Chapter 5: Why the Fries Taste Good, আলু ভাজায় কেন এত সোয়াদ
“The
fries on the plate looked wildly out of place in this laboratory setting, this
surreal food factory with its computer screens, digital readouts, shiny steel
platforms, and evacuation plans in case of ammonia gas leaks.”
শুরুতেই লেখক, পাঠককে নিয়ে যাচ্ছেন আইডাহোয় জে আর সিমপ্লটের আলু ভাজার (ফ্রেঞ্চফ্রাই) আলু প্রক্রিয়া করনের কারখানায়। সিমপ্লটও কর্কের সময়ের মানুষ। জন্মান ১৯০৯য়ে আইওয়ায়। আমেরিকার সবথেকে বড় আলু প্রস্তুতকারী ও প্রক্রিয়াকারি সংস্থা। ডিজনি, কর্কেরমত তিনিও পড়ার মাঝেই ১৫ বছর বয়সে পাঠশালা ছেড়ে দেন। ১৯৪১এ বিশ্বযুদ্ধে যাওয়া আমেরিকার সেনার জন্য গুঁড়ো পেঁয়াজে সরবরাহ করে অপরিমিত অর্থ লাভ করবেন। তিনি তার নাম দেবেন সোনার গুঁড়ো।
ঐতিহাসিক হারভে লিভেন্সটাইনের কথা ধার করে তিনি বলছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকায় শুরু হল খাদ্য প্রক্রিয়া করণের সোনালি যুগের। রান্না ঘরের জন্য সব খাবারই এসেগেল ঠাণ্ডা মোড়কে - The 1950s soon became “the Golden Age of Food
Processing,” in the words of historian Harvey Levenstein, a decade in which one marvelous
innovation after another promised to simplify the lives of American housewives:
frozen orange
juice, frozen TV dinners, the Chicken-of-Tomorrow, “Potato salad from a
package!”, Cheese Whiz, Jell-O salads, Jet-Puffed Marshmallows, Miracle Whip। ফলে ইলেকট্রিকে চলা নানান ধরণের রান্না ঘরের সরঞ্জাম বাজারে ছেয়ে গেল।
১৯৫২ থেকে সিমপ্লট, মোড়কে ফ্রোজেন ফ্রাই বিক্রি করা শুরু করেন। তিনি কর্কের সঙ্গে দেখা করলেন ১৯৬৫তে। কর্ক বুঝলেন এতে তার শুধু অর্থ সাশ্রয় হবে তাই নয়, সময়ও বাঁচে। ৭২৫টি দোকান দিয়ে শুরু করলেন কর্ক, এক দশকের মধ্যেই ৩০০০ দোকানে বিক্রি হতে শুরু করে। আমেরিকার বাজারে ফ্রোজেন ফ্রাইএর রমরমা বোঝা যাবে এই সুত্রে- ১৯৬০এ একজন গড় আমেরিকান ৮৪ পাউন্ডের মত আলু খেত আর ৪ পাউন্ড ফ্রোজন ফ্রাই খেত। আজ (২০০এ) প্রতি পূর্ণবয়স্ক আমেরিকান ৪১ পাউন্ড আলুখায় ৩০ পাউন্ডেরো বেশি ফ্রোজন ফ্রাই খায়। সিমপ্লটের সব থেকে ছোট, সব থেকে পুরনো কারখানায় দৈনিক ১০ লক্ষ পউন্ডের আলু প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
এছাড়াও তিনি আমেরিকার কৃষির নানান দিক নিয়েও আলোচনা করেছেন বেশ বিশদে। তার শেষ কয়েকটি স্তবক তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না- By embracing this industrial model of agriculture — one that focuses
narrowly on the level of inputs and outputs, that encourages specialization in
just one crop, that relies heavily on chemical fertilizers, pesticides, fungicides,
herbicides, advanced harvesting and irrigation equipment — American farmers
have become the
most productive farmers on earth. Every increase in productivity, however, has
driven more American farmers off the land. And it has left those who remain beholden to the
companies that supply the inputs and the processors that buy the outputs.
William Heffernan, a professor of
rural sociology at the University of Missouri, says that America’s agricultural
economy now resembles an hourglass. At the top there are about 2 million ranchers and farmers;
at the bottom there are 275 million consumers; and at the narrow portion in the
middle, there are a dozen
or so multinational corporations earning a profit from every transaction. যে প্রক্রিয়ার কথা তিনি আমেরিকায় বলছেন, সেই দিকে কি ভারতের কৃষি আজ এগোচ্ছে না?
কেন এত সোয়াদ?
ম্যাকডোনাল্ডের আলু ভাজার সুখ্যাতি সারা বিশ্বে। কেন? তারা যে তেল ব্যবহার করে ৭ শতাংশ তুলোর দানার তেল আর ৯৩ শতাংশ গরুর চর্বির মিশ্রণ। তাদের গরুর মাংসের হ্যামবার্গারের থেকে অনেক বেশি স্যাচুরেটেড চর্বি থাকত এই ভাজায়। ফলে খেতেও বেশ স্বাদ হত। ১৯৯০ থেকে ম্যাকডোনাল্ড ভাজায় পুরো বনস্পতির তেল ব্যবহার করতে শুরু করে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠল, এতে স্বাদ কি এক থাকবে? স্বাদের একটা বড় অংশ গন্ধ। ফলে তারা বিশেষ ধরণের গন্ধ ব্যবহার করতে শুরু করল। আমেরিকানদের খাবারের বাজেটের ৯০ শতাংশ ব্যয় হয় প্রক্রিয়াজাত খাবার কিনতে। কিন্তু কৌটো ভরে, জল ঝরিয়ে, ফ্রিজে রাখার প্রক্রিয়াতেই নষ্ট হয়ে যেত সমস্ত গন্ধ। ফলে আমেরিকায় নতুন এক ধরণের ব্যবসা গজয়ে উঠল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর - Since the end of World War II, a vast industry has arisen
in the United States to make processed food palatable. Without this flavor industry, today’s fast food industry
could not exist. The names of the leading American fast food chains and the
bestselling menu items have become
famous worldwide, embedded in our popular culture. Few people, however, can
name the companies that manufacture fast food’s taste.
এরিক এবারে পাঠককে নিয়ে যাচ্ছেন একটি গন্ধ তৈরি করার কারখানায়। এই অভিজ্ঞতাটি তুলে রাখা হল পাঠকে জন্য। মোটামুটি খাদ্যের মোড়কের ওপর দুটি শব্দ লেখা থাকে, স্বাভাবিক গন্ধ, নাচুর্যাল ফ্লেভারস। কিন্তু তিনি বলছেন, সব স্বাভাবিক গন্ধই শরীরের পক্ষে সুখকর নয়, চটজলদি খাবারের মতই।
No comments:
Post a Comment