিভূমি গড়ে গিয়েছিলেন পূর্বের অব্রাহ্মণ জ্ঞানতাত্ত্বিকেরা, সেই ভিত্তিভূমিকে অস্বীকার করার প্রবণতা শুরু হল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ছাতায়।
তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠলেন আর্যভট। তাঁর জাতি চরিত্র পালটে ফেলার উদ্যম গ্রহণ করা হল। নামের বানান উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে পাল্টে দিয়ে তাঁকে দেখানো হল ব্রাহ্মণ রূপে। ব্রহ্মগুপ্ত কিন্তু তাঁর গুরুর নাম আর্যভট লিখেছেন অন্তত একশ বার তাঁর রচনায়। যে মানুষটি পাইএর মান নির্ণয় করলেন, দশমিক ব্যবস্থাকে জোর ভিত্তি দিলেন, আর্ভটিয়া লিখলেন, আল খোয়ারজমি যার নাম উল্লেখ করেছেন তাঁর রচনায়, যিনি সাইন(জ্যা), কোসাইন(কোজ্যা), ভারসাইন(উতক্রমজ্যা), ইনভার্সসাইন(অতক্রম জ্যা), সাইন নামতা(টেবল) নয়, দশমিকের পরে, শুন্য থেকে নব্বই ডিগ্রি পর্যন্ত ৩.৭৫ ডিগ্রি অন্তরে ভার্সসাইন (1 − cos x) তালিকা সঠিক চার সংখ্যা পর্যন্ত গণনা করেছিলেন, আজও মঙ্গলগ্রহে উপগ্রহ পাঠানো হয় আর্যভটের অঙ্ক কষার পদ্ধতিতে, সেই মানুষটার জাতি চরিত্র পাল্টে দিলেন ইয়োরোপীয় ইন্ডিয়ার জাতিরাষ্ট্রের জ্ঞানচর্চকেরা।
কোন গবেষক যদি ‘সঠিক’তার দাবি করা উইকিপিডিয়ায় আর্যভট বিষয়ে দেখতে যান তাহলে কিন্তু কোথাও তাঁর জাত সম্বন্ধে একটা কথাও বলা নেই - বরং তিনি যে উপবীতধারী ব্রাহ্মণ, তাঁর চিহ্নওয়ালা একটা মূর্তির ছবি ছাপা হয়েছে সেখানে। পরোক্ষে বলে দেওয়া হয়েছে তাঁর জাত কি, যেভাবে পাঠ্য অঙ্কপুস্তকে কালো গ্রিসের অঙ্কচর্চকদের ককেসাসিয় চেহারার দেখানো হয়। Inter University Centre for Astronomy and Astrophysics (IUCAA), Puneতে এই অনৈতিহাসিক মূর্তিটি রাখা হয়েছে। রাজু বলছেন, IUCAAর জনসংযোগ আধিকারিক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্ন করেন আর্যভট পৃথিবীকে কোথায় কদম্বাকার বলেছেন তাঁর উল্লেখ জানতে। তিনি তাঁর যথাবিহিত উত্তর দিয়ে বললেন যে তাঁর নামের বানানটা যেন ঠিক করে নেওয়া হয়। সেই আধিকারিক তাঁকে জানালেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাকার জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকর তাঁকে ঠিক বানানটি জানিয়েছেন। তার উত্তর যখন রাজু তাঁকে প্রশ্ন করলেন, তাহলে কেন নার্লিকর সম্পাদিত পাঠ্য পুস্তকে আর্যভটের নাম বিকৃত ছাপা হয়েছে, তিনি সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
IUCAAসূত্রে উইকিপিডিয়ায় যে ছবিটি ব্যবহার করা হল তাতে একটাই বার্তা গেল ভারতীয় বিজ্ঞানচর্চায় দলিতদের/অব্রাহ্মণদের কোন স্থান ছিল না। ব্রিটিশ মেকলের অনুগামীরা নতুন ধরণের জাত ব্যবস্থা ভারতে পত্তন করলেন। মেকলে এবং মার্ক্স-এঙ্গেলসদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হল জ্ঞানে বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে ব্রিটিশ মেট্রোপলিটন উন্নত ছিল – তাই তারা ভারত জয় করতে পেরেছে – যার তাত্ত্বিক প্রতিধ্বনি বিদ্যাসাগর এবং রামমোহন রায়ের কাজে ছড়িয়ে পড়েছে নব্য জ্ঞানচর্চায় এবং তাঁরা দেশজ পড়াশোনা ছেড়ে ঔপনিবেশিক বিজ্ঞান পড়ানোর দাবি করছেন বুক বাজিয়ে। জেসুইট পাদ্রিরা কনণবিদ্যার অক্ষহৃদয় না বুঝেই নকল করে আর্যভটের হাতে শুরু হওয়া বিদ্যাটিকে ইওরোপে নিয়ে গেলেন। তখনকার শ্রেষ্ঠ ইওরোপিয় মাথা, দেকার্ত আর নিউটন সেটাকে বুঝতেই পারলেন না। এ প্রসঙ্গে রাজুর অসাধারণ স্তবকটি তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না - In the spirit of Kant, a reverse racist might say white-skinned people lacked the brains. However, the inferior Western misunderstanding of the calculus, coated with a redundant Western metaphysics, is what is taught in our universities today. Academics (mostly Western dominated) are unwilling to discuss publicly the claim why Western calculus is superior. The claim of superiority will fall to pieces if discussed publicly।
আবেদন নতুন করে ভাবি। নতুন করে আমাদের পূর্বজরা যে সভ্যতা তৈরি করে গিয়েছেন তার জোরের জায়গা আলোচনা করি। তবেই তৈরি হবে আন্দোলনের ভিত। নয়ত ফক্কা।


অন্তত বর্ণবাদী বাঙালি ইয়োরোপীয় দাসত্ব কাটার একটা চেষ্টা করা যাক।

No comments: