Tuesday, January 23, 2018

পরম্পরার বনৌষধি১ - হাতের নাগালে স্বাস্থ্যবিধান - স্বাস্থ্য বিধায়ক নারায়ণ মাহাত

চিরাচরিত জ্ঞান ধ্বংস, পরিবেশ ধ্বংসকে পুঁজি করে কর্পোরেট স্বাস্থ্য ফুলে ফেঁপে উঠছে।
ডাক্তারবাবুদের অবস্থা শাঁখের করাতের মত। স্বাস্থ্য কর্পোরেটরা আর ডাক্তারবাবুদের মাথায় চড়তে দিতে রাজি নন, অন্যদিকে রোগীদের চাহিদা।
এলোপ্যাথি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চলে গিয়েছে যন্ত্রপ্রযুক্তিবিদদের হাতে। যে সব কোটি টাকার যন্ত্র আজকাল স্বাস্থ্য নিরাময়ে লাগছে, সেগুলি তৈরির তত্ত্ব আর যতদূর সম্ভব ডাক্তারবাবুদের জ্ঞানসীমার বাইরে। সেগুলি চালাতেও আর ডাক্তারবাবুদের প্রয়োজন নেই।
ফলে গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থায় সহৃদয় ডাক্তারবাবু, এই সেদিনও যারা বহু লোভ লালসা উপেক্ষা করে রোগীর পাশে দাঁড়াতেন, তাদের সংখ্যা করগোণার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
সাধারণ রোগভোগে, অসুস্থতায় মা, দিদিমা, পিসি, ফুফা, আম্মির দেওয়া মরশুমি টোটকার যায়গা নিয়েছে পাড়ায় পাড়ায় একাধিক এলোপ্যাথিক ওষুধের দোকান। বিপুল অর্থ চলে যাছে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সিন্দুকে সাগরপারে।
---
এই যে ধারাবাহিকটি স্বাস্থ্য বিধায়ক নারায়ণ মাহাত শুরু করলেন, সেটি সেই হারিয়ে যাওয়া টোটকা, স্বাস্থ্য জ্ঞান ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।
এই জ্ঞান নিয়ে সোমা মুখোপাধ্যায়ের একটি বই সরযূবালার ভেষজ কলাবতী মুদ্রা প্রকাশ করেছে।

ডানকুনি
ডানকুনি, ল্যাটিন নাম Evolvulus alsinoides। সংস্কৃত নাম পর্যায় শঙ্খাস্থলি, শঙ্খপুঞ্জি, মাঙ্গল্যকুসুমা।

গুল্ম শ্রেণীর ভেষজ উদ্ভিদ। গাছটির পঞ্চাঙ্গ(ফুল, ফল, পাতা, শেকড় আর ছাল) ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়।

ডানকুনির ব্যবহারিক মাত্রা - এক থেকে দু আনা অর্থাৎ পঁচাত্তর মিলিগ্রাম থেকে দেড় গ্রাম পর্যন্ত।

এটি ত্রিদোষ(পিত্ত, কফ, বায়ু)নাশক গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। ক্ষুধামান্দ্য, অরুচি, মুখরোগ(লালাস্রাব), শ্বাসরোগ, কাস, কামলা, কৃমি, চর্মরোগ(পাঁচড়া), নেত্ররোগে উপকারী। প্রয়োগ নিম্নরূপ-
ক্ষুধামান্দ্য - ডানকুনির রস, ক্বাত্থ অথবা চূর্ণ গোলমরিচ সহযোগে (প্রতিমাত্রায় তিনটি) সেবন করলে ক্ষুধামান্দ্য ও অরুচি নাশ হয়। শ্বাস, কাস, কৃমি, কামলা আর নেত্ররোগেও এই যোগটি হিতকারী।
মুখরোগ - মুখরোগ, বিশেষ করে মুখের লালাস্রাবে মধুমিশ্রিত ডানকুনি উপকারী। এটি নেত্ররোগেও ব্যবহার্য।
চর্মরোগ - ডানকুনি সেবন ও লেপন উভয় বিধি প্রয়োগে চর্মরোগ, বিশেষত পাঁচড়া নিরাময় হয়।

No comments: