Thursday, July 7, 2016

Anecdotes of Aurangzeb – আহকমইআলমগিরি - আওরঙ্গজেবের উপাখ্যান

তৃতীয় খণ্ড

৩৬। হামিদ কাঁ বাহাদুরের প্রতি দয়া

গাজিউদ্দিন খাঁ ফিরুজ জংএর ভাই, হামিদ খাঁ বাহাদুরের সৈন্যবাহিনীর সংবাদপত্র থেকে সম্রাট জানতে পারলেন, যদিও সম্রাটের অনুমতি নেই তবুও তিনি তার সৈন্য বাহিনীতে ভেরি আর বাদ্যযন্ত্র বাজান এবং উতসবে প্রতিদিন তার বাড়িতে নওবত বাজানো হয়। এর উত্তরে সম্রাট লিখলেন, ‘ফিরুজ খাঁএর ভাই এত বোকা নয়, যে সে প্রতিদিন সেই কাজ করবে। তবে তার বাড়িতে দৈনন্দিন কিছু না কিছু উতসব লেগে থাকেই। যখন (আমার রাজত্বে)কোন সাধারণ মানুষের নওবত বাজানোর অনুমতি সম্রাটের থেকে নিতে হয় না, তখন কেন তাকে সেই অনুমতি নিতে হবে। সংবাদ লেখক ভবিষ্যতে যেন তার বিরুদ্ধে কোন বিদ্বেষপূর্ণ সংবাদ না লেখেন। আমি তার ধৈর্যের দাদ দিই, যে একদিকে সে চার হাজারি মনসবদার, অন্যদিকে তাকে বাহাদুর উপাধিও দেওয়া হয়েছে, তবুও আমি তাকে উতসবে নহবত বাজানোর অনুমতি দিই নি, তবুও সে কিন্তু সুন্দর হৃদয়ে আমায় সেই কাজের জন্য আবেদন জানায় নি।

মন্তব্য – খ্বাজা হামিদ, কুইলচ খাঁ(খ্বাজা আবিদ)এর পুত্র এবং ফিরুজ খাঁর ভাই, ১৬৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে খাঁ বাহাদুর উপাধি পান, তার পরে তার উপাধি হয় মুইজউদ্দৌল্লা এবং সলাবত জং। আওরঙ্গজেবের রাজত্বে তিনি আড়াইহাজারি মনসবের ওপরে উঠতে পারেন নি। তিনি এবনহ হামিদুদ্দিন খাঁ বাহাদুর দু জন আলাদা মানুশ। মারা যান ১১৪০ আলহজ্জ্বতে।

৩৭। অত্যাচারী প্রশাসককে তিরষ্কার

লাহোরের জায়গিরদার, খাঁইজাহাঁ বাহাদুর তার শাসনকালের শেষের দিকে খুবই অত্যাচারী হয়ে উঠেছিলেন। সংবাদপত্র লেখক(সাওয়ানি)দের মার্ফত সম্রাট জানতে পারলেন তার অত্যাচারের কথা। তার সঙ্গে যেদিন শাহেনশাহএর কথা হল, বল্ললেন, ‘আমি তোমার কাছে এটা আশা করি নি। কিছু কিছু জিনিস লাহোরের জায়গিরের শাসনকালে নিজে আবিষ্কার(বিদাত, বেআইনি আইন) করে নিয়েছিলে, মনে করেছিলে, নিজের শাসনকাল চিরকাল চলবে,(কিবিতা)
তার মৃত্যুর পরও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হতে থাকে,/ এমনকি মৃত ঈগল পক্ষীর পালক শেষ পর্যন্ত তীরে ব্যবহৃত হয়।

মন্তব্য – আজম খাঁ কোকার ভাই মীর মালিক হুসেইন বাহাদুর খাঁ(খাঁইজাহাঁ বাহাদুর কোকালতাস উপাধি পান ১৬৭৩ সালে এবং জফর জং পান ১৬৭৫ সালে), দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধ করা আওরঙ্গজেবের অন্যতম প্রধান সেনাপতি ছিলেন। পাঞ্জাবের সুবাদার হন ১১ এপ্রিল ১৬৯১; কিন্তু ১৬৯৩তে পদচ্যুত হন। মারা যান ২৩ নভেম্বর ১৬৯৭, জলন্ধর দোয়াবে নাকুদারের কাছে সমাধি দেওয়া হয়।
(চলবে)

No comments: