Rajib প্রশ্ন করলেন
Biswendu দা, histirioghraphy er একটা methodology আছে। আমার প্রশ্ন, তুমি এই বিবরণ কোনো naration থেকে দিচ্ছো ? সেটার মান্যতা কিভাবে একসেপ্ট করবো ? তানসেন এর লেখাকে সঠিকধরে ?
---
আমাদের বক্তব্য
তানসেন এখানে উপলক্ষ্য মাত্র। তাঁর বক্তব্য উপস্থিত করছি, অনেকটা তাঁর সঙ্গে একমত হয়েই। অনেকেরই বক্তব্য উপস্থিত করেছি এর আগে। তানসেন সেন বলেছেন নালন্দা ইত্যাদি ধ্বংস হয়েছে ইসলামি আগ্রাসনে, আমরা মানি না। আমরা মনে করি বৌদ্ধ জনগণের পন্থ এই ধারণাটা সাম্প্রতিকের। যদি ধরেই নি মুসলমান রাজশক্তির হাতে তার বিলয় ঘটেছিল, তাহলে বিপুল বিশাল জনগণের জোর থাকলে সে আবার বেঁচেও উঠত - যেমনভাবে চৈতন্য লড়াই করে নব বৈষ্ণব ধর্ম বাঁচিয়েছিলেন। ২০০০ বছর ধরে রাজশশক্তি শ্রেষ্ঠীদের দানে গড়ে ওঠা বৌদ্ধ কাঠামোকে বাঁচাতে পারে নি জনগণের সম্মিলিত দান - কারণ জনগণ সেইভাবে ছিলই না বৌদ্ধপন্থে। মুষ্টিমেয় জনগণের অর্থ যথেষ্ট ছিল না সেই বিশাল কাঠামোকে বাঁচাতে। অথচ সামাজিক সরকারি সরাসরি বিনিয়োগের সাহায্য ছাড়াও মাদ্রাসা, মসজিদ পীরের থান বা মঠগুলো বেঁচে আছে আজও। রাজশক্তি জানে জনগনের মন কোন দিকে। তারা সেই দিকটা ঘাঁটায় না খুব একটা। কোন রাজশক্তির একটা পন্থের জ্ঞানচর্চার প্রমিত ধারাকে ধরাশয়ী করিয়ে দেওয়ার পরিমান ক্ষমতাশালী এবং ইচ্ছা যদিই থাকত, তাহলে ৬০০ বছর একাদিক্রমে উপমহাদেশে রাজত্ব করে, সারা দেশকে মুসলমানপন্থী করে দেওয়া খুব কঠিন ছিল কি? তাই এ বিষয়ে তানসেনের পক্ষী নই। আমরা আমাদের মতানুযায়ী ইতিহাসকে দেখছি।
Biswendu দা, histirioghraphy er একটা methodology আছে। আমার প্রশ্ন, তুমি এই বিবরণ কোনো naration থেকে দিচ্ছো ? সেটার মান্যতা কিভাবে একসেপ্ট করবো ? তানসেন এর লেখাকে সঠিকধরে ?
---
আমাদের বক্তব্য
তানসেন এখানে উপলক্ষ্য মাত্র। তাঁর বক্তব্য উপস্থিত করছি, অনেকটা তাঁর সঙ্গে একমত হয়েই। অনেকেরই বক্তব্য উপস্থিত করেছি এর আগে। তানসেন সেন বলেছেন নালন্দা ইত্যাদি ধ্বংস হয়েছে ইসলামি আগ্রাসনে, আমরা মানি না। আমরা মনে করি বৌদ্ধ জনগণের পন্থ এই ধারণাটা সাম্প্রতিকের। যদি ধরেই নি মুসলমান রাজশক্তির হাতে তার বিলয় ঘটেছিল, তাহলে বিপুল বিশাল জনগণের জোর থাকলে সে আবার বেঁচেও উঠত - যেমনভাবে চৈতন্য লড়াই করে নব বৈষ্ণব ধর্ম বাঁচিয়েছিলেন। ২০০০ বছর ধরে রাজশশক্তি শ্রেষ্ঠীদের দানে গড়ে ওঠা বৌদ্ধ কাঠামোকে বাঁচাতে পারে নি জনগণের সম্মিলিত দান - কারণ জনগণ সেইভাবে ছিলই না বৌদ্ধপন্থে। মুষ্টিমেয় জনগণের অর্থ যথেষ্ট ছিল না সেই বিশাল কাঠামোকে বাঁচাতে। অথচ সামাজিক সরকারি সরাসরি বিনিয়োগের সাহায্য ছাড়াও মাদ্রাসা, মসজিদ পীরের থান বা মঠগুলো বেঁচে আছে আজও। রাজশক্তি জানে জনগনের মন কোন দিকে। তারা সেই দিকটা ঘাঁটায় না খুব একটা। কোন রাজশক্তির একটা পন্থের জ্ঞানচর্চার প্রমিত ধারাকে ধরাশয়ী করিয়ে দেওয়ার পরিমান ক্ষমতাশালী এবং ইচ্ছা যদিই থাকত, তাহলে ৬০০ বছর একাদিক্রমে উপমহাদেশে রাজত্ব করে, সারা দেশকে মুসলমানপন্থী করে দেওয়া খুব কঠিন ছিল কি? তাই এ বিষয়ে তানসেনের পক্ষী নই। আমরা আমাদের মতানুযায়ী ইতিহাসকে দেখছি।
আমাদের সুবিধে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করি নি। ফলে কোন মডেল বা কোন পদ্ধতি বা কোন গুরু অনুসরণে আমাদের বাধ্যবাধকতা নেই।
সংগঠন আমাদের দলকে দায়িত্ব দিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাসে অনুপস্থিত কিন্তু ব্রিটিশপূর্ব সময়ে একচ্ছত্র উতপাদক কারিগরদের এবং তার সঙ্গে চাষীদের প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যের ইতিহাস জানা বোঝা এবং লেখার। তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করে কারিগরদের উৎপাদন ব্যবস্থার দর্শনে তাকে ফেলে নতুন ইতিহাসের গোড়াপত্তন করা। যেহেতু আমারা প্রচলিত অর্থে আজকের ইতিহাসবিদদের জন্য নির্দিষ্ট শিবির, পন্থা আর আদর্শয় যুক্ত নই তাই আমরা চরম বাম থেকে চরম ডান সব কিছুই পড়ি। কেন পড়ি তার আরেকটা ভাবনা আছে, এই অনুপস্থিত ইতিহাসে যদি এককণা হলেও অনুপস্থিত কারিগরদের তথ্য পাওয়া যায়।
সঙ্গঠন আমাদের নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশপূর্ব সময় এবং কোম্পানি রাজত্ব আর কিছুটা রাণীর রাজত্বে লুঠের এবং কারিগরদের প্রেক্ষিতে অনুপস্থিত তথ্য খুঁজে বার করা এবং একটা কাঠামো তৈরি করে কারিগরদের ইতিহাস লেখার।
তাই সাবঅল্টার্ন থেকে চরমতম আওরঙ্গজেব বিরোধী যদুনাথ সরকার পড়তে অসুবিধে হয় নি, ব্রিটিশরাজের সুখ্যাত-গায়ক সিরাজ বিরোধী পি জে মার্শাল, রজতকান্ত রায় তীর্থঙ্কর রায় থেকে ব্রিটিশ রাজের চরম বিরোধী সিরাজপন্থী সুশীল চৌধুরী বা রাষ্ট্রবাদী নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিনহা বা কে এন চৌধুরী কাউকেই আমরা পড়িতে ছাড়ি নি।
আমাদের কারিগরদের ইতিহাস লেখার নির্দিষ্ট ধারণা পদ্ধতি আছে, যা পশ্চিমি ইতিহাস লেখার পদ্ধতির সঙ্গে হুবহু মেলে না, তাই চাইলেও নানান গবেষণা পত্রিকায় সেইধাঁচের ইতিহাস লেখার বাধ্যবাধকতা থাকার জন্যে আমরা লিখি না।
---
কারিগরদের ইতিহাস আমরা কারিগর উৎপাদন ব্যবস্থা, কারিগরদের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লিখব। কোন নির্দিষ্ট ইতিহাস লেখার পদ্ধতি আমরা অনুসরণ করব না।
---
একটা উদাহরণ দিই। আমরা বর্তমান ইতিহাসচর্চার কয়েকটা ব্যতিক্রমী কয়েকটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি -
১) ব্রিটিশপূর্ব সমাজ চাষী-কারিগরের পালক ছিল, ক্ষমতার উপায় ছিল না প্রাতিষ্ঠনিকভাবে এদের ওপর সচেতন অত্যাচার নামিয়ে আনার,
২) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কারিগর অর্থনীতির গলায় ফাঁস পরায়, জমির বাজার ত্যৈরি করে চাষীকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া তৈরি করে
৩) নবজাগরণের উদ্দেশ্য ছিল দেশে কারিগর অর্থনীতির বিলয় এবং লুঠেরা অত্যাচারী কর্পোরেট অর্থনীতির গোড়াপত্তন আর ব্রিটিশপূর্ব সময়ে যে অধিকার কারিগরেরা পেত সেগুলির অবলুপ্তি।
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
---
এখান থেকে যা বুঝে নেওয়ার বুঝে নাও।
সংগঠন আমাদের দলকে দায়িত্ব দিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাসে অনুপস্থিত কিন্তু ব্রিটিশপূর্ব সময়ে একচ্ছত্র উতপাদক কারিগরদের এবং তার সঙ্গে চাষীদের প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যের ইতিহাস জানা বোঝা এবং লেখার। তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করে কারিগরদের উৎপাদন ব্যবস্থার দর্শনে তাকে ফেলে নতুন ইতিহাসের গোড়াপত্তন করা। যেহেতু আমারা প্রচলিত অর্থে আজকের ইতিহাসবিদদের জন্য নির্দিষ্ট শিবির, পন্থা আর আদর্শয় যুক্ত নই তাই আমরা চরম বাম থেকে চরম ডান সব কিছুই পড়ি। কেন পড়ি তার আরেকটা ভাবনা আছে, এই অনুপস্থিত ইতিহাসে যদি এককণা হলেও অনুপস্থিত কারিগরদের তথ্য পাওয়া যায়।
সঙ্গঠন আমাদের নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশপূর্ব সময় এবং কোম্পানি রাজত্ব আর কিছুটা রাণীর রাজত্বে লুঠের এবং কারিগরদের প্রেক্ষিতে অনুপস্থিত তথ্য খুঁজে বার করা এবং একটা কাঠামো তৈরি করে কারিগরদের ইতিহাস লেখার।
তাই সাবঅল্টার্ন থেকে চরমতম আওরঙ্গজেব বিরোধী যদুনাথ সরকার পড়তে অসুবিধে হয় নি, ব্রিটিশরাজের সুখ্যাত-গায়ক সিরাজ বিরোধী পি জে মার্শাল, রজতকান্ত রায় তীর্থঙ্কর রায় থেকে ব্রিটিশ রাজের চরম বিরোধী সিরাজপন্থী সুশীল চৌধুরী বা রাষ্ট্রবাদী নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিনহা বা কে এন চৌধুরী কাউকেই আমরা পড়িতে ছাড়ি নি।
আমাদের কারিগরদের ইতিহাস লেখার নির্দিষ্ট ধারণা পদ্ধতি আছে, যা পশ্চিমি ইতিহাস লেখার পদ্ধতির সঙ্গে হুবহু মেলে না, তাই চাইলেও নানান গবেষণা পত্রিকায় সেইধাঁচের ইতিহাস লেখার বাধ্যবাধকতা থাকার জন্যে আমরা লিখি না।
---
কারিগরদের ইতিহাস আমরা কারিগর উৎপাদন ব্যবস্থা, কারিগরদের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লিখব। কোন নির্দিষ্ট ইতিহাস লেখার পদ্ধতি আমরা অনুসরণ করব না।
---
একটা উদাহরণ দিই। আমরা বর্তমান ইতিহাসচর্চার কয়েকটা ব্যতিক্রমী কয়েকটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি -
১) ব্রিটিশপূর্ব সমাজ চাষী-কারিগরের পালক ছিল, ক্ষমতার উপায় ছিল না প্রাতিষ্ঠনিকভাবে এদের ওপর সচেতন অত্যাচার নামিয়ে আনার,
২) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কারিগর অর্থনীতির গলায় ফাঁস পরায়, জমির বাজার ত্যৈরি করে চাষীকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া তৈরি করে
৩) নবজাগরণের উদ্দেশ্য ছিল দেশে কারিগর অর্থনীতির বিলয় এবং লুঠেরা অত্যাচারী কর্পোরেট অর্থনীতির গোড়াপত্তন আর ব্রিটিশপূর্ব সময়ে যে অধিকার কারিগরেরা পেত সেগুলির অবলুপ্তি।
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
---
এখান থেকে যা বুঝে নেওয়ার বুঝে নাও।