Sunday, January 14, 2018

চৌথুপির চর্যাপদ১ - প্রীতম বসু



বাংলায় দেড় শতকের ঐতিহাসিক উপন্যাস আঙ্গিকের উল্লেখযোগ্য কথাকার প্রীতম বসু। সর্বার্থে ব্যতিক্রম। কৈবর্ত সমাজের মহিলা উপন্যাসের নায়িকা, আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বৌদ্ধ আর মুসলমান, অসীম রায়, মহাশ্বেতা হাতেগোণা কয়েকজন বাদ দিলে এই বুকের পাটা দেড়শ বছরের ঔপনিবেশিক জাতিবাদী ছোটলোক বিরোধী বাংলা সাহিত্য দেখাতে পারেনি এটা আমার দৃঢ মত।
বসুজার দুটি উপন্যাস পড়েছি দুটি - এইটি আর পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল। দুটি উপন্যাসের লেখার আঙ্গিকের মধ্যে যথেষ্ট মিল এবং দ্বিতীয়টির বিপুলায়তন(সব মিলিয়ে ৪৪৪পাতা) পাঠে ব্যঘাত সৃষ্টি করে- মেলায় আমায় জানিয়েছিলেন Somabrata। অন্যদিকে Susobhanজানিয়েছিলেন তাঁর মুগ্ধতা। থ্রিলার সাহিত্যের অপাঠক আর ইতিহাসের সচেতন পাঠক হিসেবে আমি বলতে পারি চৌথুপি... পাঁচমুড়োর থেকেও আকর্ষনীয়; হ্যাঁ সাহিত্যের আঙ্গিক হিসেবে নয়, ইতিহাস নির্মাণে।

তো হাজার বছর আগে নানান কারণে বাংলার ইতিহাস তথ্য এবং তত্ত্ব বয়ানে যে কুয়াশা আজও জড়িয়ে আছে সেই মায়াময় সময়ে তাঁর বিচরণ। উত্তরবঙ্গ আর তিব্বতের একাংশ জুড়ে এই কাহিনীর বিস্তৃতি। সেটা কি পাঠক উদ্ধার করুন, সে রসে ব্যঘাত করব না।
পাঠক হিসেবে উপন্যাসটির মূল্যায়ণ করা আমার পক্ষে বেশ কঠিন। সমস্যা হল আমায় ব্যক্তিগতভাবে এবং সাঙ্গঠনিকভাবে টানে পলাশীর আগের পরের একশ বছরের ঘটনাবলী, সময়, অর্থনীতি, প্রযুক্তি...। যা পড়ি তার একটা কারণ হল যে কারিগর-বাংলার ইতিহাস আমরা নির্মান করতে চলেছি তার মালমশলা জোগাড়। নির্মমভাবে এই কাজটা আমরা করে চলি। সেই তথ্য-তত্ত্ব তালাশে চৌথুপি কিছুটা সহায়কতো বটেই, এবং অনেক ঐতিহাসিক ফাঁক পুরণে সহায়ক হয়ে ওঠে।
শুধু উপন্যাসে ব্যবহৃত কতগুলো ঐতিহাসিক তথ্য পরের লেখায় উল্লেখ করব, যেগুলি বসুজা অসাধারণ পরিশ্রমে উদ্ধার আর ব্যবহার করেছেন পরের লেখায়।

No comments: