Thursday, May 31, 2018

একটি ছোট্ট জ্ঞানচুরির নিদর্শন - নৌকো প্রযুক্তি

In the early nineteenth century, F. Balthazar Solvyns, a Flemish artist and author of a work on boats in Bengal, declared that “the present-day Hindus can still offer models to Europe. The English have borrowed from the Hindus many improvements which they have adapted with success to their own shipping.” 
Although Solvyns does not elaborate, one Indian improvement that had its admirers, but had not yet been transferred to Europe, was the use of gulgul, which a British shipowner described as a “kind of hard lime, a cement that is laid at the bottom, and it hardens like stone; and in case the copper was to get off, it would not be penetrated by the worm.” Indian innovations such as gulgul indicate that the knowledge and technological capabilities of Indian shipbuilders were in some respects superior to those of Europe.
প্রসন্নন পার্থসারথির - হোয়াই ইওরোপি গ্রিউ রিচ... থেকে
এটি বালথাজার সলভিনসের স্বচিত্র

জাহাঙ্গিরের দরবারের চিত্রকর - আবুল হাসান

On this day, Abu’l Hasan, the painter, who has been honoured with the title Nadir-al Zaman, drew the picture of my accession as the frontispiece to the Jahangir Nama, and brought it to me. As it was worthy of all praise, he received endless favours. His work was perfect, and his picture is one of the chefs d'oeuvre of the age. In this era he has no equal or peer. জাহাঙ্গির, তুজুক,
আবুল হাসান শিশুকাল থেকেই আঁকায় অবর্ণনীয় দক্ষতা উপস্থাপন করেছেন। সম্রাটও তাঁর কাজে প্রায় হতবাক হয়ে যান। ১৫৬০ সালে আগা খানএর পুত্র বাল্যাবস্থায় ইরাণ থেকে উপমহাদেশে চলে আসেন। মুঘল চিত্রশালায় কাজ নেন। বাল্যকাল থেকেই থেকেই তাঁর বিস্ময়কর প্রতিভা সক্কলের নজরে আসে। সে সময় জেসুইট পাদ্রি আর রাজদূতদের সঙ্গে আসা প্রচুর ইওরোপিয় শিল্পী উপমহাদেশে কাজ করছেন বিশেষ করে এনগ্রেভিংএর কাজে তারা বিশেষভাবে দক্ষ ছিলেন। ১৫১১ সালের একটা এনগ্রেভিংএ দেখা যাচ্ছে ক্রুশবিদ্ধ যিশুর পায়ের কাছে সাধু জন বসে আছেন। আবুল হাসান এটিকে কাগজে অবর্ণনীয় দক্ষতায় রূপান্তরিত করেন। এটি এখন অক্সফোর্ডে আছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ছবির তলায় খুদে অক্ষরে ফার্সি অক্ষরে লেখা আছে, mashq-i Abu’l Hasan ibn-i Riza, murid-i Shah Salim, dar sinn-i sizadah salagi sakhta অর্থাৎ রিজা পুত্র আবুলহাসান, শাহ সেলিমের (জাহাঙ্গিরের) অনুগামী এটি এঁকেছে ১৩ বছর বয়সে।
ছবিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বি এন গোস্বামী লিখছেন There, in this very lightly drawn study, he stands — St. John — body mildly flexed, hands clasped in front at waist level, head somewhat tilted and an expression of ineffable sadness on the face. Nothing that is there in the figure Abu’l Hasan could have observed from life or been familiar with personally: the European features of the face, the curly hair, the costume with its palpable weight and folds. Nor could he have had any instruction in European technique: modelling, shading, sense of volume, and all. And yet, basing himself simply on the engraving which must have come his way, he turned out this remarkably sensitive study।
এর ঠিক দুবছর পরে আবুল হাসান তখন মাত্র ১৫ বছরের। ইওরোপিয় ছবি আঙ্গিক ভিত্তি করে আরও একটা অসাধারণ ছবি আঁকলেন, যা তাঁর কৃষ্টি, আঙ্গিক থেকে অনেক দূরের। সমুদ্রের দেবতা নেপুচুনএর। আবারও গোস্বামীর ভাষা ধার করে বলা যাক There is wild grandeur in the naked, muscular, trident-bearing figure of the Roman god, astride a mythical, horse-bodied, fish-tailed, lobster-legged mount, wading through the rough seas astir with creatures gazing at the sea-lord with fear and astonishment। Nothing seems to have escaped Abu’l Hasan’s eye in this, from the angry mane alike of the rider and horse to the tiny swooping pelican close to the god's head। যে মানুষটা মুঘল ফার্সি আঙ্গিকে বেড়ে উঠছেন, তিনি ল্যাটিনে লিখিত চারটে স্তবকটি অসাধারণ দক্ষতায় নকল করলেন। এবং সবার শেষে লিখলেন নিজের সম্বন্ধে সেই আগে লেখা বাক্যটি।
কিন্তু ইওরোপিয় ছবি নকল করা তো তাঁর কাজের উতকর্ষ নয়। তিনি জাহাঙ্গিরনামার ঝরোখা দর্শন পাটাচিত্র অর্থাৎ প্রথম পাতার ছবিটা আঁকলেন যে ছবির বিষয়ে জাহাঙ্গিরের উক্তি উল্লেখ করেছি।
--
এখানে তাঁর নিজের ছবিও আছে।

মুঘল মানচিত্রবিদ্যা - জাহাঙ্গির শাহআব্বাসের আলিঙ্গন

যে গোলকের ওপর ওঁরা দাঁড়িয়ে আছেন সেটি বিশ্বের মানচিত্র এবং দুজনের পিছনে যে গোল আলোর বৃত্তটার মত একটা কিছু দেখা যাচ্ছে, সেটা আদতে উপমহাদেশের মানচিত্র। সেটি খুঁটিয়ে দেখে নদীগুলির সঠক স্থান বোঝা যায়। ছবিটা এঁকেছেন আবুল হাসান ১৬১৫ সনে। এরও দেড়শ বছর পরে এই জ্ঞান অবলম্বন করে রেনেল মানচিত্র তৈরির উদ্যম নেবেন।
Mughal technical interest extended into cartography as well. Very few maps from the Mughal period exist, but other sources point to a sophisticated cartographic tradition. For instance, the globe in the famous painting Jahangir Embracing Shah Abbas reveals a familiarity with European maps of the early seventeenth century which was combined with Mughal geographical knowledge. The latter is revealed by the accurate depiction of the river systems of the subcontinent.
প্রসন্নন পার্থসারথীর হোয়াই ইওরোপ গ্রিউ রিচ... থেকে
ছবিটা নেট থেকে

কাস্ট বনাম আর্থিক উন্নয়ন

In the centuries before 1800, caste had less social power and was more flexible, which translated into greater social and occupational mobility. Historians and anthropologists have also begun to recognize that caste helped to promote economic activity in a number of ways. Most importantly, caste connections were a source of mercantile trust, which was invaluable for commercial transactions that were conducted across large spaces and over long spans of time.
Prasannan Parthasarathi
Why Europe Grew Rich and Asia Did Not
Global Economic Divergence, 1600-1850
(2011, Cambridge University Press)

জ্ঞানচর্চায় ইওরোপিয় আদান-প্রদান নাকি জ্ঞান ধ্বংস

এই বইতে প্রসন্নন পার্থসারথি যে আদান-প্রদানের কথা বলছেন, তাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে ধরমপাল দেখিয়েছেন কোন কোন প্রযুক্তি, জ্ঞান, দক্ষতা ইওরোপ উপমহাদেশের নানান এলাকা থেকে চুরি আর ধ্বংস করেছিল।
This book also challenges the still deeply held belief in the uniqueness of early-modern European scientific culture. In the period from 1600 to 1800, intellectual life in the Indian subcontinent was far from stagnant and there were intellectual shifts which led to self-conscious searches for new forms of knowledge. Indian thinkers also began to place a higher value on understanding the natural world for the economic and political utility of that knowledge. States and rulers sought to compile both European and Indian learning to put it at the service of political power. Indian artisans were also exposed to European technical developments through contact with skilled individuals and the products of Europe. While Indian manufacturers benefited from the encounter with European techniques and know-how, the flow of information was by no means one way. Europeans sought out both Indian learned men and artisans to gain access to their technical and scientific knowledge. Therefore, any portrayal of Europe as uniquely scientific and technological rests on a misunderstanding of conditions in the seventeenth and eighteenth centuries or projects the backward conditions that emerged in nineteenth-century India into earlier periods.

শিল্পবিপ্লবের স্বার্থে ঔপনিবেশিক ভদ্রদের নিরন্তর প্রচেষ্টা

ঠিক যে জন্যে ভারতীয় উপমহাদেশকে কাঁচামালের আড়ত এবং শিল্পউতপাদনের খাতক হিসেবে তৈরি করতে প্রয়োজন ছিল ব্রিটিশ শিক্ষা এবং জীবনধারণ পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ ভদ্রবিত্তের পঞ্চম বাহিনী হয়ে কাজ করা। তাঁর প্রতিদান তারা সে দিন থেকে পাচ্ছেন নানান ঔপনিবেশিকতার তত্ত্বে বিকশিত প্রশাসনিক পদে, ঔপনিবেশিক শিল্পসাহিত্য আঙ্গিক বিকাশের কাজে নিরত থেকে।
আজও তারা ইওরোপের স্বার্থে নিরন্তর কাজ করে চলেন।
In 1831, a sixth of the value added in British manufacturing came from cotton textiles, the production of which was mechanized as a consequence of global competitive pressures. In another measure, cotton went from accounting for 1 percent of British manufacturing in 1770 to 10 percent in 1841.
প্রসন্নন পার্থসারথি
হোয়াই ইওরোপ গ্রো রিচ এশিয়া ডিড নট

Daniel Kahneman এবং Amos Tverskyর লিখত Choices, Values, and Frames বইটা পড়া দরকার

প্রসন্নন পার্থসারথীর হোয়াই ইওরোপ গ্রো রিচ...এ এই বইটার কথা বলছেন, Daniel Kahneman এবং Amos Tverskyর লিখত Choices, Values, and Frames (2000, Cambridge University Press)।
The argument that individuals respond very differently to conditions of abundance from those of shortage can be seen as a case of loss aversion or status quo bias, a phenomenon described by pioneering behavioral economists Amos Tversky and Daniel Kahneman. Tversky and Kahneman found that in two scenarios in which the expected pay-off was the same – and for which standard economic models predict no difference in behavior – individuals were more inclined to take risks when they possessed nothing than when they possessed something.26 They called this phenomenon loss aversion or status quo bias. This finding suggests that comparative economic development cannot be reduced to differences in prices, wages or efficiencies of markets because variations in economic situation can have a profound impact on economic action. Therefore, individual decisions must be understood in context and the direction of economic change cannot be predicted with reference solely to standard economic tools such as prices and supply and demand. The interpretation of divergence in this book moves away from highly generalized and universal models of economic life and towards more detailed analysis of the particular problems that actors faced in specific situations.

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় উপমহাদেশিয় বস্ত্রের কৃষ্টিগত চাহিদা।

প্রসন্নন পার্থসারথীর হোয়াই ইওরোপ গ্রো রিচ... থেকে
Because of their vibrant colors and vivid designs, these(উপমহাদেশিয় বস্ত্র) textiles served a variety of social purposes. John Guy observes that “the importance of the non-utilitarian uses to which Indian textiles were put in Southeast Asian societies is underscored by the sheer volume of the trade, which exceeded the needs of the region, given that much of the
clothing of the people was provided by inexpensive locally woven goods.” For elites in Southeast Asia, costly Indian textiles served as markers of status and rank and they lent the wearer or bearer enormous prestige and high social standing. For those on the lower rungs of the social ladder, Indian cottons were no less desirable as they were associated
with the rare and exotic, but in this case, the demand had to be satisfied with cloth of lower price and quality. Indian cottons conveyed status when used both as garments and as accessories in ceremonies and rituals. In many areas of Southeast Asia, Indian printed, painted and patterned cloths were prominently displayed as canopies, backdrops,
awnings and floor coverings during birth, marriage and death
rites. With these uses, according to Guy, Indian cloth came to be invested with spiritual power and authority. Whether as a marker of status or as a possessor of a spiritual force, the beauty of the cloth, both in design and execution, was of prime importance to buyers.

রামমোহন, সতীদাহ আর ছোটলোক

M M Abdur Rahaman‎ বলেছেন আমাদের মতের কথা-
সতীদাহ প্রথায় যে সকল নারীকে সহমরনে যেতে হয়েছে তারা সকলেই ছিলেন বামুন কায়েত বা বেনে পরিবারের। অর্থাৎ বৈদিক ধর্মের অনুসারী বহিরাগত আর্য্য কন্যাদের মরতে হত। আমার জানা মতে শূদ্র সমাজের, অন্ত্যজ সমাজের, আদিবাসী সমাজের কিম্বা মুসলমান সমাজের নারীদের কস্মিনকালেও স্বামীর চিতায় পুড়ে মরতে হয়নি। তাদের সংস্কৃতি কিম্বা আচরিত ধর্মই তাদেরকে এই জীবনহানিকর বিধান থেকে রক্ষা করেছে। তাই সতীদাহ কেবল ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্য সমাজের ভেতরকার মেয়েদের সমস্যা ছিল, এর বাইরের সমাজের নয়। রাজা_রামমোহন_রায় এই উচ্চবর্ণীয় মা বোনদের জীবন-সম্মান রক্ষার্থে আন্দোলন করেছিলেন। তার এই আন্দোলন শূদ্র-অন্ত্যজ-আদিবাসী-মুসলিম নারী সমাজের ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোন কাজেই লাগেনি।

উপমহাদেশিয় সুতির কাপড় কেন শস্তা ছিল...

Indian cotton cloth was cheaper than the all-cotton goods that Europeans manufactured in the seventeenth and eighteenth centuries, especially in the higher-quality varieties. In Normandy, for example, a French firm successfully made muslins between 1753 and 1760 only because of a protective duty. The manufacture collapsed when the protection was removed. Similarly, an attempt to make all-cotton muslins in Lancashire in the 1760s failed because of a lack of yarn “cheap enough to compete with Indian muslin.”
...Indian cottons were less expensive than silk cloth, which in the seventeenth century became the fabric of high fashion in Europe. “When novelty was demanded, it was demanded first from the silk designers,” Beverly Lemire has written. The introduction of Indian cottons challenged the primacy of silk, which it replaced in the making of gowns as well as other garments. Initially, the “members of the middling and lower orders began to buy the vibrant cottons as a cheap facsimile of the brocades and flowered silks favoured by the aristocracy.” For the less wealthy, the lower prices of printed and painted cottons enabled them to imitate the silk styles of the elite. Given the threat that cottons posed, it is not surprising that the London protests of the 1690s against Indian imports were spearheaded by the silk weavers of Spitalfields who believed that they were being undercut by low-wage workers in the Indian subcontinent. “N. C.,” a London weaver, for instance, criticized the English East India Company for “having their goods cheap wrought by the wretched poverty of that numerous people.”
What should one make of such claims for low Indian wages?
প্রসন্নন পার্থসারথীর হোয়াই ইওরোপ গ্রো রিচ... থেকে

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা - উপনিবেশপূর্ব সময়ে উপমহাদেশের গরীবি - এক ঔপনিবেশিক নির্মান

এঙ্গাস ম্যাডিসনের ভারত পাক অর্থনীতি নিয়ে লেখায় পড়ছিলাম বিভিন্ন ভ্রমনকারির লেখায় পাওয়া গিয়েছে বাংলার মানুষেদের উর্ধাংগ ঢাকা থাকত না তার কারণ তাদের রোজগার ছিল না। তারা হতকুচ্ছিত গরীব ছিল। ফলে জামাকাপড় পরার পয়সা থাকত না। এইভাবে উপমহাদেশের অর্থনীতি সমাজ বিশ্লেষিত হয়েছে। এঙ্গাস ম্যাডিসন এই সব মণিমুক্তা সম তথ্য ব্যভার করেও উপমহাদেশের অর্থনীতির জিডিপি ২৫এর নিচে নামাতে পারেন নি।
এই লেখার সাথের ছবিটা খুব বেশি হলে শতখানেক আগে আঁকা পঞ্জিকার কাঠ খোদাই। বাঙালি অমুসলমান ভদ্রবিত্ত পরিবারের অন্তঃপুরের মহিলা। ব্লাউজ পরেন নি - ভাইকে ফোঁটা দিচ্ছেন। একে কে গরীব বলবেন? সংখ্যালঘু মধ্যবিত্ত সমাজের বাইরে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজ আছে তাদের অনেকে আজও দেহের ওপরের অংশ অনেকিটা অনাবৃত রাখেন।
সমস্যা হল বাংলার ব্রিটিশপূর্ব সময়ের অবর্ণনীয় দারিদ্র অবলম্বন কয়ে যে ইওরোপমন্য বয়ান তৈরি হয়েছে তাকে খণ্ডাবে কে?

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা - ব্রিটিশপূর্ব সময়ে তাঁতিদের রোজগার - ইওরোপিয় শ্রমিকদের তুলনায় বেশিই ছিল

১৭০০ সালের আশেপাশে ইওরোপে তখন ভারতীয় বস্ত্র(এক কথায় ক্যালিকো) আমদানি বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার হচ্ছে। ব্রিটিশ রেশম তাঁতিরা বিশ্বাস করতেন ভারতীয় সুতিবস্ত্রতাঁতিদের রোজগার বেশ কম। 
ড্যানিয়েল ডিফো লিখলেন, The People who make all these fineWorks are to the last Degree miserable, their Labour of no Value, their Wages would fright us to talk of it, and their way of Living raise a Horror in us to think of it . . . the Wages they get cannot provide better food for them; and yet their rigorous Task-masters lash them forward as we (cruelly too) sometimes do our Horses। পার্লামেন্টে John Basset বললেন people in India are such slaves as to work for less than a penny a day, whereas ours here will not work under a shilling। সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে ভারতে ঘুরতে আসা Francisco Pelsaert বললেন “For the workman there are two scourges, the first of which is low wages . . . The second is [the oppression of] the Governor, the nobles, the Diwan, the Kotwal, the Bakhshi, and other royal officers। প্রায় নাম না জানা এক ভ্রমনকারী Mrs. J. Kindersley ১৭৬৫তে বললেন ভারতের গরীবেরা are poor indeed; scarce any covering, their food rice and water; their miserable huts of straw . . .; no liberty, no property, subject to the tyranny of every superior।
মুঘল আমলের ঐতিহাসিক ডবলিউ মুরল্যান্ড(very numerous lower class, living generally on the same plane of poverty as now, but on the whole substantially worse off) বা তপন রায়চৌধুরী (agricultural population of India as living in “great poverty” and attributed the competitiveness of Indian cloth in world markets to the “ruthlessly inequitable system of distribution) বা কীর্তি নারায়ণ চৌধুরী(Indian subcontinent in the seventeenth and eighteenth centuries was characterized by “surplus labour leading to low wages) বা এরিক হবসবম(বললেন শিলপবিপ্লবে ব্রিটিশ শ্রমকদের মজুরি কমেছে কিন্তু কখোনোই এশিয় স্তরে নামে নি) সক্কলে একই মত প্রকাশ করেছেন যে উপমহাদেশ বা এশিয়ায় মজুরির স্তর বেশ কম ছিল। তারা ইওরোপের শ্রমিকদের তুলনায় কম রোজগার করত।
খুব সম্প্রতি COTTON TEXTILES AND THE GREAT DIVERGENCE: LANCASHIRE, INDIA AND SHIFTING COMPETITIVE ADVANTAGE, 1600-1850 প্রবন্ধে Stephen Broadberry and Bishnupriya Gupta একই কথা বলছেন, যে এশিয় বা উপমহাদেশিয় শ্রমকদের রোজগার কম ছিল।
অথচ এই লেখাটির সঙ্গে পার্থসারথীর দেওয়া তালিকা নির্ভর করে বলতে পারি ওপরের বক্তব্যগুলি ঐতিহাসিকভাবে অসত্য এবং ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাঁকে সমর্থন করেছেন শশী শিবরামকৃষ্ণ। ১৮০০-১৮০১ সালে ফ্রান্সিস বুকানন দক্ষিণ ভারতের মহীশূর এলাকা জুড়ে সমীক্ষা করে বিপুল তথ্য প্রকাশ করেছেন আজ থেকে দুশ বছর আগে সে তথ্য কিন্তু ওপরের নিরীক্ষাকে প্রমান করে না। Sashi Sivramkrishna, Journal of the Economic and Social History of the Orient, 52 (2009) পত্রিকায় প্রকাশিত “Ascertaining Living Standards in Erstwhile Mysore, Southern India, from Francis Buchanan’s Journey of 1800–01: An Empirical Contribution to the Great Divergence Debate,” প্রবন্ধে সরাসরি বুকাননের তথ্যগুলি নাড়াচাড়া করে পার্থসারথীর এই ফেবু প্রবন্ধের সঙ্গে দেওয়া তালিকার তথ্যগুলি সমর্থন করে বললেন Buchanan’s Journey, therefore, does seem to support the findings of Parthasarathi who argued that grain wages of weavers in India were on par and sometimes higher than weavers in Europe।
---
সূত্র - প্রসন্নন পার্থসারথী - হোয়াই ইওরোপ গ্রিউ রিচ...

ভারতউপমহাদেশে কত রূপো আসত

প্রসন্নন পার্থসারথী বলছেন ১৬০০-১৮০০র মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১,৪২,০০০ টন রূপো উতপাদিত হয়েছে, যার একপঞ্চমাংশ ২৮,০০০ টন উপমহাদেশেই এসেছে। চিন কেন্দ্রিক এশিয় বিকাশের প্রবক্তা আন্দ্রে গুণ্ডার ফ্রাঙ্কএর তত্ত্ব মোটামুটি বাতিল করে দিচ্ছেন পার্থসারথী। তবুও আমরা এই বিতর্কে না ঢুকে বলতে পারি চিন ভারত আর পারস্য তখন ছিল বিশ্ব অর্থনীতির মুল অক্ষ। আজও এই তত্ত্ব অনেকেই মানেন না। তাই দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষ স্তবকের শেষে মন্তব্য করছেন Yet both classic and contemporary commentators argue that the economic and political institutions of eighteenth-century India were inferior to those of Europe.
--
দ্বিতীয় অধ্যায়ের সিদ্ধান্ত
By 1700 Indian cotton cloth was consumed in the four corners of the world. As it grew in popularity, efforts to imitate it sprang up around the world as well. In Safavid Iran, cloth manufacturers copied the printed and painted calicoes of Gujarat and sold some of them in Marseilles and elsewhere in Europe as indiennes. European buyers assumed that these cloths were of Indian provenance. In the Ottoman Empire, cotton cloth printing became a major manufacturing activity in Tokat and other towns and cities in Anatolia. These Ottoman products were also exported to Europe where they were widely demanded and consumed. The most fateful imitation of Indian cottons took place in Western Europe, where from the late seventeenth century calico printing workshops were established to print cotton as well as linen cloth in the Indian fashion. These led to attempts to manufacture the Indian cotton cloth itself and in Britain these efforts led to some of the most important technological breakthroughs of the eighteenth century. Before examining these responses to Indian cottons, the economic, political and social institutions of seventeenth and eighteenth-century India merit more careful analysis, however. The vibrant export of textiles and the large-scale import of money are evidence of a sophisticated commercial and mercantile system

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা - মুঘল রাষ্ট্র কি স্বৈরতান্ত্রিক? ক্রিস্টোফার বেইলির নতুন ভাবনা

সেই বার্নিয়ে থেকে মেকিয়াভ্যালি হয়ে ফ্রান্সিস বেকন হয়ে আদম স্মিথ থেকে মার্ক্স হয়ে যদুনাথ সরকার হয়ে এরিক জোন্স থেকে ডেভিড ল্যান্ডেস থেকে ইরিফান হাবিব পর্যন্ত সক্কলে ব্রিটিশপূর্ব মুঘল রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে এশিয়াটিক ডেসপটিক স্টেট হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রজারা মাথা নামিয়ে থাকত। জমি যেহেতু রাষ্ট্রের ছিল কেউ চাষ করতে উৎসাহ পেত না। সওদাগরেরা রাষ্ট্রের ভয়ে সম্পত্তি লুকিয়ে রাখত। শুধু ইরফান হাবিবেরটুকু উদ্ধৃতি দিলাম, It was inevitable that the actual burden on the peasantry should become so heavy in some areas as to encroach upon their means of survival. The collection of revenue of this magnitude . . . could not be a refined process. When the ‘arrayatos’ (raiyat, peasants) could not pay the revenue, says [the European traveler] Manrique, they were ‘beaten unmercifully and maltreated। কৃষক আর কারিগরেরা রাষ্ট্রের দয়ায় বাঁচত। ইত্যাদি। আর যা যা খারাপ হতে পারে ভেবে নিন।
ক্রিস্টোফার বেইলি(Indian Society and the Making of the British Empire (Cambridge, 1988)) বছর চল্লিশেক আগে ইওরোপমুখ্যতার বিবরণ বাদ দিয়ে নতুন এক ধারণা তৈরি করলেন মুঘল রাষ্ট্রের The Mughals claimed universal dominion . . . But for the majority of their Hindu subjects power and authority in India had always been more like a complicated hierarchy than a scheme of “administration” or “government”. The Mughal emperor was Shah-an-Shah, “king of kings”, rather than king of India . . . But many of the attributes of what we would call the state pertained not to the emperor or his lieutenants, but to the Hindu kings of the localities, the rajas or to the notables who controlled resources and authority in the villages. The emperor’s power and wealth could be great, but only if he was skilled in extracting money, soldiers and devotion from other kings.
ব্রিটিশেরা মুঘল রাষ্ট্রকে এক্কেবারে বুঝতে পারে নি বলেই লিখেছিল “every man honours the king, but no man obeys him। আদতে সম্রাট মাথায় বসে থাকতেন ঠিকই, আদত ক্ষমতা কিন্তু ছিল সুবাদার বা অধীন অমুসলমান রাজাদের হাতে।
প্রসন্নন পার্থসারথীর হোয়াই ইওরোপ গ্রিউ রিচ... থেকে
মন্তব্যগুলি
Somnath Roy সম্ভবতঃ আপনার লেখালেখির কারণেই মুঘল রাষ্ট্র কিছুদিন যাবৎ বেশ ভাবাচ্ছে। মুঘল রাষ্ট্র কতটা সমাজের মধ্যে ঢুকেছিল? ব্রিটিশ রাষ্ট্র শুরু হয় পুলিশ বাহিনী নির্মাণের মধ্যে দিয়ে। অধুনা আমরা যে রাষ্ট্র দেখি তা মোটের ওপর ব্রিটিশ ছাঁচই বহন করে। কিন্তু, এই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর আগে রাষ্ট্র কীভাবে সমাজের মধ্যে ঢুকতে পারত, সেটা আমি বুঝিতে পারি না। সেইজন্য মনে হয়, মুঘল আমল অবধি সমাজ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, রাষ্ট্রের পরিসর অনেক কম ছিল।
পরিচালনা করুন

Biswendu Nanda যেহেতু মুঘলদের বিষয়ে চরমতম সমালোচক এবং ইওরোপপন্থী যদুনাথ সরকারের মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন অনুবাদ করে বুঝেছি, শহরেরে বাইরে মুঘল রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন প্রতিনিধি ছিল না শুধু চৌকিদার ছাড়া, তাঁর মাইনে গ্রাম সমাজ দিত। শুধু বলা ছিল গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া পথিককে যদি লাঞ্ছনা, লুঠ, খুন করা হয় তাঁর দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট জমিদারের ওপর এবং তার বিচার হবে কাজির আদালতে। 
আচার্য প্রতিপদে বলছেন মুঘল সাম্রাজ্য দেশ থেকে এত কর তুলছে কিন্তু তাঁর কল্যাণমূলক কাজ কোথায়? ধরমপাল ঔরঙ্গজেবের চিঠি সূত্রে বলছেন সে সময় দেশ থেকে ২০ কোটি টাকা কর উঠত, দিল্লির জন্যে বরাদ্দ ছিল ২ কোটি। বাকি? ঐতিহাসিকেরা বলছেন লুঠ হয়ে যেত। তিনি বলছেন এটা বিভিন্ন এলাকায় বেঁটে যেত। নবাবি আমলের শেষের দিকে বাংলায় সরকার পোষিত সঙ্গঠন বা ব্যক্তি ছিলেন ১৭০০০। 
ফলে মুঘল সাম্রাজ্যকে নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। ব্রিটিশেরা নিজেদের লুঠ আড়াল করার জন্যে নানান কিছু তথ্য তৈরি করেছিল এটাও মনে রাখতে হবে।

পরিচালনা করুন

Munshi Meherullah মধ্যযুগের ইতিহাস তো আমরা আধুনিক যুগের ঐতিহাসিক দের থেকে পড়ি।আর আধুনিক শব্দটাই তো উপনিবেশিত।

মধ্যযুগে কি একাডেমিক ইতিহাস চর্চার উপাদান কম?

পরিচালনা করুন