Friday, August 30, 2013

কবিকঙ্কণ চণ্ডী - জনার্দ্দন পণ্ডিতের পাত্র নির্বাচন, Kabikankan Chandi - Groom for Khullana

সম্প্রতি কবিকঙ্কণ চণ্ডী পড়লাম। ১৪৬৬ শকাব্দে (১৫৪৪ সালে) লেখা এই উপন্যাসের তিনটি অংশে - প্রথমে দেব খণ্ড, পরেরটি আখেটিক খণ্ড শেষটি বণিক খণ্ড - শেষ দুই খণ্ড এমন কিছু রচনা রয়েছে, তা উল্লেখ্য - কেননা বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সে সময়ের বাংলার সামাজিক বিবরণ এই লেখা থেকে পাওয়া যায়। 
কয়েকটি পোষ্ট আগে আমি লিখেছিলাম সাধুর পিতার শ্রাদ্ধে এই বেনেরা উপস্থিত হন - আদতে সেটি একটি পরোক্ষ সূত্র থেকে নেওয়া। কিন্তু চন্ডী পড়তে গিয়ে দেখা গেল সেটি আদতে খুল্লনার পাত্র নির্বাচনে জনার্দ্দন পণ্ডিতের নিদান। 
অন্যের দেওয়া তথ্য নির্ভর করে ভুল করেছিলাম - কেননা চণ্ডী আমার হাতের কাছেই ছিল। তার প্রায়শ্চিত্ত করলাম চণ্ডী থেকে আমার পছন্দসই অন্ততঃ দশ পাতা নকল করে। 

এই পর্বে জনার্দ্দন পণ্ডিত রাঢ বাংলার বণিক পরিবার ছেনে ধনপতিকে খুজে দিচ্ছেন খুল্লনার পিতাকে। 
সেই পঙক্তি হতে প্রাসঙ্গিক কয়েক লাইন তুলে দেওয়াগেল। 

আগামি দিনে কবিকঙ্কণ চণ্ডী থেকে আরও কিছু সামাজিক বক্তব্য তুলে দেওয়া যাবে।

এটি ধনপতি সদাগরের উপাখ্যান থেকে নেওয়া।


এমন বচন শুনি               দ্বিজবর বলে বাণী
          শুন লক্ষপতি সদাগর।
যত আছে গন্ধ বেণে,          সব দেখই মনে গণে,
          খুল্লনার যোগ্য নাহি বর।
যেবা চাঁদ সদাগর,             তাঁর নাতি আছে বর
          যার ঘর চম্পক নগরী।
তাঁর সনে কৈলে কাজ,         সভাতে পাইবে লাজ,
          জাতি নাশ কৈল বিষহরি।।
বর্দ্ধমানের ধূস দত্ত,            যার বংশে সোম দত্ত
          মহাকুল বেণের প্রধান।
বাশুলীর প্রতিদ্বন্দ্বী,             দ্বাদশ বৎসর বন্দী
          বিশালক্ষী কৈল অপমান।।
মহাস্থান সাত গাঁ,              যথা বৈসে রাম দাঁ,
          তাঁর শুন কুলের বাখান।
মড়ায় পূর্ণিত বাড়ী,             বাসা দিয়া লয় কড়ি
          তাঁর ঘর শ্মশান সমান।।
হরি দত্ত বড়সুলে               তব সম নহে কুলে
          রাজা তাঁর কইল অপমান।
ফতেপুরে রাম কুণ্ডু,            সে বেটা লুণে ভণ্ড
          সে নহে তোমার সমান।।
করজ্জনার হরি লা,             নাহি পোষে বাপ মা,
          প্রভাতে না করি তাঁর নাম।
ভাল্লকির সোমচন্দ,             সে জন কোপোত ছন্দ
          ভিক্ষা পথে শূন্য তার ধাম।।

Friday, August 23, 2013

রূপকথার শেকড়বাকড় || পরিমল ভট্টাচার্য

[এর আগের পোস্টেই কর্ণাটকের পশ্চিমঘাট পাহাড়ের ওপর উন্নয়নের আঘাতের যে ধারাবাহিক বিশদ বিবরণ দিচ্ছি, তারই পূর্ব পারে ধংস লীলার আরও একটা রূপ প্রত্যক্ষ্য করলেন লেখক। এটি গুরুচণ্ডালী ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। নিচে মূল সাইটের লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে যেতেও পারেন।]
---
পূর্বঘাট পর্বতমালায় এক আশ্চর্য পাহাড়, সেখানে শত শত বছর ধরে বসবাস করছে এক বর্ণময় “আদিম” জনজাতি। ওই পাহাড় তাদের দেবতা, অন্নদাতাও। একদিন এল এক মহাশক্তিধর খনি কোম্পানি, খাদান খোঁড়ার তোড়জোড় শুরু করল পাহাড়ের মাথায়। জনজাতির মানুষেরা বাধা দিল, শুরু হল লড়াই – টিকে থাকার, ওই পাহাড়ের অতুলনীয় জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার। একুশ শতকের ভারতবর্ষে এ যেন এক ঘটমান রূপকথা।
এই রূপকথার টানে গিয়েছিলাম নিয়মগিরিতে, ২০১০ সালের নভেম্বরে। ফেরার পথে ভবানীপাটনায় (কলাহান্ডির জেলা সদর) পরিচয় হল প্রবীণ গান্ধিবাদী সাংবাদিক জীবননাথ পাধির সঙ্গে। তিনি বললেন – “ ওড়িশার উপজাতি মানুষের বাঁচা-মরার হদিশ নিতে এত দূর থেকে কষ্ট করে এসেছেন, দেখে সত্যি খুব ভাল লাগছে। কিন্তু কিছু মনে করবেন না, আপনি একটা কাহিনী মাঝখান থেকে পড়তে শুরু করেছেন। নিয়মগিরিতে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে লড়াই দেখলেন, সেটা এই রাজ্যে শুরু হয়েছিল তিরিশ বছর আগে, গন্ধমার্দন পাহাড়ে। বালকো-র (BALCO) বক্সাইট খনির বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল স্থানীয় জনজাতির মানুষ। যদি গল্পের শুরুটা পড়তে চান তো সেখানে যান একবার। সেই সময়কার মানুষদের কেউ কেউ এখনও বেঁচে আছে, পাহাড়টাও আছে।“
রামায়ণের গন্ধমার্দন বিশল্যকরণীর পাহাড়, যা হনুমান হিমালয় থেকে উপড়ে নিয়ে উড়ে গিয়েছিল লঙ্কায়। বাস্তবের গন্ধমার্দন পূর্বঘাট পর্বতমালার একটি শিরা, বরগড় আর বোলাঙ্গির জেলার সীমান্তে, সম্বলপুর থেকে ১৬৪ কিলোমিটার দূরে। দেড় শতাধিক ঝর্ণা আছে এই পাহাড়ে। নিয়মগিরির মতো চাষবাস বা মানুষের বসতি নেই, তার বদলে রয়েছে গভীর ক্রান্তীয় অরণ্য – প্রায় ২২ হাজার প্রজাতির অ্যাঞ্জিওস্পার্ম বা পুষ্পল উদ্ভিদ, যার মধ্যে কয়েকশো প্রজাতি দুস্প্রাপ্য ওষধি গুণসম্পন্ন। আর রয়েছে দুটি প্রাচীন মন্দির; একটি শিবের, অন্যটি নৃসিংহনাথ বিষ্ণুর। নৃসিংহনাথ মন্দিরটি ছশো বছরের পুরনো, স্থানীয় হিন্দু ও জনজাতির মানুষের পবিত্র তীর্থস্থান। এছাড়া রয়েছে হাজার বছর আগের এক বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ, যার বর্ণনা আছে হিউ এন সাঙের বৃত্তান্তে। এও এক ঘটমান রূপকথা, যার সাম্প্রতিকতম অধ্যায়টি লেখা হয়েছে মাত্র তিন দশক আগে, স্থানীয় আদিবাসীদের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে। স্বাধীন ভারতে পরিবেশবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে গন্ধমার্দন একটি সার্থক ও ব্যতিক্রমী অধ্যায়।
নিয়মগিরির গল্পের শিকড়বাকড়ের সন্ধানে এরপর গিয়েছি গন্ধমার্দনে, দর্শন পেয়েছি এক বিনঝল নারীরঃ নিরক্ষর এক বৃদ্ধা, তিরিশ বছর আগে পুলিশ সুপারের জিপের সামনে দুটি চাকার নীচে শুইয়ে দিয়েছিলেন কোলের দুই শিশুকে।
- নিজের বাচ্চার প্রাণের মায়া নেই তোমার? পুলিশকর্তা বলেছিল।
- এই পাহাড়ের জলে আমাদের চাষ হয়, বনের গাছগাছড়ায় অসুখ সারে, ওখানে আমাদের দেবতা নরসিংনাথ থাকেন। পাহাড়ে খাদান হলে আমরা সবাই মরব। আর আমি মরলে তো আমার বাচ্চারাও মরবে। তাই ওদের কথা ভেবেই এটা করছি। চালাও, চালিয়ে দাও! বলেছিলেন সেই নারী।
বক্সাইটের সন্ধানে গন্ধমার্দনের মাথায় ব্লাস্টিং হয়, প্রাচীন মন্দিরে চিড় ধরে, প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় কন্ধ আর বিনঝলরা রাতারাতি পাহাড়ে বালকো-র ট্রাক যাবার রাস্তায় পাথর পুঁতে মন্দির বানিয়ে পুজো শুরু করে দেয়। নাম হয় বালকো-খাই দেবীর মন্দির। সেই মন্দির আজও আছে। রোজ সকালবেলায় এক আদিবাসী রমণী এসে বাবুই ঘাসের ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দিয়ে যায়। কখনও কেউ এসে লাল সুতো জড়িয়ে দিয়ে যায় অবয়বহীন পাথরে। এছাড়া সারাদিন নির্জন পড়ে থাকে। পুরনো একটা মেহগনি গাছ থেকে বাদামি পাতার বৃষ্টি ঝরে।
এইসব জীবন্ত গল্পগুলো নিয়ে ফিরে এসে একটি বই লিখেছিলাম বছর দুয়েক আগে, নাম – “সত্যি রূপকথা ঃ সভ্যতা, উন্নয়ন ও ওড়িশার এক উপজাতির জীবনসংগ্রাম”। কিন্তু তারপরেও গল্পগুলো তাড়া করে ফিরছে আমায়, তার কারণ তারা লেখা হয়ে চলেছে আজও, স্থানীয় মানুষের হাতে। সন্দেহ নেই, আজকের এই অদ্ভুত আঁধারময় সময়ের উজ্জ্বলতম ইতিহাস লেখা হচ্ছে। ( দেশের মিডিয়া আশ্চর্য নীরব, কিন্তু আজকের সংযোগ প্রযুক্তির যুগে তার হালহদিশ রাখা কিছু কঠিন নয় আর।)
সেই সূত্রেই গুরুচণ্ডালীর সম্পাদকের নির্দেশমত লিখে ফেললাম “রূপকথার নটেগাছ মুড়োয় না”। মন্তব্যের সুতোয় পাঠকেরা সমর্থনে সমালোচনায় আমায় অনুপ্রাণিত কৃতজ্ঞ করেছেন, ফেসবুকে বার্তাও পাঠিয়েছেন। সব্বাইকে ধন্যবাদ। কেউ কেউ হয়তো মনে করেছেন লেখাটি ধারাবাহিক, চলবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এই বিষয়ে নতুন কিছু বলার মতো রসদ আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমেনি। এতদূর থেকে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণাত্মক কিছু লেখা হয়তো যায়, কিন্তু আমার মনে হয় নিয়মগিরির (কিম্বা গন্ধমার্দনের) কাহিনির অনুপম বিশিষ্টতা ধরা যায় কেবলমাত্র তার দৃশ্য শব্দ গন্ধের ভেতর দিয়ে। “সত্যি রূপকথা” বইতে সেই চেষ্টাই করেছি। একদল মেধাবী নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও তথ্যচিত্রনির্মাতা কাজ করে চলেছেন নিরলস। উৎসাহীরা Save Niyamgiri নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে তার কিছু হদিশ পাবেন, নিয়মগিরির চিত্ররূপময় পৃথিবীর একটা আভাস পাবেন।

bakita :http://www.guruchandali.com/default/2013/08/20/1376956942986.html#.UhNrHj-KmNE

National Green Tribunal order Status Quo on activities of DRDO, BARC, ISRO, IISc, et. al., in Challakere, Chitradurga

বন্ধুরা, ২৬ জুলাইএর পোস্টে জানিয়েছিলাম, ভারতের ভীষণ এক গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বিভিন্নতার এলাকা, অমৃত মহল কাভাল, যা আসলে ভারতের বিস্তীর্ণ পশ্চিমঘাট এলাকার ঘাসজমির বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভারত সরকার উন্নয়নের নামে সেটি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়, ব্যক্তিগত কর্পোরেটদের উপহার  দিয়েছিল নামমাত্র মুল্যে। এর বিরুদ্ধে ইএসজি নানান পদক্ষেপ করছে। 
এই কাজে নতুন এক রায় হয়েছে। তার বিশদ আপনাদের তুলে দেওয়া গেল।

In an unprecedented decision, the Hon'ble National Green Tribunal (South Zone), Chennai, ordered today status quo on all project activities proposed in the Amrit Mahal Kaval grassland ecosystems of Challakere Taluk, Chitradurga, Karnataka with immediate effect. The directions were issued on the interim prayers filed in Applications by the undersigned which complained that Defence Research Development Organisation, Indian Institute of Science, Indian Space Research Organisation, Bhabha Atomic Research Centre, Karnataka Small Scale Industries Development Corporation, Karnataka Housing Board, Sagitaur Pvt. Ltd. have commenced project activities in these ecologically sensitive areas in comprehensive violations of laws protecting the environment, wildlife, forests, people's rights, etc. The Tribunal in its order has also directed the Karnataka State Pollution Control Board to review any pending applications for clearances sought from project proponents in due accordance with law over the next fortnight. The case has been posted for hearing again on 17th September 2013.
ESG through its Counsel, Mr. T. Mohan submitted that findings of the Committee establish beyond any doubt that the area that has been diverted to the projects is Amrit Mahal Kaval grassland ecosystems, which per the Karnataka Forest Act are deemed District Forests. Thus, the entire diversion is in contravention of the Forest Conservation Act, and the direction of the Hon'ble Supreme Court in Godavarman case. In addition, the project proponents have commenced activities without securing any clearance under environmental and pollution control laws of India. Thus, arguing, that this is a fit case to grant interim prayer of stay on ongoing activities.

The undersigned Party in Person submitted a detailed reply to the Report of the Fact Finding Committee, which is supported by ESG, critiqueing the findings of the Committee.  Various subject experts and organisations from across the world have also critiqued the findings of the Fact Finding Committee, which were submitted as part of this Reply to the Tribunal.  These documents may be accessed here:  http://esgindia.org/campaigns/press/national-green-tribunal-orders-status-qu.html







Leo F. Saldanha

Bhargavi S. Rao

Trustee Representing

Party in Person

Applicant 6/2013

Environment Support Group

Applicant 12/2013

Applicants before the Hon'ble National Green Tribunal




Background



At the time of independence, there were over 4 lakh acres of Amrit Mahal Kavals, grassland ecosystems set aside as grazing pastures, supporting the livelihoods of thousands of pastoral families. In subsequent decades the Government of Karnataka has diverted large swathes of such ecologically sensitive, biodiversity rich landscapes that supported thousands of pastoral livelihoods to a variety of purposes. At present less than 30,000 acres of Kavals exist in the entire state of Karnataka. Such rapid depletion of grasslands present a clear and present danger to the survival of the Great Indian Bustard and Lesser Florican, critically endangered birds who exclusively depend on these ecosystems.  Latest figures suggest less that 250 individuals of the bustards survive in all of South Asia, making it a species more at the threat of extinction than the tiger.  



In recent years, a variety of industrial, defence, infrastructure and institutional investments have been proposed in the Amrit Mahal Kaval of Challakere Taluk of Chitradurga district, Karnataka. Since 2009, the Government of Karnataka has systematically diverted these Kaval grasslands for the establishment of a massive weaponised drone testing and manufacturing facility by DRDO, a major nuclear fuel enrichment plant by BARC, a synchrotron by IISc, a space applications centre by ISRO, and also a massive solar power plant by an unknown company called Sagitaur. In addition, there are various other associated industrial and infrastructure developments proposed, both Indian and foreign, especially in the defence manufacturing sector which has recently been opened up for foreign direct investment. In all about 10,000 acres of the Kaval land, constituting the largest remaining contiguous stretch of semi-arid grasslands in Karnataka, have been committed to these projects already. It is likely that far more land would be diverted, which could include densely populated villages, for more such projects and their expansions in Challakere.



In formulating all of these decisions, and also in diverting the Kaval grasslands, none of the local elected bodies or impacted communities were consulted. In fact, they learnt about the diversion when these Kavals, which are their pastoral lands and areas of cultural importance, were blocked off by massive high-security double containment walls built by the investing agencies in recent months. None of these agencies secured any of the statutory clearances, including environmental and forest, and yet their activities have been tolerated by a host of regulatory agencies. Specific directions of the Karnataka High Court in 2001 not to divert any Kavals henceforth, and subsequent State Government circulars conforming with this direction, have been comprehensively flouted while diverting the Kavals. As a matter of fact, then Deputy Commissioner of Chitradurga, Mr. Amlan Biswas, misguided the Government on the intent of the High Court directive by mis-quoting the order of the Karnataka High Court in promoting such illegal diversions of thousands of acres of land, to private companies too, for a monetary consideration.



Impacted communities and various public interest groups have challenged these diversions before the National Green Tribunal and in the Karnataka High Court. A host of concerns and violations have been brought to the attention of the judiciary, including destruction of sensitive ecosystems, massive displacement of pastoral and agrarian communities, potential local extinction of highly endangered and critically threatened species of flora and fauna (Eg. Black Buck, Great Indian Bustard, Lesser Florican, etc.), and comprehensive violation of environmental, social justice, forest rights, and other laws, as well as a variety of policies and guidelines, both national and international. A copy of some of these petitions and the responses secured can be accessed at: http://tinyurl.com/qhxh8p3.



The Tribunal, in response, constituted an Expert Committee consisting of Dr. S. Ravichandra Reddy and Dr. K. V. Anantharaman to go into the various allegations made by all parties and produce a report based on facts, and that after visiting the impacted area and meeting all concerned. A copy of the order along with the TOR for the Committee is accessible at:http://tinyurl.com/cd5f6ws. The Committee visited the villages during 23rd–25th May 2013 when they also conducted 5 public hearings covering about 70 affected villages. Various detailed submissions of the illegalities and environmental and social impacts were made by local communities and environmental and social action groups, and these may be accessed at:http://tinyurl.com/msdjquu.



While the general expectation was that the Fact Finding Committee would produce a thorough analysis of the situation and present a well argued set of conclusions and recommendations, quite in contrast and rather disappointingly, the Committee has uncritically leaned comprehensively on the claims of the Project Proponents as though they were facts and produced a report that does not in the least meet the expected standards of scientific reasoning and logical analysis. None of the submissions made by impacted communities and various environmental and social action groups have been considered meaningfully and critically. A copy of the report of the Fact Finding Committee can be accessed at: http://tinyurl.com/msdjquu.



The reply to the Report of the Fact Finding Committee filed by Environment Support Group can be accessed here: http://esgindia.org/campaigns/press/national-green-tribunal-orders-status-qu.html

সংবাদপত্রে, সমাচার চন্দ্রিকায় এক চরকা কাটনির দরখাস্ত, Letter of a Charka Lady to a News Paper, Samacar Chandrika

শ্রীযুত সমাচার পত্রকার মহাশয়। আমি স্ত্রীলোক অনেক দুঃখ পাইয়া এক পত্র প্রস্তুত করিয়া পাঠাইতেছি আপনারা দয়া করিয়া আপনারদিগের আপন ২ সমাচারপত্রে প্রকাশ করিবেন শুনিয়াছি ইহা প্রকাশ হইলে দুঃখ নিবারণকর্ত্তারদিগের কর্ণগোচর হইতে পারিবেক তাহা হইলে আমার মনস্কামনা সিদ্ধ হইবেক অতয়েব আপনারা আমার এই দরখাস্তপত্র দুঃখিনী স্ত্রীর লেখা জানিয়া হেয়জ্ঞান করিবেন না।

আমি নিতান্ত অভাগিনী আমার দুঃখের কথা তাবৎ লিখিতে হইলে অনেক কথা লিখিতে হয়। কিন্তু কিছু লিখি যখন আমার সাড়ে পাঁচ গণ্ডা বয়স তখন বিধবা হইয়াছি কেবল তিন কন্যা সন্তান হইয়াছিল। বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়ি আর ঐ তিনটি কন্যা প্রতিপালনের কোন উপায় রাখিয়া স্বামি মরেন নাই তিনি নানা ব্যবসায়ে কাল যাপন করিতেন আমার গায়ে যে অলঙ্কার ছিল তা বিক্রয় করিয়া তাঁহার শ্রাদ্ধ করিয়াছিলাম শেষে অনাভাবে কএক প্রাণী মারা পড়িবার প্রকরণ উপস্থিত হইল তখন বিধাতা আমাকে এমত বুদ্ধি দিলেন যে জাহাতে আমারদিগের প্রাণ রক্ষা হইতে পারে অর্থাৎ আসনা ও চরকায় সুতা কাটিতে আরম্ভ করিলাম প্রাতঃকালে গৃহকর্ম্ম অর্থাৎ পাটি ঝাট্টি করিয়া চরকা লইয়া বসিতাম বেলা দুই প্রহর পর্য্যন্ত কাটনা কাটিতাম প্রায় এক তোলা সুতা কাটিয়া স্নানে যাইতাম স্নান করিয়া রন্ধন করিয়া শ্বশুর শাশুড়ি আর তিন কন্যাকে ভোজন করাইয়া পরে আমি কিছু খাইয়া সরু টেকো লইয়া আসনা সূতা কাটিতাম তাহাও প্রায় এক তোলা আন্দাজ কাটিয়া উঠিতাম এইপ্রকার সূতা কাটিয়া তাঁতিরা বাটীতে আসিয়া টাকায় তিন তোলার দরে চরকার সূতা আর দেড় তোলার  দরে সরু আসনা সূতা লইয়া যাইত এবং যত টাকা আগামি চাহিতাম তৎক্ষণাৎ দিত ইহাতে আমাদের অন্ন বস্ত্রের কোন উদবেগ ছিল না পরে ক্রমে ২ ঐ কর্ম্মে বড়ই নিপুন হইলাম কএক বৎসরের মধ্যে আমার হাতে সাত গণ্ডা টাকা হইল এক কন্যার বিবাহ দিলাম ঐ প্রকারে তিন কন্যার বিবাহ দিলাম তাহাতে কুটুম্বতার যে ধারা আছে তাহার কিছু অন্যথা হইল না রাঁড়ের মেয়্যে বলিয়া কেহ ঘৃনা করিতে পারে নাই কেননা ঘটক কুলীনকে যাহা দিতে হয় সকলি করিয়াছি ততপরে শ্বশুরের কাল হইল তাঁহার শ্রাদ্ধে এগার গণ্ডা টাকা খরচ করি তাহা তাঁতিরা আমাকে কর্জ্জ দিয়াছিল দেড় বৎসরের মধ্যে তাহা শোধ দিলাম কেবল চরকার প্রাসাদাৎ  এত পর্য্যন্ত হইয়া ছিল এক্ষনে তিন বৎসরাব্ধি দুই শাশুড়ি বধূর অন্নাভাব হইয়াছে সূতা কিনিতে তাঁতি বাটীতে আসা দূরে থাকুক হাটে পাঠাইলে পুর্ব্বাপেক্ষা সিকি দরেও লয় না ইহার কারন কি কিছুই বুঝিতে পারি না অনেক লোককে জিজ্ঞাসা করিয়াছি অনেকে কহে যে বিলাতি সূতা বিস্তর আমদানি হইতেছে সেই সকল সূতা তাঁতিরা কিনিয়া কাপড় বুনে। আমার মনে অহঙ্কার ছিল যে আমার যেমন সূতা এমন কখন বিলাতি সূতা হইবেক না পরে বিলাতি সূতা আনাইয়া দেখিলাম আমার সূতা হইতে ভাল বটে তাঁহার দর শুনিলাম ৩।৪ টাকা করয়া সের আমি কপালে ঘা মারিয়া কহিলাম হা বিধাতা আমা হইতে দুখিনি আর আছে পুর্ব্বে বিলাতে তাবৎ লোক বড় মানুষ বাঙ্গালি সব কাঙ্গালী এক্ষণে বুঝিলাম আমা হইতেও সেখানে কাঙ্গালিনী আছে কেননা তাঁহারা যে দুঃখ করিয়া এই সূতা প্রস্তুত করিয়াছে সে দুঃখ আমি বিলক্ষণ জানিতে পারিয়াছি এমত দুঃখের সামগ্রী সেখানকার হাটে বাজারে বিক্রয় হইল না একারণ এ দেশে পাঠাইয়াছেন এখানেও যদি উত্তম দরে বিক্রয় হইত তবে ক্ষতি ছিল না তাহা না হইয়া কেবল আমারদিগের সর্ব্বনাশ হইয়াছে সে সূতায় যত বস্ত্রাদি হয় তাহা লোকে দুই মাসও ভালরূপে ব্যবহার করিতে পারে না গলিয়া যায় অতয়েব সেখনাকার কাটনিদিগকে মিনতি করিয়া বলিতেছি যে আমার এই দরখাস্ত বিবেচনা করিলে এদেশে সূতা পাঠান উচিত কি অনুচিত জানিতে পারিবেন। শান্তিপুর কোন দুঃখিনী সূতা কাটনির দরখাস্ত। সং চং

(সমাচার চন্দ্রিকা, ৫ জানুয়ারি ১৮২৮, ২২ পৌষ ১২৩৪)

Thursday, August 22, 2013

Ivory artisans of Murshidabad3, মুর্শিদাবাদের হাতির দাঁতের কারিগর৩


হাতির দাঁতের কারিগরদের কর্মশালা ১৮৫১র ছবি

The first thing the carver does is to cut a block of
ivory of sufficient bulk for the article required. On this a
tracing of the object to be carved is drawn in pencil, but
sometimes the design is sketched on paper. A clever workman
can carve without any preliminary sketch, if the article to be
manufactured is one which he is accustomed to carve. After this,
the model is roughly shaped by means of chisels, large and small,
according to the size of the parts to be chiselled oil. Then files of
different sizes and fineness are employed to work the model into a
finer shape, and drills of different sizes are used to drill holes for
perforated work. Finishing touches are given with an iron
stylus, which the carvers call by tbe common name for a pen,

kalam. The kalams are of vaiious degrees of fineness, some as fine
as needles and others like knives or sketch-erasers. When the
model has been brought exactly to the designed shape, it is soaked
in water for some time, and the surface is polished, first with fish
scales and lastly with common chalk. For fastening figures
into stands and for joining parts, email ivory pegs are used.
For turning, a heavy lathe is used. When they have to carve
from a new pattern, and they find that none of their existing
tools are suitable or fine enough for the work, the Bhaskars will
at once improvise a suitable tool, in the middle of their
work.

The following list of the articles produced by the carvers is
given in Mr. Gr. C. Dutt's Monograph on Ivory Carving in Bengal.
Formerly they supplied a local demand for images of the gods,
but now for the most part turn out an assortment of table orna-
ments and knick-knacks, mainly for the European market : -

হাতির দাঁতের কাজ করা আসবাবপত্র, লন্ডনের একটি নিলাম সংস্থার ছবি


no
Articles
prices
Remarks
1
2
3
4
1
Alphabet
1 to 1½ annas per letter

2
Durga(the ten handed goddess, with her attendant gods and goddesses in the act of fighting with the giant Mahisasura)
Rs. 50 to Rs.300
The best article that can be made from one block of ivory can be had for Rs. 150.
3
Kali standing on the body of Shiva with two attendant goddesses
40 to 120
The price varies according to the size of the pieces, and also according to the quality of the work
4
Jagaddhatri standing on the lion and elephant with two attendant goddesses
50 to 125
5
Jagannath’s car procession
50 to 150
6
Palanquin, single or with bearers and attendants
15 to 100
7
Chessman
25 to 250
8
Work-box
25 to 300
9
Elephant, single or caparisoned, or fighting with tiger
5 to 150
10
Horse, plain or with rider
2 to 30
11
Bullock-carts
8 to 50
12
Maur-pankhi, or peacock state barge
10 to 100
13
Camel, single or with driver
4 to 40
14
Cow, single or with calf
3 to 20
15
Dog
2 to 8
16
Pig
2 to 10
17
Buffalo
3 to 20
18
Crocodile
5 to 20
19
Deer
2 to 15
20
Plough with ploughman
3 to 20
21
Locket and chain(with or without gold or silver mounting)
5 to 50
22
Earrings
4 to 10
23
Figures of zanana ladies. Hindu priests, washermen, water carriers, peons, porters, tailors, sepoys, fakirs, policemen
2 to 5 each
24
Paper cutter
1 to 30
25
Bangles, bracelets with or without gold or silver mountings
25 and upwards
26
Card case
6 to 15
27
Knitting needles
8 anna for set of four
28
Crochet needles
Do
29
Napkin ring
2 to 8
30
Photo frame
15 to 60
31
Caskets
30 to 100
32
Walking sticks
25 to 75
33
Chamurs or fly-flap
--
34
Combs
---

" The above list," writes Mr. G. C. Dutt, " is by no means
exhaustive. The Murshidabad carvers turn out various other toys
and trinkets, and of mythological subjects there is, perhaps, no
end. Only one mythological figure the Murshidabad Bhaskars
will not carve or sell, and that it is that of Krishna, as they are
his followers * and cannot create or sell the deity they worship.
Although the Murshidabad carvers can carve any practicable
model of almost every useful and ornamental object, it must not
be supposed that there is a regular supply of all these things
in the market, nor should one expect to find many such objects
in daily use anywhere, except, perhaps, the bangles and combs
which are worn by up-country and Deccan women generally.
There is usually but a limited and fitful outturn-."

* They belong to the Vaishnava sect.